ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

গুমের ঘটনা সরকারের নির্দেশেই হয়েছে, তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান বেগম খালেদা জিয়ার

দেশে সংঘটিত গুমের ঘটনাসমূহ সরকারের নির্দেশেই হয়েছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক তদন্তে জাতিসংঘকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার বিকালে বিশ্ব গুম দিবস উপলক্ষে গুলশান কাযার্লয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে পারে না। আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবসে গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের স্বজনরা অনেকে সরকারের কাছে দাবি করেছেন, তদন্ত করে তাদের খুঁজে বরে করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
‘‘ কিন্তু আমি জানি সরকার কোনোদিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছ থেকে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই আমি দাবি করছি জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে। দেশে যারা নিরপেক্ষ আছেন তাদের নিয়ে ওই তদন্ত করতে হবে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ২৬ জন নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে ১৩ মিনিটের নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সময়ে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনদের ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এ সময়ে খালেদা জিয়াকে অশ্রুসজল দেখা যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসন অনুষ্ঠানে আসা গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
অনুষ্ঠানে নিখোঁজ ও গুম হয়ে যাওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বড়ো বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী, ছোট বোন সা্নজিদা ইসলাম, হুমায়ুন কবীর পারভেজের স্ত্রী শানাজ আখতার, যুবদলের ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের এএম আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন চৌধুরী, ছাত্র দলের নিজামুদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, মাহবুব হাসান সুজনের স্ত্রী তানজিনা আখতার, খালিদ হাসানের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, মাহফুজুর রহমান সোহেলে বাবা শামসুর রহমান, মাজেদুল ইসলাম রাসেলের বোন লাবনী আখতার, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহানা বানু মুন্নী প্রমূখ স্বজনরা খালেদা জিয়ার সামনে নিজেদের মন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে মর্মস্পশী বক্তব্য রাখেন।
তাদের বক্তব্যের জবাবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘‘ বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার অধিকার নেই। কারো কথা বলার অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও করতে পারবে না।’’
‘‘ যারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আছে, যারা মিথ্যা কথা বলতে পারে, তাদেরই অধিকার কেবল আছে।’’
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত গুম হওয়া স্বজনদের আবেগ অনুভুতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ এই সরকার কখনো গুমের ঘটনার সুষ্ঠু কোনো তদন্ত করবে না। আমি স্বজন শুধু স্বজনদের সাত্বনা দিতে পারি, আশ্বাস দিতে পারি এর বেশি কিছু আমাদেরও করার নেই। আমরা জানি না আমরা কিরকম থাকবো, কখন গুম-খুন হয়ে যাবো না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।শুধু আল্লাহ তালা জানেন। শুধু মানুষের আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি। আমাদের বিশ্বাস এদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছে।’’

গুম হওয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ পার পাবে না হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ একদিন না একদিন এসবের বিচার হবেই হবে। যারা অন্যায় করেছে, অপরাধ করেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে হবে হবেই। স্বজনহারারা অন্ততপক্ষে জানতে পারবেন তখন তাদের ছেলে গুম হয়েছিলো, তাদের কিভাবে হত্যা করা হয়েছিলো, তা জানতে পারবেন। স্বজনরা অনেকে বলে গেছে, যদি ডেডবডিটা পেতো, তাহলে জিয়ারত করতে পারতেন।’’
‘‘ সেজন্য আমাদের যদি আল্লাহ সুযোগ দিলে অবশ্যই এই কাজটা করবো। প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করবো।’’
বছরের প্রথম দিকের তিন মাসের আন্দোলনে নাশকতার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে দেশ নেত্রী বলেন
‘‘ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে। তারা নাকী পেট্রোল বোমা মেরেছে। আসলে আন্দোলনকে ভিন্নপথে নিতে ও জনগনকে বিভ্রান্ত করতে সরকার চেয়েছে। পুলিশও নিজেরা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, আমরাও ওইসব কাজ করেছি। এর রেকর্ড আছে।’’
ক্ষমতাসীন দলের অনেকে পেট্রোল বোমাসহ আটক হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ দেশকে সরকার অকাযর্কর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছে তারা। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।’’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ,মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হায়দার আলী লেলিন, শেখ শামিম,ওমর ফারুক শাফিন, মহিলা দলের শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ধানের শীষের সম্পাদক সাখাওয়াত সায়ান্থও ছিলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বৈঠক

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে বৈঠক করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। রবিবার রাতে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লি থেকে কাদের সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ আহমদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর তারা বাংলাদেশে ফিরবেন। এরআগে ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে একই স্থানে ও শুক্রবার দুপুরে প্রণব মুখার্জীর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নেন আবদুল কাদের সিদ্দিকী। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংসহ ভারতের বিভিন্ন দল ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রণব মুখার্জীর স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জীর স্ত্রীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আবদুল কাদের সিদ্দিকী ২৭ আগস্ট ঢাকা ত্যাগ করেন। ১৮ আগস্ট শুভ্রা মুখার্জী মৃত্যুবরণ করেন। 
ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

দেশে দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকার ব্যবস্থা পাকিস্তান নেপাল ও বুলগেরিয়ার পর এখন তুরস্ক ও গ্রীসে

বাংলাদেশের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদ হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তা কদর পেয়ে চলেছে। এই সরকার ব্যবস্থার সুফল ইতোমধ্যে পেয়েছে পাকিস্তান, নেপাল ও বুলগেরিয়া। আর এখন তা তুরস্ক ও গ্রীসে গৃহীত হয়েছে।
সর্বশেষ গ্রীসে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার কথা জানা গেছে। গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট সামাল দিতে গ্রীসের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ভাসিলিকি থানৌর (৬৫) নেতৃত্বে গত ২৭ আগস্ট এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। এর আগে তুরস্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। আগামী ১ নবেম্বর সেখানে যে সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তার তদারকিতে তুরস্কের সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলকে নিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু। গত সপ্তাহে আঙ্কারায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন তদারকির জন্য তিনি বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি এবং ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চাচ্ছেন। তুরস্কে গত জুন মাসের সংসদ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবং কোয়ালিশান সরকার গঠনের আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় আগামী ১ নবেম্বর আবার দেশটিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তুরস্কে ৭ জুনের নির্বাচনের পর সরকার গঠনের জন্য ৪৫ দিন সময় ছিল সংবিধানে। সেই সময়সীমা শেষ হবার ফলে কোয়ালিশন সরকার গঠনের আলোচনা ভেঙে যায়। তবে তুরস্কের বিরোধী দুটি দলের নেতারা বলছেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার জন্য দলীয় কোনো নেতার নাম সুপারিশ করবেন না।
এদিকে, বাংলাদেশের পর প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ধারণা গ্রহণ করে পাকিস্তান। গত ২০১৩ সালের ১৩ মে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মীর হাজার খান খোসো। তার নেতৃত্বে একটি ছোট আকারের মন্ত্রিসভা দায়িত্ব পালন করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবার পর বিচারপতি মীর হাজির ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা নয়, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন করাই তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান সমস্যায় নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করতে না পারলে পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি খোসো। পাকিস্তানে যথারীতি সুষ্ঠুভাবে এই নির্বাচন সম্পন্ন হয় এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রতিবেশী দেশ নেপালেও একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে। প্রবল রাজনৈতিক সংকটের মুখে গত ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে সম্মত হয় নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রধান বিচারপতি রিগমি খিলারাজ রেজমি। তার নেতৃত্বে সাবেক ১১ জন সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়। তাদের অধীনে একই বছর জুনে যথারীতি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, প্রায় ১০ মাস ধরে সেখানকার রাজনীতিতে অচলাবস্থা চলে আসছিল। নেপালে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে একটি বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ায় সরকার ভেঙে দিয়ে ২০১৪ সালের ১২ মে নির্বাচন দেয়া হয়। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সে দেশের প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ সাবেক কূটনীতিক মারিয়ান রায়কভকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। রায়কভ মে মাস পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত দেশসমূহ কমবেশি গণতান্ত্রিক ধারায় পরিচালিত হলেও রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটে বিশেষ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক তথা কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতিই বেছে নেয়। গ্রীসের মতো দেশ- যেখানে একসময় গণতন্ত্রের বীজ রোপিত হয়েছিল, সেখানেও পরিস্থিতি বাধ্য করেছিল সরকারের নীতি নির্ধারকদের একটি তত্ত্বাবধায়কের ধারণা গ্রহণ করতে। ২০০৭ সালে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ না থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে সংকট মোকাবিলা করার কথা জানা যায়। আরেক তথ্যে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৭৫ সালে সাংবিধানিক সংকটের সময় তৎকালীন গবর্নর জেনারেল স্যার জন ক্যার একটি নতুন সরকার ব্যবস্থা গঠন করেন মাইকেল ফ্রাজারকে প্রধান করে। শর্ত ছিল মিস্টার মাইকেল ফ্রাজার খুব শিগগির একটি সাধারণ নির্বাচন দেবেন এবং এই সময় তার সরকার তত্ত্ব¡াবধায়ক ভিত্তিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করবেন। এই ব্যবস্থা ছিল সে সময়কার সংকট নিরসনের একটি চমৎকার সমাধান। সেই থেকে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিভাষা অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ শুরু হয় সাধারণ নির্বাচনের আগে যখন গবর্নর জেনারেল সংসদ ভেঙে দেন তখন থেকে পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ গঠন হবার পূর্ব পর্যন্ত তা বলবৎ থাকে। এটা আশা করা হয় যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রণীত কতিপয় সুনির্দিষ্ট নিয়ম কাঠামোমাফিক পরিচালিত হবে। স্বাভাবিক অবস্থায়, সেখানে তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের কোন আলাদা নিয়োগ ব্যবস্থা নেই। দায়িত্বরত সরকারই সাধারণভাবে নিজেদের মনে করে তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধরণে দায়িত্বে রয়েছেন।
বিশ্লেষকদের অভিমত, একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন আয়োজনের সময় সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় রাজনৈতিক দলসমূহ ও জনগণের আস্থার প্রতি। কে নির্বাচনে আসলো আর কে না আসলো তার পরোয়া নেই- এমনটা ভাবা হয় না। ‘প্রহসনের নির্বাচন’ কেবল একটি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসনেরই প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে সকল রাজনৈতিক দলের দাবি ও সম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলেও এই ব্যবস্থার অন্যতম দাবিদার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০১১ সালে সেই সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে। এর ফলে বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ও নির্বাচনকালীন সংকট শুরু হয়। এই পরিস্থিতির অবসানে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
উল্লেখ্য, এদেশে কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপকার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ভাষা আন্দোলনের নেতা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম। ১৯৮০ সনের মাঝামাঝি জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য “কেয়ারটেকার সরকার” সংক্রান্ত একটি সুচিন্তিত রূপরেখা জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অধিবেশনে পেশ করেন। ১৯৮০ সনের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান রমনা গ্রীনে আহূত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই রূপরেখা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্ব প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। সাংবিধানিক ব্যবস্থার অধীনে পরপর ৩ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র- দৈনিক সংগ্রাম

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

ছাত্রদেরকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থা না করলেও তাদের ধ্বংস করার সকল প্রচেষ্টার সাথেই রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জাড়িত------শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, সব বাঁধা অতিক্রম করে সৎ,যোগ্য, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরীক উপহার দিতে ছাত্রশিবির জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। সুতারং সব বাঁধার বিপরীতে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আজ রাজশাহীর এক মিলানায়তনে ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সদস্য প্রার্থী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক শাহ আলম।
শিবির সভাপতি বলেন, দেশের যুব সমাজের একটি বিরাট অংশ যখন মাদক, অপসংস্কৃতি, সন্ত্রাস ও অনৈতিকতায় ডুবে আছে তখন ছাত্রশিবির নেতাকর্মীর তার বিপরীতে চলছে। সকল মত পথ প্রত্যাখ্যান করে কুরআনের আলোকে নিজেদের ও ছাত্রসমাজকে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। আর তাই বাতিলের আতে ঘাঁ লাগছে। ছাত্রসমাজকে মাদক, অপসংস্কৃতি ও বেহায়াপনার এই প্রচেষ্টা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং জাতি বিনাশী সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা। এটা আজ প্রমাণিত যে এসব অপতৎপরতার পেছনে রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। ছাত্রদেরকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থা না করলেও তাদের ধ্বংস করার সকল প্রচেষ্টার সাথেই রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জাড়িত। যা জাতির জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সকল বাতিল পথের হাতছানি প্রত্যাখান করে নিজেদের দুনিয়া ও আখেরাতের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ছাত্রশিবির সত্য ও ন্যায়ের পথে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলা এক দুঃসাহসিক কাফেলার নাম। যোগ্যতা সম্পন্ন করে নিজেদেরকে গড়ে তোলার পথে বাধা আছে এবং থাকবে। কিন্তু ছাত্রশিবির এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে তার প্রমাণ জাতির সামনে পেশ করেছে ছাত্রশিবির। অবর্ণনিয় জুলুম নির্যাতন ও সিমাহীন অপপ্রচারের পরও ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে না পারা ক্ষোভে তাদের অপতৎপরতার আরও বৃদ্ধি করতে পারে। বাড়তে পারে বাঁধার পরিধি।
কিন্তু সকল বাধা কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেই ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা নিজেদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যোগ্য গড়ে তুলবে। জাতি এমটিই প্রত্যাশা করে।

অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে জেল গেইট থেকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা : চান্দগাঁও জামায়াত

Newsgarden24
 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তির পর জেলগেইট থেকে পূনঃরায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতৃবৃন্দ ২৮ আগষ্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তির পর জেলগেইট থেকে পূনঃরায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জামায়াতসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি রাখা এবং মুক্তির পর জেল গেইট থেকে পুনঃরায় গ্রেপ্তারের যে নিয়ম বর্তমান সরকারের সময় চালু করা হয়েছে, তা অমানাবিক ও অসাংবিধানিক। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মুক্তির পর জেল গেইট থেকে পুনঃরায় গ্রেপ্তারের ফ্যাসীবাদী রাজনৈতিক সংস্কৃতির নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে অঘোষিত এই ফ্যাসীবাদী রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন : চান্দগাঁও জামায়াত

Gas
 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার নেতৃবৃন্দ গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে। সরকার কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বার বার গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে এর কি প্রভাব পড়ছে সরকার তার কোন তোয়াক্বাই করছে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মালিক জনগণ। সরকারের সকল কাজের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনস্বার্থে। কিন্তু সরকারের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুত সরকারের সেবাখাত এই খাতকে কিছুতেই ব্যবসায়িক পণ্য বানানো যাবে না। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য কিছুূতেই বাড়ানো উচিত নয়। প্রয়োজনে এই খাতে ভর্তুকী দিয়ে জনগণকে সুবিধা দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনস্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের সদস্য (রুকন) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নেতৃবৃন্দএই দাবী জানান। ২৮ আগষ্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদস্য (রুকন) প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এম.এম. হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে আলতাফ, মোঃ রফিক, আবু আফরিন, জসিম, ইসমাইলসহ থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তি না দিয়ে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ প্রদত্ত এক বিবৃতে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার হীন উদ্দেশ্যেই তাকে জেলগেট থেকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 
অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে জেলগেট থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি না দিয়ে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করে সরকার তার উপর জুলুম করেছে। সরকারের এ ধরনের অন্যায় আচরণ সম্পূর্ণ বে-আইনী ও অমানবিক। 
অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে মুক্তি না দিয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সরকার আইন ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। সরকারের এহেন জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫

ঢাবি শিক্ষক ড. আজিজের শাস্তি দাবি মহিলা জামায়াতের


শীর্ষ নিউজ, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাবিলা ইকবালকে বোরকা পরার কারণে ক্লাস বের করে দেওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি বেগম শামছুন্নাহার নিজামী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে শামছুন্নাহার নিজামী বলেন, “বোরকা পরিহিতা ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে ড. আজিজুর রহমান ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছেন। ধর্ম পালনে বাধা দিয়ে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের ঈমানের ওপর আঘাত দিয়েছেন। ধর্মীয় অধিকার ভোগ করা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকারে বাধা দান সম্পূর্ণ বেআইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যে এত জঘন্য চরিত্রের হতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ড. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শীর্ষ নিউজ/বিজ্ঞপ্তি/জেএ
২৩ আগস্ট ২০১৫ 

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

ক্রসফায়ার নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে- চান্দগাঁও থানা জামায়াত

বাংলাদেশ বার্তা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার নেতৃবৃন্দ আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন,কোন ধরনের  ক্রসফায়ার,  আইনের শাসনের বিকল্প হতে পারে না। ক্রসফায়ার নয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত সাড়ে সাত মাসে দেশে ১২২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকারে পরিণত হয়েছে। একটি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। নেতৃবৃন্দ বলেন, অপরাধী যেই হউক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার করে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াত-বিএনপি, ছাত্রদল-যুবদল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিরাপরাধী নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সকল হত্যাকান্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে ক্রসফায়ার নাটকের ইতি টানার আহবান জানান।
চান্দগাঁও থানা জামায়াতের মাসিক রুকন সভায় নেতৃবৃন্দ এই সব দাবী জানান।
বাংলাদেশ বার্তা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত আমী জনাব অবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক রুকন সভায় অন্যান্যের মধ্যে সর্বজনাব আলতাফ উদ্দীন, মোঃ রফিক, আবু আফরিন, জসিম উদ্দীন, ইসমাইলসহ থানা ও ওয়ার্ড  নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বিদায় বেলায় যেমন দেখলাম:মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক

১১ এপ্রিল । কড়া রোদের বিকাল । ঘড়ির কাটা ৪টা অতিক্রম করলো। নাজিমদ্দিন রোডের নির্দিষ্ট ভবনের গেইটে দাড়িয়ে। স্থানটি কেন্দ্রীয় কারাগার। সবাই আসলে এক সাথে ঢুকবো এজন্য অপেক্ষা। কারাগারের বিশাল গেইট গুলো দেখলেই বুকটা হাহাকার করে উঠে। যাদের প্রিয়জন কারাগারে তারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। অসংখ্য স্বজন-প্রিয়জনের চাপা কান্না হাহাকারের সাক্ষী এইসব কারাগারের ইট-পাথরগুলো। উচু দেয়ালের এপাশে ওপাশে দুদিকে কান্নার শব্দ ইথারে ভাসে।
একটু পরেই বাসা থেকে যখন গাড়ী চলে আসলো মিডিয়া কর্মীগণ হুমরি খেয়ে পড়লেন। অনেক কষ্টে অসংখ্য মিডিয়া কর্মীর ভীড় ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ঢুকতেই শুরু হলো কারারক্ষীদের নানান রকমের কায়দা কৌশলে দেহ তল্লাসী। শরীর পরিধেয় ছাড়া আর কিছূ নেই তারপরও নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। একজনতো অতি উৎসাহী হয়ে চশমায় হাত দিলেন এটা নেওয়া যাবে না। পরে কি মনে করে আবার ফিরিয়ে দিলেন। ভাবলাম যেহেতু আমরা ফাসির আসামীর স্বজন তাই আমরা অসহায়, আমাদের প্রতি কোন সহানুভুতি থাকতে নেই। সর্বশেষ হাতে সিল আর প্রত্যেকের ছবি তুলে পূর্ণতা পেলেন তারা। এরপর নানান বাহিনীর মিশ্রনে তৈরি একটি টিম বেষ্টীত অবস্থায় আমরা অনেকগুলো মানুষ যাচ্ছি তাদের প্রিয়জনের সাথে দেখা করতে কিন্তু উচ্ছাস নেই, আনন্দ নেই, সবাই ব্যথায় বোবা হয়ে গেছে।
একটা বিষয় লক্ষ করলাম, আমরা ছাড়া আর কেউ কারাগারের খালি জায়গাটিতে নেই। শুনসান কবরের নিরবতা, আগেই সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বুঝা গেল। অনতিদুরের ঘরগুলোর জানালার পাশে অনেকগুলো কৌতুহলী চোখ দেখা যাচ্ছে। ডান দিকের কোনায় লক্ষ করলাম অনেক কয়েদীরা উকিঝুকি মারছেন। হাটছি আমরা। বাম দিকের ছোট্ট কঠুরীগুলো আমাদের লক্ষ। বাম দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলাম। কয়েক গজ দুরে বড় আম গাছটার পাশেই রঙ্গীন চাদোয়া দিয়ে কিছু অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। কলিজাটায় একটা মোচড় দিয়ে উঠল। বুঝতে বাকী রইলো না অল্প কিছুক্ষণ পরেই কি ঘটতে যাচ্ছে।
ফাসির মঞ্চ তৈরি হচ্ছে, সময় গনণা চলছে আর কিছুক্ষণ পর এখানেই ফাঁসতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবি, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারী জননেতা আলহাজ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কে। ভাবতেই চোখের কোন ভিজে গেল। কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম।
কামারুজ্জামান চাচাকে যে সেলে রাখা হয়েছে তার নাম রজনীগন্ধা। জেলখানার কুঠুরিগুলোর নামে যেন একটা সুক্ষ বিদ্রুপ আছে। যেমন রজনীগন্ধা, বকুল। শেরপুরে আমি যে সেলে ছিলাম তার নাম ছিল অবকাশ। ভালো চিন্তা থেকেই হয়তো রাখা। যাই হোক আজ আমরা যার কাছে যাচ্ছি তিনিও একটা ফুলের মত। মনে মনে ভাবছিলাম দেখা হলে তিনি কি বলবেন আমরাই বা কি বলবো? মনে নানান স্মৃতি আর প্রশ্ন?? ভাবতে ভাবতে সেলের বাউন্ডারীতে ক্রমানুসারে এগুচ্ছি ১, ২, ৩ . .
এক, দুই গুণতে গুণতে আমরা আট সেলের পাশে এসে দাড়ালাম। আমি সামনের দিকে থাকলেও এগুনোর সাহস হলো না। বুকে আহাজারি। ওয়ামী ভাই আর চাচী (কামারুজ্জামান চাচার স্ত্রী) প্রথমদিকে ঢুকলেন এরপর ওয়াফী, সাফী, কফিল চাচা(কামারুজ্জামন চাচার বড় ভাই) আমি সহ পরিবারের অন্য সকলে।
ছোট্ট খালি জায়গা ১০ জন মানুষও ঠিক মত দাড়ানো যায় না সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের (সংখ্যায় আমাদের মতই) জনবলসহ অতগুলো মানুষের সংকুলন হচ্ছিল না। তাই আমরা কয়েকজন প্রাচীরের বাইরে দাড়ালাম। ঢুকতেই সালামের আওয়াজ আসসালামুআলাইকুম। আমরা প্রায় এক সাথে ওয়ালাইকুম আসসালাম বললাম। চাচী আর ওয়ামী ভাই এগিয়ে গেলেন। উনি লোহার শিকের ওপারে কাছে দাড়িয়েছেন। একটা সাদা পাজামা, সুতী, পাঞ্জাবী আর টুপী পড়ে আছেন। এর আগে রায়ের পর যতবার গিয়েছি ততবারই জেলখানার সেই নির্ধারিত সাদা কালো ডোরাকাটা পরিধেয় দেখেছি, চলেই যাচ্ছি এই বিবেচনায় হয়তো এই পোশাকটা পড়তে দিয়েছেন।
ছোট্ট কুঠুরী। অন্ধকারের দরুন উনাকে ছাড়া আর ভিতরের কিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। আলো আর বাতাস চলাচলের জন্য ঐ একটায় দরজা। নিচে আলোতে দেখলাম বিছানায় কুরআন শরীফ। বুঝা গেল আমারI আসার আগে কুরআন পড়ছিলেন। দরজার উপরে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত লেখাটা যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত মনে হলো। চাচী আর ওয়ামী ভাই মিডিয়া প্রচার নিয়ে জানতে চাইলেন। উনি বললেন দেখো ওরা শেষ র্পযন্ত মিথ্যাচার করলো। আমার সাথে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের কথা হয়নি। অথচ মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে উনি ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে দূর্ব্যবহার করেছেন! আবার কোন মিডিয়া আরও একধাপ এগিয়ে বললো উনি প্রাণ ভিক্ষাও চেয়েছেন। অবাক হয়নি মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষকে নিয়ে কেমন মিথ্যাচার !!!
উনি বললেন আজকে আমার সাথে যে মিথ্যাচার করা হলো, যে জুলুম করা হলো, বিনা দোষে, যে ঘটনার সাথে আমার কোন সর্ম্পক নেই এমন ঘটনায় আমাকে যেভাবে দোষী বানিয়ে হত্যা করতে যাচ্ছে আল্লাহ এর বিচার করবেন। এদেশের তরুন প্রজন্ম ঠিকই এর সত্য উদ্বঘাটন করবেন এবং প্রতিশোধ নিবেন। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং জুলুম। এ সময় চাচী বললেন এগুলো বলে আর কি হবে। সবইতো আল্লাহ দেখছেন। আমাদেরতো আর কেউ নেই আল্লাহ ছাড়া, "আল্লাহ এর বিচার করবেন।"
আমরা তোমাকে আল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছি। জান্নাতে দেখা হবে আশা করি। এ নিয়ে আমাদের কষ্ট নেই, আমরা ধৈর্যই ধারণ করলাম। ওয়ামী ভাইয়ের সাথে একান্তে কিছু কথা বললেন"। এর পর ওয়ামী ভাই বললেন আমাদের তো বলা হয়েছিল শেষ দেখায় সরাসরি বুক মেলানোর সুযোগ দেওয়া হবে। প্লীজ, আমার বাবার সাথে শেষ বারের মত বুক মেলানোর সুযোগ দেন। সন্তানের এমন আকুতিতে আমাদের সকলের চোখে পানি এসে গেলেও উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। পরে চাপাচাপির পর একজন বললেন আপনারা বাকীরা কথা বলেন আমি স্যারের সাথে কথা বলে দেখি। এরপর ওয়াফী ভাই, সাফী কাছে গেলেন।
উনি সকলকে লোহার শিকের ভিতর থেকে হাত বের করে মাথায় হাত বুলিয়ে বিদায় দিচ্ছেন। সন্তানদের কে চুমু খেলেন। এরপর কফিল চাচা এগিয়ে গেলেন। আগে থেকেেই জানতাম কফিল চাচা কামারুজ্জামান চাচাকে খুবই আদর করতেন। কফিল চাচার সাথে জেলখানায় যখন ছিলাম অনেক স্মৃতি চারণ করেছেন। বড় ভাইকে দেখে চুপ করে রইলেন, কফিল চাচা কাঁদতে লাগলেন, তিনি হাত বIড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। চোখ মুছে দিলেন। বড় ভাই আদরের ছোট ভাইকে বিদায় দিতে এসেছে। অথচ ছোট ভাই, বড় ভাইকে সান্ত্বনা দিয়ে কথা বলছেন। কেমন চিত্র বর্ণনা করার ভাষা নেই। একটু পর উনি জিজ্ঞাস করলেন ভাই, কবরের ব্যবস্থা কোথায় করছো? কফিল চাচা বললেন তোমার এতিমখানার পাশেই রাস্তার সাথে মাটি ভরাট করে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সেই হাতে গড়া প্রিয় এতিমখানা, প্রিয় গ্রাম মুদিপাড়া।
আমি যখন উনার সাথে সেই গ্রামে গিয়েছি উনি বলতেন, জানো মোস্তাক, আমাদের গ্রামটা আগের মতই আছে মনে হয়, লোকগুলোও সহজ সরল। উনার বাড়ীর কাছে একটা শতবর্ষী গাছ দেখিয়ে বলেছিলেন এই গাছটা ছোট বেলা থেকেই এই রকম অবস্থা আমি যখন স্কুলে যাই তখন দেখছি, আজও ঐ অবস্থায় আছে। ভাবছি গ্রামে জন্ম নিয়েছেন তার প্রিয় গ্রামেই ফিরতে যাচ্ছেন। একটু ভাবলেন, মনে মনে কবরের জায়গাটা কল্পনা করলেন . . মাথা নেড়ে বললেন, ঠিক আছে, ভালো হয়েছে। আবার জিজ্ঞাস করলেন জানাযা কাকে দিয়ে পড়াবে। আউয়াল(তার চাচাতো ভাই সদর জামায়াতের আমীর) হলে ভালো হয়। কফিল চাচা বললেন আউয়ালতো আসতেই পারছেনা না পুলিশের অত্যাচারে। হাফিজুর বলছিল, নুরুল আমীন মাওলানার কথা। ফারুক(তার ভাতিজা) বললেন আমাদের জামাই আছে আঃ হামিদ এখন মাদ্রাসা ভারপ্রাপ্ত সুপার। উনি বললেন, সমস্যা নাই, এদের মধ্য থেকেই পড়াক। হামিদ পড়াক ভালোই হবে। জানাযা করতে দিলে সবাইকে থাকতে বলো।
এই কথাগুলো বলতে বা লিখতে যত না কষ্ট হচ্ছে এই কথোপকথন শুনতে এবং দেখাটা সহ্য করা ততই কঠিন ছিল। একজন মানুষ আর কয়েক ঘন্টা পর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন মনে একটু ভয় নেই, চোখে কান্না নেই অবলীলায় নিজের স্থায়ী বাসস্থান ঠিক করে নিচ্ছেন। তখন মনে হলো মৃত্যু বুঝি এদেরই সাজে যারা মৃত্যু কে ভয় পায় না। তারপর ফারুক ভাই কথা বললেন এর পর আমি গেলাম। চিরচেনা সেই মুখটায় কেমন জানি উজ্জল মনে হলে, আমার মুখে কথা আসছিল না। চোখে পানি। উনি বললেন তোমার আব্বা-আম্মা কে আমার সালাম দিও। তারপর উনার আন্দোলন জীবনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং মুরব্বী শ্রীবরদী ডাঃ আঃ মমিন এবং অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামকে সালাম পৌছাতে বললেন। সবাইকে সালাম এবং দোয়া করার জন্য বললেন। আমি শুধু মাথা নাড়ছিলাম। মুখটা কাপছিলো। হাত বাড়িয়ে পিঠে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আমি আমার মাথাটাকে লোহার শিকে রাখলাম। লোহার শিকের ফাকাগুলেI ছোট হওয়াই উনার চশমাটা বার বার বাড়ী খাচ্ছিল। উনি অনেক কষ্টে কপালে চুমু একে দিলেন। বুকটা হাহাকার করে উঠলো।
এরপর উনার আরেক আত্নীয় সাথে ছোট্ট শিশু ছিলো তাকে দেখেই বললেন ওদের জন্য আমি চকলেট কিনে রেখেছিলাম বলে বিছানা থেকে চকলেটের প্যাকেট টা বের করে দিলেন। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ সময় গুনছিলেন। ১৭ মিনিট, ১২ মিনিট ৭ মিনিট এই ডাকগুলো যেন বুকে শেলের মত বিধছে। পর কারা কর্তৃপক্ষ বললে পরিবারের আপন সদস্য সন্তান, ভাই, আর স্ত্রীর জন্য গেইট খুলা হবে। আমরI একটু সরে আসলাম I উনি তার পরিবারের আপন সদস্যদের সাথে কথা বললেন, বুক মেলালেন।
সময় শেষ, তিনি সকলকে নিয়ে মোনাজাত করলেন। কুরআন থেকে কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত করলেন, দুরুদ পড়লেন শেষে বললেন, হে আল্লাহ আমি দেশের জন্য কাজ করেছি, ইসলামের জন্য কাজ করেছি I যারা এই অন্যায় বিচার করলেন এই জালিম স্বৈরাচারী সরকার সহ, এই বিচারে যারা সহযোগিতা করেছে, সাক্ষী দিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি অভিশাপ দিয়ে গেলাম। এদের বিচার আপনি দুনিয়াতে এবং আখিরাতে উভয় জায়গায় করেবেন। আমি আমার দুই হাত দিয়ে কোন অন্য কাজ করিনি, আমার মুখ দিয়ে কাউকে গালি দেইনি, আমার সম্পর্কে আপনি ভালো জানেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে হত্যা করতে যাচ্ছে, আপনি আমাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। আমার মৃত্যুর পর আপনি আমার পরিবারের উত্তম অভিভাবক। তাদেরকে হেফাজত করুন। আমার পরিবার, স্বজন, ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের সকল নেতাকর্মী সহ সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন। তাদেরকে জালিমের হাত থেকে হেফাজত করুন। এদেশের ইসলামী আন্দোলনকে হেফাজত করুন। আমার ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিন।
দোয়া শেষে ওয়ামী ভাইকে বললেন, শেরপুরসহ দেশ এবং বিশ্ববাসীকে সালাম জানাবে এবং দোয়া করতে বলবে।আমরা প্রাচীরের বাহিরে ধীরে ধীরে চলে আসছি। বাহিরে বেরিয়ে দেখি এতক্ষণে আসার সময় খালি লোহার গ্রীল গুলো রঙ্গিন চাদোয়াই ঢাকা প্রায় শেষ। রঙ্গীন কাপড়ে ঘেরা ফাসির মঞ্চের দিকে তাকালাম। না, এবার আর ভয় নই, কেমন এক অদ্ভুত সাহসী আবেশ মনে ভর করলো, বুকটা হালকা মনে হল। যাকে বিদায় দিতে গেলাম উনিতো প্রস্তুত তাহলে আর ভয় কেন? দুরে বাতাসে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনী আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাললাহ . . . . . . আমরাও সাক্ষী দিলাম
রঙ্গীন চাদোয়া ঢেউ খেলছে, তেজদীপ্ত সূর্যও তেজহীন হয়ে পশ্চিমে হেলে পড়েছে। কোনায় কয়েদীদের আবার শুরগোল। রেখে আসলাম I না, আল্লাহর কাছেই সপি দিয়েছি, ভয় নেই, উনি ঠিকঠাক পৌছে যাবেন তার মহান প্রভুর কাছে। যান চাচা, আবার দেখা হবে, ভুলে যেয়েন না ।
**** মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক
সাবেক জেলা সভাপতি, ইসলামী ছাত্রশিবির, শেরপুর জেলা

১২০০০ অস্ত্রের লাইসেন্স এক আসনেই ৩০০০

রাজনৈতিক বিবেচনায় ঢাকা মহানগরীর একটি সংসদীয় আসনেই মহাজোট সরকারের গেল পাঁচ বছর ও চলতি মেয়াদের ২০ মাসে প্রায় তিন হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এ আসনের (ঢাকা-১৮) বৈধ অস্ত্রধারীদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের স্বজনরা। দলীয় পরিচয়ে এ আসনটির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়ে গেছেন। অনেক নেতাকর্মী একটি শর্ট ব্যারেল (এনপিবি পিস্তল/রিভলবার) এবং একটি লং ব্যারেল (শটগান বা রাইফেল) অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন। অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তির তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় অনেকে দুই বা এর অধিক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। ঢাকা মহানগরীর খিলক্ষেত, উত্তরা (পূর্ব), উত্তরা (পশ্চিম), তুরাগ থানা, উত্তর খান ও দক্ষিণ খান থানা নিয়ে গঠিত এ সংসদীয় আসনের ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড নেতাদেরও রয়েছে বৈধ অস্ত্র। এছাড়া পাতিরা, ডুমনি, তলনা, ডেলনা, কাঁচকুড়া, বরুয়া ও ভাতুরিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারাও অস্ত্রের লাইসেন্স বাগিয়ে নিয়েছেন। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে কোমরে বৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করছেন এসব নেতা। যদিও অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত এসব ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের বৈধ ব্যবসা বা সামাজিক কোন অবস্থান নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় বাগিয়ে নিয়েছেন বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মানবজমিনকে বলেন, একটি আসনে তিন হাজার লাইসেন্স! বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। জেনে দেখতে হবে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রথম দফায় মহাজোট সরকার সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম বুঝতে এক বছর সময় নেন। এরপর অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া শুরু হলে তার নির্বাচনী এলাকার নেতারা ‘লাইসেন্স’ পেতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অনেকে অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী তিন লাখ টাকার ইনকাম ট্যাক্স এক অর্থবছরে পরিশোধ করেন। লাইসেন্স পাওয়ার পর আবার আগের মতো ইনকাম ট্যাক্স পরিশোধ শুরু করেছেন। তবে আগে সবচেয়ে বেশি লাইসেন্স নিয়েছেন ওই সংসদীয় আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকারের দু’মেয়াদে ৬ বছর আট মাসে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে প্রায় ১২ হাজার। এসব লাইসেন্সের বেশির ভাগই ক্ষুদ্রাস্ত্রের। অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার এ চিত্র ২০০১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও ছিল। ওই সময় লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল প্রায় আট হাজার অস্ত্রের। তখন বৈধ অস্ত্রধারীদের বড় অংশই ছিলেন বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং তাদের স্বজনরা। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের আমলে অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিরা তাদের নির্বাচনী এলাকার নেতাদের লাইসেন্সের জন্য তদবির করেন। ওই সময় অনেক ক্ষেত্রে লাইসেন্সের তদবিরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে এমপিদের। অস্ত্রের লাইসেন্সের তদবিরের জন্য এখনও এমপিদের বসে থাকতে দেখা যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫টি আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছেন। এগুলো আর পরবর্তীতে নবায়নও করা হচ্ছে না। এসব অস্ত্র দিয়েই চলছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। বর্তমান মহাজোট সরকার আসার পরপরই অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুতে কড়াকড়ির উদ্যোগ  নেয়। তবে এখন অবস্থা যেন পাল্টে গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যত শাখা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় ও লোকসমাগম থাকে রাজনৈতিক শাখা-৪-এ। এখান থেকেই অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার ফাইল প্রসেস হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী তা উপরে উঠে ও অনুমোদন হয়। এখানে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। এদিকে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে বর্তমানে বহাল থাকা নীতিমালায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। প্রতি অর্থবছরে ইনকাম ট্যাক্স সিলিং তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক নতুন লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে একটানা পাঁচ বছর সমানতালে ইনকাম ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। এর ব্যতয় হলে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হবে না। ব্যক্তির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন আগের মতোই বাধ্যতামূলক থাকছে। তবে স্পিকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিচারক থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে আয়কর দিতে হবে না। নতুন করে এসব কিছু যুক্ত করে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের নীতিমালায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কয়টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তার প্রোফাইল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার হিসাব মিলেছে। যদিও কোন সরকারের আমলেই নীতিমালা মেনে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়নি। রাজনৈতিক তদবিরে যাকে-তাকে দেয়া হয়েছে লাইসেন্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাতে তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হলে এটার অপব্যবহার হওয়াটা অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার নয়। তাই নীতিমালা পুরোপুরি মেনে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া উচিত।
মানব জমিন

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

ঢাকা শহরের যে সকল স্থানে মেয়েদের নামায পড়ার ব্যবস্থা রয়েছেঃ

১. ঢাকা নিউ মার্কেট মসজিদ
২. রাইফেলস স্কয়ার (জিগাতলা)
৩. ইস্টার্ন মল্লিকার ছাদে
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ
৫. রাপা প্লাজার ৫ম তলায় জয়ীতার শো-রুম ও মার্কেটের ছাদ (ধানমন্ডি ২৭)
৬. সোবহানবাগ জামে মসজিদ (ধানমন্ডি ২৭)
৭. গাউছিয়া মার্কেটের নিচ তলায় (ধানমন্ডি হকারস এর উল্টোদিকে)
৮. চাঁদনি চকের ৩য় তলায় (নিউমার্কেটের উল্টোদিকে)
৯. তাকওয়া মসজিদ (ধানমন্ডি ১২/এ লেকের সাথে)
১০. বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, পান্থপথ (৪র্থ তলায়)
১১. বায়তুল মামুর মসজিদ, সায়েন্সল্যাব (২য় তলা)
১২. ফেরদৌসি মসজিদ, মিরপুর-১
১৩. মৌচাক মার্কেট (৪র্থ তলা)
১৪. জেনেটিক প্লাজা ১ম তলা (ধানমন্ডি ২৭)
১৫. বায়তুল আমান মসজিদ (ধানমন্ডি ৮)
১৬. উত্তরা ৪ নং, ৬ নং, ৭ নং সেক্টর মসজিদ
১৭. স্কয়ার হসপিটাল
১৮. ডিসিসি সুপার মার্কেট (গুলশান ১)
১৯. উত্তরা হাউস বিল্ডিং, নর্থ টাওয়ার (মার্কেট) ৯বম তলা
২০.রমনা থানা জামে মসজিদ
২১. ইউনাইটেড হসপিটাল (৩য় তলা)
২২. এপলো হসপিটাল (৫ম তলা)
২৩. পিঙ্ক সিটি (বেইজমেন্ট)
২৪. মোহাম্মদপুর এ স্যার সৈয়দ রোড এর আল আমিন মসজিদ
২৫. আযাদ মসজিদ (গুলশান ২)
২৬. নায়েম ভবন মসজিদ (ঢাকা কলেজের পেছনে)
২৭. ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক হসপিটাল (১.৫ তলা)
২৮. টুইন টাওয়ার শপিং সেন্টার (৪র্থ তলা)
২৯. ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ধানমণ্ডি (বেইজমেন্ট)
৩০) North Tower (Market) 8th floor, Uttara House Building
অনুগ্রহ করে আপনার জানা তথ্য শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

ঢাবিতে বোরকা পরা মেয়েকে বের করে দেয়ার নিন্দা জামায়াতের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান ওই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাবিলা ইকবালকে বোরকা পরার কারণে গত মঙ্গলবার শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বোরকা পরিহিতা ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন।


তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত বয়ষ্ক মুসলিম নর-নারী সবার জন্যই পর্দা করা ফরজ। এ ফরজ পালনে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে বোরকা পরার কারণে শ্রেণীকক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দিয়ে ড. আজিজুর রহমান ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম দেশে এ ধরনের ঘটনা ভাবতেও অবাক লাগে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ ধরনের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ড. আজিজুর রহমান সরকারের সমর্থক হওয়ার কারণেই এ ধরনের জঘন্য কাজ করার সাহস পেয়েছেন।
অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
উৎসঃ   নয়াদিগ

যে ব্যাক্তি গুরুত্ব ও এহতামামের সহিত নামায আদায় করবে আল্লাহ্‌ তাকে ৫ টি জিনিস দিবেন

যে ব্যাক্তি গুরুত্ব ও এহতামামের সহিত নামায আদায় করবে আল্লাহ্‌ তাকে ৫ টি জিনিস দিবেন !!

১) রিজিকের পেরেশানি দূর করে দেবেন
২) কবরের আজাব দূর করে দেবেন
৩) আমলনামা ডান হাতে দেবেন
৪) পুলসিরাত বিজলির ন্যায় পার করে দেবেন ও
৫) বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন ।

ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা


ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। গত ৭ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার হিসেবে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করে আসছেন। সুপ্রিম কোর্টের পরিচিত মুখ শাকিলা ফারজানাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’কে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। র‌্যাবের দাবি, ব্যারিস্টার শাকিলা ও তার দুই সহযোগী আইনজীবি চট্টগ্রামের জঙ্গী সংগঠন হামজা ব্রিগেডের ব্লু গ্রুপের নেতাকে এক কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম র‌্যাব ৭-এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ জানান, ব্যারিস্টার শাকিলা হামজা ব্রিগেডের ব্লু-গ্রুপের নেতা মনিরুজ্জামান ডনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা অর্থ সহায়তা করতেন। শাকিলা ফারজানা ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা করতেন। র‌্যাব অধিনায়ক আরো জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা ব্যাংকে জমা দিলে ফরম পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সেই সব ফরম পূরণ করেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতেন।
অন্যদিকে শাকিলার আইনজীবি চট্টগ্রামের সাবেক জেলা পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ব্যারিস্টার শাকিলাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী শাকিলা নিজ যোগ্যতায়ই সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত হয়েছেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কয়েকটি মামলাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করছেন। এসব মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে মক্কেলের সঙ্গে তার বিভিন্ন দফায় আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এসব আর্থিক লেনদেনকে জঙ্গি অর্থায়ন হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যারিস্টার শাকিলাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের কয়েকটি বড় মামলা পরিচালনা এবং জেলে থাকা আসামিদের জামিনের জন্য একজন তদবিরকারী ব্যারিস্টার শাকিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ জন্য ফি বাবদ শাকিলাকে বড় অংকের টাকাও প্রদান করেন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে শাকিলা ওই মামলা পরিচলনায় অপারগতা প্রকাশ করে তদবিরকারীকে ওই টাকা তার হিসাব নম্বরে ফিরিয়ে দেন। সম্প্রতি র‌্যাবের অনুসন্ধানে তদবিরকারী ওই ব্যক্তি শহীদ হামজা ব্রিগেডের নেতা ও সংগঠক হিসেবে শনাক্ত করে এরই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা কর্তৃক ওই ব্যক্তির হিসাবে ফিরিয়ে দেওয়া টাকাকে জঙ্গি অর্থায়ন হিসেবে চিহ্নিত করে শাকিলা ফারজানাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ ব্যারিস্টার শাকিলার আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় শাকিলা ফারজানাকে ফাঁসানো হয়েছে। ব্যারিস্টার শাকিলা যদি প্রকৃতই জঙ্গি অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট হতেন, তাহলে তিনি কখনই নিজের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতেন না। শাকিলা একজন আইনজীবী হিসেবে ক্লায়েন্টের সঙ্গে পেশাগত আর্থিক লেনদেন করেছেন। এই স্বাভাবিক লেনদেনকে জঙ্গি অর্থায়ন বলছে র‌্যাব।’
আইনজীবী পরিচয়ের বাইরে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর জনপ্রিয় নেতা বিএনপির নির্বাচিত প্রাক্তন সাংসদ ও হুইপ সৈয়দ অহিদুল আলমের কন্যা। ব্যক্তি জীবনে বিবাহিতা ব্যারিস্টার শাকিলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামেরও একজন নেত্রী।

যুগান্তরে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক যুগান্তরে ‘শহীদ হামযা বিগেডের চার টার্গেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল মো. আতিকুর রহমান বলেন, আবারো ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর কল্পকাহীনি রচনা করেছে যুগান্তর। প্রতিবেদনে বিভ্রান্তির ছড়ানোর জন্য আজিজুল হক নামে একজনকে ছাত্রশিবিরের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ হালিশহরে আজিজুল হক নামে কোন নেতা দূরে থাক এ নামের কোন সমর্থকও নেই। তার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। একই ভাবে কোন জঙ্গি তৎপরতার সাথেও ছাত্রশিবিরের কোন দূরতম সম্পর্ক কোন কালেই ছিলনা এবং এখনো নেই। ছাত্রশিবির জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করেনা। বরং সিমাহীন জুলুম নির্যাতনের পরও ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এগিয়ে চলছে। যার স্বাক্ষী এদেশের আপামর ছাত্রজনতা। তবুও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এমন ডাহা মিথ্যাচার মূলত কোন বিশেষ গুষ্টির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য করা হচ্ছে বলে সচেতন দেশবাসী মনে করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন ঘটনা ঘটলেই সেখানে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করতে যুগান্তরের মত কিছু গণমাধ্যম হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যা আসল সত্য উদঘাটনে সরাসরি বাঁধার সৃষ্টি করে। অপপ্রচারকারীদের বুঝা উচিৎ কোন গণমাধ্যম থেকে জনগণ কোন মিথ্যা বানোয়াট কল্পকাহিনী আশা করেনা।
নেতৃবৃন্দ এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫

জামায়াত নেতা আবদুল গাফফার বাবুলের ইন্তিকালে ডা. শফিকুর রহমানের শোক

সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর আবদুল গাফফার বাবুল গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে দক্ষিণ সুরমা থানার মোল্লার গাঁও ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে নিজ বাড়ীতে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। গতকাল বাদ আসর নামাজে জানাযা শেষে মরহুমকে নিজবাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোক বাণী: আবদুল গাফফার বাবুলের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান শোকবাণী দিয়েছেন। 
শোকবাণীতে তিনি বলেন, মরহুম আল্লাহর দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। আল্লাহ তার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করুন। 
তিনি মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

শামসুল ইসলামকে জেল গেইট থেকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী : চান্দগাঁও জামায়াত

shamsul-islam
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি মাওলানা সামশুল ইসলামকে মুক্তির পর জেলগেইট থেকে পূনঃরায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন চান্দগাঁও থানার জামায়াত নেতৃবৃন্দ

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি মাওলানা সামশুল ইসলামকে মুক্তির পর বান বার জেলগেইট থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে দেশে কোন আইনের শাসন নেই। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের মাসিক ওয়ার্ড সভাপতি সভায় নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জামায়াতসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি রাখার এবং মুক্তির পর জেল গেইট থেকে পুনঃরায় গ্রেপ্তারের যে নিয়ম বর্তমান সরকারের সময় চালু করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে অঘোষিত এই ফ্যাসীবাদী নিয়ম বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসান উল্লাহসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক ওয়ার্ড সভাপতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে মোস্তফা, আলতাফ, মোঃ রফিকসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

দেশপ্রেমিক ও উন্নত জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই -শিবির সভাপতি


ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ইসলামী শিক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার -সংগ্রাম
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, জাতির কাক্সিক্ষত সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। আর ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া নৈতিক শিক্ষা সম্ভব নয়। 
গতকাল রোববার চট্টগ্রামের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ইসলামী শিক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি জাওয়াদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক মো’তাসিম বিল্লাহ, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল মো. ইউনুস। 
শিবির সভাপতি বলেন, দেশে শিক্ষিতদের মাঝে নৈতিক জ্ঞানের অভাবের কারণে জাতি সামনের দিকে এগুতে পারছে না। দুর্নীতির মহামারীতে বার বার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে মেধাবীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দুর্নীতি করছে। চলমান শিক্ষার সাথে নৈতিকতার সমন্বয় থাকলে তারা দেশের অভিশাপ না হয়ে সম্পদে পরিণত হত। দেশ এগিয়ে যেত সমৃদ্ধির দিকে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গঠন করলে সমাজের অন্যায়-অত্যাচার, খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানি কমে যেত। দেশে নেমে আসত শান্তির ধারা। 
শিবির সভাপতি আরো বলেন, শহীদ আব্দুল মালেক তখনকার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রীদের নির্মম আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তারা ভেবেছিল আব্দুল মালেককে হত্যা করলেই ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তার রেখে যাওয়া স্বপ্নের পথে হাঁটছে আজ লাখো তরুণ। রাষ্ট্রে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহীদ আব্দুল মালেকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি ছাত্রকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজের দায়িত্ব ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকেই নিতে হবে। সমাজের প্রত্যেকটি ছাত্রের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছিয়ে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে।

সন্ত্রাস চাঁদাবাজি হত্যা ও নৈরাজ্য বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সোনার ছেলেদের অত্যাচার নির্যাতনে দেশবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে -ডা. শফিকুর রহমান


আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা ও নৈরাজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা.শফিকুর রহমান গতকাল রোববার বিবৃতি দিয়েছেন। 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মানুষের বাড়িঘর দখল করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসে গোটা জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের চাঁদাবাজির মহোৎসব। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ব্যবসায়ী মহল, বাড়িওয়ালা, শিল্প-কারখানা ও দোকানের মালিকরা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সকলেই সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের অত্যাচার নীরবে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ভূঁইয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের নিকট যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য এসেছিল। কিন্তু চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় যুবলীগের সন্ত্রাসীরা শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ১৩ জন ছাত্রীসহ ৪০ জন আহত হয়। 
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগরীর বাড্ডায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় নিহত হয়েছে একজন। আওয়ামী লীগ সারা দেশে এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, হত্যা ও খুনের খবর ছবিসহ প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন ও সন্ত্রাসে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সোনার ছেলেদের অত্যাচার নির্যাতন, চাঁদাবাজি, খুন, টেন্ডারবাজির কারণে দেশবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার দলের সন্ত্রাসীদের সামাল দিন। জনগণকে শান্তিতে থাকতে দিন। ব্যবসায়ীদেরকে শান্তিতে ব্যবসা করতে দিন। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষকদেরকে অনুকূল পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

বোরখা পরার কারণে ছাত্রী পেটানো শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আকতারকে বোরখা পরে স্কুলে আসার কারণে শিক্ষিকা ইসমতারা বেগমের মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল বুধবার নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আকতারকে বোরখা পরে স্কুলে আসার কারণে শিক্ষিকা ইসমতারা বেগমের মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ। এই ফরজ পালনে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ইসমতারা বেগম বোরখা পড়ার কারণে নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে বেত্রাঘাত করে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছেন। একটি মুসলিম দেশে এই ধরনের গর্হিত আচরণের কথা কল্পনাও করা যায় না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এক শ্রেণীর ইসলাম বিদ্বেষী লোক নানা অযুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে বাধা দিচ্ছে। যারা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে বাধা দেয় তারা ইসলামের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ইসমতারা বেগমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ইসলামী সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ কবি মতিউর রহমান মল্লিকের আজ মৃত্যুবার্ষিকী


বিশিষ্ট কবি, গীতিকার এবং ইসলামী সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণপুরুষ কবি মতিউর রহমান মল্লিক ১৯৫৬ সালের ১ মার্চ বাগেরহাট জেলার বারইপাড়াগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। রঙিন মেঘের পালকি', ‘আবর্তিত তৃণলতা' ও ‘অনবরত বৃক্ষের গান' তার কবিতার বই। তার গানের বই হচ্ছে ‘ঝংকার', ‘যত গান গেয়েছি'। ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ' নামে তার একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে।
.অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন কবি মতিউর রহমান মল্লিক। এর মধ্যে রয়েছে সবুজ মিতালী সংঘ সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণ পদক, কলম সেনা সাহিত্য পদক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাহিত্য পুরস্কার (ফ্রান্স), বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ পুরস্কার, কিশোরকন্ঠ সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ইত্যাদি।
.ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ কবি ও গীতিকার মতিউর রহমান মল্লিক মারাত্মক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে সজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন দীর্ঘদিন। গত ১১ জুলাই ডায়ালাইসিস শেষে বাসায় ফেরার পরপরই তার কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়। প্রায় ২৫ মিনিট শ্বাস বন্ধ-মৃত প্রায় অবস্থায় হলে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে কয়েক ঘণ্টা তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে রাখা হয়। পরে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। গত ২১ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে কবি মতিউর রহমান মল্লিকের জন্য ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
.উল্লেখ্য, কবি মতিউর রহমান মল্লিককে ব্যাংকক থেকে হার্টে ৫টি রিং সংযোজন করে দেশে নিয়ে আসার পর বাসায় রেখে সপ্তাহে ৩দিন তাকে ইবনে সিনায় রেখে ডায়ালাইসিস করানো হতো। এভাবে ১ বছর পর পুনরায় ব্যাংককে নিয়ে কিডনী সংযোজনের কথা ছিল। হঠাৎ করেই কাডির্য়াক এ্যারেস্টের ঘটনা ঘটনায় কবি মল্লিক ডীপ কোমায় চলে যান। অবশেষে ১১ আগস্ট ২০১০ দিবাগত রাত ১২:৩০টায় ঢাকার
স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন।
.মহান রব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।।
- Collected Post

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

কার্যকরী পরিষদের ২য় সাধারণ অধিবেশন: ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে নিজেদের অনুকরণীয় হিসেবে গড়তে হবে-শিবির সভাপতি

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের দ্বিতীয় সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার -সংগ্রাম
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, ইসলামের প্রসার ও প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তাই ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে নিজেদের অনুকরণীয় হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। 
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কার্যকরী পরিষদের ২য় সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও সেলিম উদ্দিন। 
শিবির সভাপতি বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার যে দায়িত্ব নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তা কোন দল মত বা ব্যক্তির নয়। বরং তা স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত। কিন্তু এই এগিয়ে চলার পথ কোনকালেই মসৃণ ছিল না। এ পথে চলতে গিয়ে শুধু ঈমানদার নয় বরং বহু নবী রাসুলগণকে পর্যন্ত অমানবিক জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে এবং থাকবে। যুগে যুগে ইসলামের সৈনিকগণ ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। ইতিহাসের পাতায় আজ জুলুমকারীরা নিন্দিত আর মজলুমরা নন্দিত। আজও যারা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রতি জুলুম অবিচার করছে তাদের অবস্থানও নিন্দিতদের সাথেই হবে। আর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যোগ্যতা ও ত্যাগের অনুকরণীয় দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে নিজেদের গঠনের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। 
তিনি আরও বলেন, বাতিলের সকল অপতৎপরতার উপযুক্ত জবাব হলো ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ জন্য জ্ঞান, কৌশল ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে দাওয়াতের প্রসারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কুরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী অপকৌশল মোকাবেলা ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। 
অধিবেশন শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে সেক্রেটারিয়েট পুন র্গঠন করেন।

পাঁচবিবি জামায়াত নেতা কারাগারে

নাশকতা মামলায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল আমিন ভূঁইয়া জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, মোস্তাফিজুর রহমান নাশকতার মামলায় হাইকোট থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে দুপুরে তিনি ওই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিন্ধান্তে শ্রমিক কল্যাণের নিন্দা ও প্রতিবাদ

১ লা আগষ্ট থেকে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে সরকারের অন্যায় সিন্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য জনাব অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান। ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শ্রমিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে সরকারের এই সিন্ধান্ত অপরিপক্ব,অযৌক্তিক,অন্যায় ও মানবিক অধিকারের লঙ্ঘণ। সরকারকে সিন্ধান্ত গ্রহন করার পূর্বে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের বেকার হবার বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত ছিল। ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক মালিকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যা সমাধান না করে হঠাত করে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিন্ধান্তের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে তার দায়িত্ব সরকারের এড়াতে পারেনা। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এই সিন্ধান্ত আইএলও কর্তৃক প্রণীত পরিবহন নীতিমালা যা বাংলাদেশ সরকার অনুসমর্থন দিয়েছেন তার সুস্পষ্ট লংঘন। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারের এই অপরিনামদর্শী সিন্ধান্তের ফলে শুধু লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকারই হবেনা বরং মালিক পক্ষও ক্ষতিগ্রস্থ হবে কারণ সরকারের অনুমোদন নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তারা এই অটোরিকশা আমদানি করেছে। এরপরে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সিএনজি ষ্টেশন মালিক কারণ মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলকে কেন্দ্র করে হাজার ফিলিং ষ্টেশন তারা স্থাপন করেছেন। আর জনগনের ভোগান্তির বিষয়টিতো আছেই। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক নেতা সাথে আলোচনা করে একটা যৌক্তিক সমাধান খুজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৫

চান্দগাঁও থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ বৈঠকে নেতৃবৃন্দ: সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহবান

বাংলাদেশ বার্তা ৬ আগষ্ট ২০১৫; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা জামায়াত নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কাযকলাপ ও জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
চান্দগাঁও থানা জামায়াতের মাসিক কর্মপরিষদ বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানান।
চান্দগাঁও থানা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর জনা আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কর্মপরিষদ বৈঠকে সর্বজনাব মোস্তফা, আলতাফ, রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ জে.সরকার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। কর্মপরিষদ বৈঠকে নেতৃবৃন্দ নিয়মিত কার্যক্রম ছাড়াও দেশের বর্ত মান সার্বিক পরিস্তিতি পর্যালোচনা করে সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও জামায়াতসহ জনগণের উপর চালানো জুলুম নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গনতন্ত্রে ফিরে আসার ও সকল প্রকার জুলুম নির্যানত বন্ধ করার জোর দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ দেশে অব্যাহত ভাবে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় অব্যাহত ভাবে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কার্য কর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

রাজধানীতে জামায়াত নেতার জানাজায় যুবলীগের হামলা: আহত ২, আটক ২



শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতা হারুন অর রশিদ-এর নামাজের জানাজায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় জানাজার নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা হামলাকারী যুবলীগের কর্মী বাবুলকে গণধোলাই দিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জন মুসল্লিকে আটক করেছে।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার শাহাজাতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড্ডার শাহজাদপুরে জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের জানাজার নামাজ শুরুর আগে বাবুল নামে এক যুবলীগ কর্মীর নেতৃত্বে কয়েকজন ক্যাডার এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত নেতারা। এসময় যুবলীগ নেতাকর্মীরা দুইজন মুসল্লিকে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং একজনকে তারা মারধর করেছে বলেও জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন।


জামায়াত নেতারা আরও অভিযোগ করে বলেন যে, আওয়ামী লীগ নেতাদের অত্যাচারের কারণে হারুন রশিদ কয়েক বছর যাবত বাসার বাইরে ছিলেন। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ার পরও তিনি পুলিশি হয়রানী কারণে বাসায় আসতে পারেননি। অবশেষে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকালের পর তার লাশটা বাসায় আনা হয়। কিন্তু, তার জানাজায়ও যুবলীগের ক্যাডাররা সাধারণ মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা আটককৃত দুই মুসল্লির মুক্তিও দাবি করেন।
মরহুম হারুন অর রশিদ বাড্ডা থানা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির এবং দলটির ঢাকা মহানগরের নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।