ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

গ্রামের মানুষকে মসজিদমুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে!

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সময়ের কাঁটা তখন ভোর ৫টা ছুঁই ছুঁই। সরকারতালুক গ্রামের রাস্তায় সকল বয়সী মানুষের আনাগোনা। সবার গন্তব্য মসজিদে, ফজরের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তাঁরা। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য। মহুর্তের মধ্যে মুসল্লীদের পদাচারণায় মসজিদ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একসাথে নামাজ আদায় করলো প্রায় ২শতাধিক মুসল্লী। এমন চিত্র প্রতিদিন দেখা যায় মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের সরকারতালুক জামে মসজিদে। যে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ১০ থেকে ১২জন মুসল্লী আসতো এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইশ’র বেশি। সবার মাঝে অন্যরকম ভ্রাতৃত্য সৃষ্টি হয়েছে।

মসজিদ নির্মাণের প্রতিযোগিতা আর মসজিদের শোভাবর্ধন নিয়েই আমরা চিন্তিত কিন্তু মসজিদের মুসল্লীদের আত্মীক উন্নতি, মানুষকে মসজিদমূখী করা নিয়ে নেই কোনো কর্মসূচী। মসজিদের ইমাম সাহেব থেকে কমিটি কেউ দায়ভার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সরকারতালুক গ্রামের মানুষ।
মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সরকারতালুক গ্রামের জামে মসজিদের দায়িত্ব যেদিন নিয়েছেন তখন ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। গ্রামের এত মানুষের বসবাস ফজরের নামাজে মুসল্লীর সংখ্যা এত নগণ্য তা মানসিকভাবে মেনে নেয়নি ইমাম সাহেব।

তখনই প্রতিজ্ঞা করেন ফজরের নামাজে গ্রমের সব পুরুষদের মসজিদমুখী করবেন। একটু ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেন তিনি। কোমর বেঁধে নামলেন , প্রতিদিন ৫০ জনকে পালাক্রমে মোবাইলে কল দিতেন, গ্রামের মানুষের দুয়ারে গিয়ে বোঝাতেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করলেন।
পরিশ্রম ব্যর্থ হয়নি ইমাম সাহেবের। গ্রামের মানুষের সদিচ্ছা ইমাম সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে গ্রামের শিশু থেকে তরুণ, যুবক থেকে বায়োজোষ্ঠ সবার অংশগ্রহণে অন্যান্য ওয়াক্তের ন্যায় প্রতিদিন ফজরের নামাজে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
নিয়মিত মুসল্লী প্রশিক্ষণ,বিষয় ভিত্তিক বাস্তবসম্মত জীবনাচারণ সম্পর্কে নিয়মিত গ্রুমিং করেন ইমাম নিজাম উদ্দিন।
প্রত্যেক শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর সব মুসল্লী একসাথে নাস্তা করে মসজিদ প্রাঙ্গনে। ব্যাক্তি উদ্যোগের সপ্তাহের যেকোনো দিন সম্মিলিত ভাবে নাস্তা করানো হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরুল আলম জানান, ফজরের নামাজ মসজিদে পড়া হতো না আমার, এখন রোজ ফজরে মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। পুরো গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণে এখন ফজরের ওয়াক্তে মসজিদ পূর্ণ হয়ে যায়। পুরো কৃতিত্ব ইমাম মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিয়াজী সাহেবের। ইমাম সাহেব আলোকিত মানুষ। আলো দিয়ে যাচ্ছেন পুরো গ্রামে।
মসজিদের ইমাম নিজাম উদ্দিন মিয়াজী বলেন, মসজিদ কমিটির সহযোগিতা, গ্রামের মানুষের সদিচ্ছায় সম্ভব হয়েছে। গ্রামে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ফজরের নামাজে অংশগ্রহন অল্প কজন বাকি আছে। তারা নামাজে আসলে পুরষ্কৃত করা হবে তাদের। তিনি আরো বলেন, মুসল্লীদের নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক মুসল্লী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন