কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহ লড়াই।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সংঘর্ষে ভারতের ছয়জন বেসামরিক নাগরিক, তিনজন সেনা ও একজন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান বলছে, সংঘর্ষে পাকিস্তানের চার বেসামরিক ও এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকা অঞ্চলে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, নীলম উপত্যকাজুড়েই মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানির এক কর্মকর্তা।
এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দু’দেশ।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ভারতের এক প্রবীণ কূটনীতিককে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চির বৈরি এ দেশ দু’টি। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে দেশ দু’টি। তবে তা বরাবরই ভঙ্গ করা হয়েছে। এ জন্য দেশ দু’টি বারবারই পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত এ বছর কমপক্ষে দুই হাজার ৭২৯ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য ২১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুতর আহত হয়েছেন ২০৬ জন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন