ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

গুমের ঘটনা সরকারের নির্দেশেই হয়েছে, তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান বেগম খালেদা জিয়ার

দেশে সংঘটিত গুমের ঘটনাসমূহ সরকারের নির্দেশেই হয়েছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার বিকালে বিশ্ব গুম দিবস উপলক্ষে গুলশান কাযার্লয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে পারে না। আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবসে গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের স্বজনরা অনেকে সরকারের কাছে দাবি করেছেন, তদন্ত করে তাদের খুঁজে বরে করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
‘‘ কিন্তু আমি জানি সরকার কোনোদিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছ থেকে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই আমি দাবি করছি জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে। দেশে যারা নিরপেক্ষ আছেন তাদের নিয়ে ওই তদন্ত করতে হবে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ২৬ জন নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে ১৩ মিনিটের নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সময়ে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এ সময়ে খালেদা জিয়াকে অশ্রুসজল দেখা যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন অনুষ্ঠানে আসা গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
অনুষ্ঠানে নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বড়ো বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী, ছোট বোন সা্নজিদা ইসলাম, হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শানাজ আখতার, যুবদলের ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের এএম আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী, ছাত্র দলের নিজামুদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, মাহবুব হাসান সুজনের স্ত্রী তানজিনা আখতার, খালিদ হাসানের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, মাহফুজুর রহমান সোহেলে বাবা শামসুর রহমান, মাজেদুল ইসলাম রাসেলের বোন লাবনী আখতার, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহানা বানু মুন্নী প্রমূখ স্বজনরা খালেদা জিয়ার সামনে নিজেদের মন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে মর্মস্পশী বক্তব্য রাখেন।
তাদের বক্তব্যের জবাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘‘ বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।’’
‘‘ যারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আছে, যারা মিথ্যা কথা বলতে পারে, তাদেরই অধিকার কেবল আছে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত গুম হওয়া স্বজনদের আবেগ অনুভুতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ এই সরকার কখনো গুমের ঘটনার সুষ্ঠু কোনো তদন্ত করবে না। আমি স্বজন শুধু স্বজনদের সাত্বনা দিতে পারি, আশ্বাস দিতে পারি এর বেশি কিছু আমাদেরও করার নেই। আমরা জানি না আমরা কিরকম থাকবো, কখন গুম-খুন হয়ে যাবো না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।শুধু আল্লাহ তালা জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি। আমাদের বিশ্বাস এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছে।’’

গুম হওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ পার পাবে না হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ একদিন না একদিন এসবের বিচার হবেই হবে। যারা অন্যায় করেছে, অপরাধ করেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে হবে হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন তখন তাদের ছেলে গুম হয়েছিলো, তাদের কিভাবে হত্যা করা হয়েছিলো, তা জানতে পারবেন। স্বজনরা অনেকে বলে গেছে, যদি ডেডবডিটা পেতো, তাহলে জিয়ারত করতে পারতেন।’’
‘‘ সেজন্য আমাদের যদি আল্লাহ সুযোগ দিলে অবশ্যই এই কাজটা করবো। প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করবো।’’
বছরের প্রথম দিকের তিন মাসের আন্দোলনে নাশকতার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে দেশ নেত্রী বলেন
‘‘ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে। তারা নাকী পেট্রোল বোমা মেরেছে। আসলে আন্দোলনকে ভিন্নপথে নিতে ও জনগনকে বিভ্রান্ত করতে সরকার চেয়েছে। পুলিশও নিজেরা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, আমরাও ওইসব কাজ করেছি। এর রেকর্ড আছে।’’
ক্ষমতাসীন দলের অনেকে পেট্রোল বোমাসহ আটক হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ দেশকে সরকার অকাযর্কর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছে তারা। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।’’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ,মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হায়দার আলী লেলিন, শেখ শামিম,ওমর ফারুক শাফিন, মহিলা দলের শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ধানের শীষের সম্পাদক সাখাওয়াত সায়ান্থও ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন