আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা ও নৈরাজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা.শফিকুর রহমান গতকাল রোববার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মানুষের বাড়িঘর দখল করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসে গোটা জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের চাঁদাবাজির মহোৎসব। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ব্যবসায়ী মহল, বাড়িওয়ালা, শিল্প-কারখানা ও দোকানের মালিকরা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সকলেই সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের অত্যাচার নীরবে সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ভূঁইয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের নিকট যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য এসেছিল। কিন্তু চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় যুবলীগের সন্ত্রাসীরা শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ১৩ জন ছাত্রীসহ ৪০ জন আহত হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগরীর বাড্ডায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে। ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় নিহত হয়েছে একজন। আওয়ামী লীগ সারা দেশে এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, হত্যা ও খুনের খবর ছবিসহ প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন ও সন্ত্রাসে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সোনার ছেলেদের অত্যাচার নির্যাতন, চাঁদাবাজি, খুন, টেন্ডারবাজির কারণে দেশবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার দলের সন্ত্রাসীদের সামাল দিন। জনগণকে শান্তিতে থাকতে দিন। ব্যবসায়ীদেরকে শান্তিতে ব্যবসা করতে দিন। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-শিক্ষকদেরকে অনুকূল পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন