বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ প্রিয় পেকুয়াবাসী আমি আপনাদের দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের ভালবাসার মানুষ বারবাকিয়ার চেয়ারম্যান এ এইচ এম বদিউল আলম হুজুরের ছোট ছেলে আখইয়ার বলছি।
আমার বাবা কি কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন তা আপনাদের সবার সামনে তুলে ধরলাম।আমার বাবার একটাই অপরাধ ছিল, কিছু অন্ধকার পথযাত্রী মানুষকে আলোরপথে নিয়ে আসতে চেয়েছিল।আমাদের এলাকায় বিগত ৪০ বছরধরে সমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য সমাজের সর্দার মুরব্বিগণ ও আলেমওলামার পরামর্শক্রমে একটা সামাজিকরীতি ছিল।
সমাজের যারা নামাজ পড়েনা, রোজা রাখেনা তাদের একটা তালিকা তৈরী করা হয়।তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময় সামাজিকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।এবারও প্রায় ৭৪জন লোকের তালিকা অনুযায়ী যারা রমজানে নামাজ পড়েনি রোজা রাখেনি,রোজা না রেখে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে খাবার খেয়েছে,তাদেরকে এরকম আর যাতে ভবিষ্যতে না করে তাদেরকে সামান্য শাস্তি ও তওবা পড়িয়ে ভালোপথে আসার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়।
এ সামাজিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর কোন ইস্যু না পেয়ে কিছু ভদ্র রাজনীতিবীদ সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজনৈতিকভাবে রং ছিটিয়ে ফায়দা নিচ্ছে।
যারা একজনকে দাবার ঘুটি বানিয়ে মামলা করে নিরঅপরাধ মানুষকে জেলে পাঠিয়েছেন, তাদেরকে বলবো,আল্লাহ খুব বেশী দূরে নয়,আল্লাহ সবকিছু দেখতেছেন।বিচার আল্লাহর হাতে দিলাম।পরকালে সবাইকে যেতে হবে।
আমার বাবাও একদিন আপনাদের নামে মামলা করবেন,তবে দুনিয়ার থানা বা আদালতে নয়,পরকালে আল্লাহর কাডগডায় আপনাদের অবশ্যই দাড়াতে হবে,সেদিন দেখবো-কোন দলীয় পরিচয় কোন ক্ষমতা আল্লাহর আদালতে আপনাদের বাচায়।
পরিশেষে সবাইকে বলবো,দল যার যার,আমার বাবা পেকুয়াবাসীর সবার।আমার বাবা এতোদিন আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করেছেন,এবার আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন