বাংলাদেশ বার্তাঃ একটু কিছু লিখবো বলে বসেছি মাগরিব পড়ে,একজন এফবি বন্ধু আমার সম্পর্কে খুব খারাপ একটি ধারনা থেকে আলোচনা শুরু করছি তিনি বলেছেন..."
আপনি মানে আমি ইসলামের ক্ষেত্রে পথ হারা,কিয়ামতের দিন মুসিবতের সময় আমি কাকে দুনিয়াতে অনুসরন করেছি তাকে খোঁজে পাবোনা"
অনুসরন করবো কাকে?
পবিত্র কোরআনে তার দিগনির্দেশনা আছে...
তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য কর এবং অাল্লাহ ও রাসুলের পথের অনুসারীদের আনুগত্য কর
বিষয়টা খুব সোজা আল্লাহ ও রাসুল সাঃ এর প্রতি আনুগত্য প্রশ্নাতীত নু কন্ডিশনাল বাট আমিরের বা যুগের পথ প্রদর্শকদের আনুগত্যটা কন্ডিশনাল, তারা যতক্ষন আল্লাহ ও রাসুলের পথে ঠিকে থাকবেন ততক্ষন এদের অনুসরন করা যাবে।যুগে যুগে যত পথ প্রদর্শক বা দায়ী ইলাল্লাহ এসেছেন তারা কখনও বলেনি আমাকে সর্বকাজে অনুসরন করো যেমন হযরত ইমাম আবু হানিফা রাহঃ যিনি আমাদের মাযহাবের ইমাম তিনি কোথাও বলেননি তাকে সব কাজে অনুসরন করার জন্য একই ক্ষেত্রে অন্যান্য মাযহাবের ইমামদের ক্ষেত্রেও তাই।আমরা ধারাবাহিক ভাবে কেউ বাবার কাছ থেকে কেউ মা আবার কেউ উস্তাদদের মাধ্যমে ইসলাম পেয়েছি, তাদের কাউকে পুরোপুরিভাবে অনুসরন করা যায় কি?আপনারাই বলুন....উত্তর পাবেন ভিন্ন ভিন্ন,
এই ফেৎনার যুগে এক শ্রেনীর ভন্ডদের উৎপাত বেড়ে গেছে তারা প্রকাশ্যে ঘোষনা করছে কেবল তাদের অনুসরন করলে কিয়ামতের মাঠে তাদের পীরের উসিলায় কেল্লা পথে,আপনারা কি বলবেন? এটা কি কখনও সম্ভব।বর্তমান পীরদের জীবনের সব ক্ষেত্রে অনুসরন করা যায়?আমি বলি যে কোন ভাল লোকের সুহবতে থাকা ভালো কেবল তাদের ভাল দিক অনুসরন করবো.. অন্য সব না....
ডাঃ জাকির হিন্দুস্থানে অনেক চ্যালেঞ্জিং ভাবে একজন দায়ীর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন; তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, আরবী জানেননা তারপরেও তিনি অন্যান্য ধর্ম গুরুদের সাথে ইসলামের শ্রেষ্টত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করছেন,তার মত এই যুগে দ্বীতিয় কাউকে দেখিনা,তার ভূল থাকতে পারে মানুষ হিসেবে, তিনি এই যাবৎ কোথাও বলতে শুনিনি তাকে জীবনের সব জায়গায় অনুসরন করতে।তিনি যতক্ষন আল্লাহ ও রাসুলের পথে থাকবেন ততক্ষণ তাকে অনুসরন করা যায়,এর বাইরে কিছু না।ভন্ড পীরের অনুসারীদের তার লেকচার গুলো গা জালাতন করে কারন তিনি তার আলোচনায় ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কুঠারাঘাত করেন।
আহলে হাদীস বর্তমান যুগে আরেকটি ফেৎনা...
তারা সহীহ হাদিস বলে জিকির করে.. অন্যদের সব ভুল, কেবল নিজেরাই শুদ্ধ,তাদের বক্তব্য হলো যুগের কাউকে অনুসরন না মানে মাযহাব অনুসরন না করে কেবল সহীহ হাদিস গুলো অনুসরন করতে হবে, তাদের কিছু কর্মকাণ্ড ইদানিং মুসলীম সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে,আমাদের হুশিয়ারী হয়ে তাদের কাজ তাদের করতে দিন আমরা আমাদের কাজ করি,
যুগের ইমামকে কেন মানবেন?
বোখারী শরীফের প্রথম হাদীস... "ইন্নামা আমালু বিন্নিয়ত "যে সমস্ত আহলে হাদীসের ভাইয়েরা সহীহ হাদিসের কথা বলে থাকেন তারা কেবল এই হাদিসটার সঠিক ব্যাখ্যা করুন তাহলে উত্তর পেতে পারেন কেন মানবেন মাযহাবের ইমামকে।শুধু 'আমল' এর ব্যাখ্যা করুন তাহলে জবাব পেয়ে যাবেন।আমি যেহেতু আরবী গ্রামারে পারদর্শী না সেদিকে যাবোনা।আপনি আমি সবাই যেই আমলটি নিয়ে আমাদের পথ চলা সেই আমলটি কাউকে না কাউকে অনুসরনের মাধ্যমে পরিচালিত,সুতরাং এইবার বুঝেন মাযহাব কেন মানবেন না?
দুনিয়াতে পথ চলতে কাউকে না কাউকে পথ নির্দেশক মেনে চলতে হবে কারন বিশাল সমুদ্রে আমরা যদি কোন নৌকার মাঝি ছাড়া যাত্রী হয় তাহলে বিপদের সম্ভাবনা থেকে যাবে।
উপসংহারে বলতে চাই একমাত্র নবী মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া দুনিয়ার কোন পীর, ঊস্তাদ,মুরব্বী কাউকে জীবনের সর্বকাজে অনুসরন করা যাবেনা।একমাত্র সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ এর আদর্শ।
অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন
অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন