বাংলাদেশ বার্তাঃ চারপাশের দৃশ্যপট কেমন যেন নির্মম অমানবিক মনে হয়। প্রেম-প্রীতি, মায়া-মমতা, দরদ-ভালোবাসা দিন দিন কেন যেন মানবের মাঝ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অমানবিক আচরণের ঘটনা ঘটছে অহরহ। অমানবিকতার দাপটে মানবিক আচরণ যেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। একজন মা সন্তানের প্রতি যে জাতীয় ভালোবাসা স্নেহ-মমতা লালন করেন আর কারো ক্ষেত্রে এমনটি লক্ষ্য করা যায় না। শুধু মানুষ নয়, সন্তানের প্রতি এমন ভালোবাসা পশু-পাখি ও প্রাণিকুলের মাঝেও দেখা যায়। তার অর্থ এই যে সন্তানের প্রতি মায়ের গভীর ভালোবাসা সকল প্রাণীর মাঝেই সর্বজনবিদিত একটি চিরায়ত বিষয়। কিন্তু যখন দেখি সেই মা-ই তার নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করছে তখন বুঝতে আর বাকি থাকে না মানুষের মানবিকতা কতটা নিচে নেমে এসেছে। মানবিকতার সঙ্কট আজ মহাপ্রলয়ের রূপ ধারণ করেছে, মা খুন করছে সন্তানকে, সন্তান খুন করছে পিতা-মাতাকে। ভাই খুন করছে তার নিজের ভাইকে। দিন যত যাচ্ছে সমাজে অমানবিকতার রূপ ততই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
গত ২২ জুলাই কুষ্টিয়ার আদালতে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নির্ভীক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে যে নৃশংস হামলা চালিয়েছে তা ছিল অমানবিকতার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি সেদিন মিথ্যা ও বানোয়াট মানহানির মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ার আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা মাহমুদুর রহমানকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা বিধানে ডেকে পাঠালেও পুলিশ কর্তা তাতে ভ্রƒক্ষেপ করেননি। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই মাহমুদুর রহমানের গাড়িতে হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত হয় মাহমুদুর রহমানের পুরো শরীর । দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন আদালত চত্বরেও ছাত্রলীগের নির্মম অমানবিক হামলা থেকে রক্ষা পাননি।
শুধু মাহমুদুর রহমানই নয়, ছাত্র-শিক্ষক এমনকি সাধারণ মানুষও ছাত্রলীগের আক্রমণ থেকে নিরাপদ নয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম, ভয়াবহ এবং নৃশংস কায়দায় চালানো হামলাগুলো অমানবিকতার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। এসব হামলার দৃশ্য যারা সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দেখেছেন নিশ্চয়ই তারা উপলব্ধি করেছেন মানবের অমানবিক রূপ কত ভয়ঙ্কর! নির্মম লাঠিপেটা, হাতুড়িপেটার দৃশ্য বিবেকবান যারা দেখেছেন তাদের চোখ দিয়ে অবলীলায় পানি গড়িয়ে পড়েছে। উফ! কতটা নির্মম কতটা অমানবিক ছিল সেই দৃশ্যগুলো!
কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে ২ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা হাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তারেকের ওপর হাতুড়ি নিয়ে হামলার দৃশ্য যতবার দেখেছি ততবার ব্যথিত হয়েছি। সোস্যাল মিডিয়াতে এ দৃশ্য যারা দেখেছে সকলেই আঁতকে উঠেছে। ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তরিকুলের পায়ের এক্সরের ছবি দেখে হৃদয়টা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল। মনের অজান্তে পানিও চলে এসেছে চোখে। হাতুড়ি দিয়ে পেটার নির্মম দৃশ্য দেখে ভেবেছিলাম তার ওপর হামলাকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হাতুড়ি মামুন তখন নিশ্চয়ই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ছিলো, সে সময় নিশ্চয়ই তার জ্ঞান, বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়েছিল। কিন্তু মাছরাঙা টেলিভিশনের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার আমার সে ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। কারণ হাতুড়ি মামুন খুব দম্ভ করে বলেছে, তরিকুলকে হাতুড়ি পেটা করে সে বরং বীর পুরুষের মতোই কাজ করেছে। এর জন্য তার কোনো অনুশোচনা নেই। সে স্বাভাবিকই আছে। এর কয়দিন আগে ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক নুরের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের যে নৃশংস হামলা হয়েছে তা ছিল আরো হৃদয়বিদারক। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে একটি পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন ছিল। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের প্রায় আধা ঘণ্টা আগেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় আন্দোলনকারী নেতাদের ওপর। হামলার ধরনে দেখা যায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মূল টার্গেটই ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। বিশেষ করে নুর হোসেন নুরু। তারা নুরুর ওপর এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। মাটিতে ফেলে পেটাতে থাকে। বুটজুতা দিয়ে একের পর এক লাথি মেরে শরীর রক্তাক্ত করে দেয়।
হামলার ধরন এতই ভয়াবহ ও নির্মম ছিল যে মুমূর্ষু নুর উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের দু’পায়ের মাঝখানে ঢুকে পা ধরে রেখে বাঁচার জন্য আর্তচিৎকার করছিল। শিক্ষক মানবিক হয়ে আরো কয়েকজনের সহায়তায় নুরকে গ্রন্থাগারের ভেতরে নিতে চাইলে তিনিও লাঞ্ছনার শিকার হন। পা ধরে থাকা শিক্ষকের সামনেই তার ছাত্রকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে লাঠিপেটা, লাথি, কিল-ঘুষি দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থার দিকে ঠেলে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আপনাদের সকলেরই জানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি ক্যাম্পাসে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ আরো বেপরোয়া হয়েছে। দফায় দফায় হামলা করছে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর। ছাত্রলীগের এই নির্মম নৃশংস অমানবিক আচরণের ঘটনা যতবার দেখেছি ততবার ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন মোড়ে লগি-বৈঠার তা-ব চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা মনে পড়ছে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। অমানবিক নির্মম দৃশ্যগুলো দেখে চোখের কোণ বারবার অশ্রুসিক্ত হয়েছে। অশ্রুভেজা চোখের পাতা মুছে ভেবেছি, ছাত্রলীগের এমন অমানবিকতা, এমন নৃশংসতা তো নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে তারা এভাবেই পেশিশক্তি ব্যবহার করে পৈশাচিক কায়দায় ভিন্ন মত-পথের মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রিয় পাঠকের জানা থাকার কথা, ১৯৬৯ সালের ১৫ আগস্টের কথা। যেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম মেধাবী ছাত্র শহীদ আবদুল মালেক শাহাদাতবরণ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ফেরার পথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হামলার শিকার হন তিনি। আহত শহীদ মালেক পরে ১৫ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাতবরণ করেন। সেদিনের হামলার ধরন আর ২৮ অক্টোবরের হামলার ধরন একই। রাবিতে হাতুড়িপেটার ধরন আর সর্বশেষ ২২ জুলাই কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে নির্ভীক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ধরনও সামঞ্জস্যতাপূর্ণ। ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে যারা লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্য করেছিল, তাদের আদর্শ বহনকারীরাই কিন্তু বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যা করেছিল। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর নাটোরের বরাইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে যারা হত্যা করেছিল তারাতো একই চেতনার অনুসারী। প্রতিটি ঘটনারই হামলাকারীরা একই চিন্তা-চেতনার অধিকারী, তাদের রাজনৈতিক প্লাটফর্মও একই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, তাদের হামলার ধরন ও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু একই। পূর্বে এ ধরনের নির্মম হামলায় যারা সংশ্লিষ্ট ছিল তাদেরই উত্তরসূরি ছাত্রলীগ আজ নির্মম হামলা চালিয়ে অমানবিকতার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।
আদর্শের লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে যারা পেশিশক্তিকে হাতিয়ার বানায় তারা যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব পায় তাহলে অমানবিকতার প্রলয় রূপ ধারণ করবে এটাইতো স্বাভাবিক। তা-না-হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর এমন নির্মম হামলার পরও প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে একবারের জন্যও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেননি। হামলাকারীদের বিচার করা হবে বলে কোনো বক্তব্য না দিয়ে উল্টো যারা আহত কিংবা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিচার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই তার পরিবারের সদস্যদের হারানোর স্মৃতিচারণ করে কাঁদেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য তুলে ধরেন, নিশ্চয়ই তখন তার চাইতে বেশি ব্যথা আর কেউ অনুভব করেন না। প্রধানমন্ত্রী একজন মা, মা হয়ে তিনি তার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা পোষণ করেন এমন ভালোবাসা রাশেদের মা কিংবা নুরুর বাবাও পোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী কি নুরুর বাবা আর রাশেদের মায়ের কান্না শুনতে পান না? নিহত নাস্তিক ব্লগার রাজিবের বাসায় দ্রুত ছুটে গিয়ে শেখ হাসিনা রাজিবের পরিবারকে সান্ত¡না দিয়ে এলেন। নুরু বা রাশেদের পরিবারের পাশে না দাঁড়ান অন্তত মানবিক হয়ে তাদের প্রতি একটু সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারতেন, হামলাকারীদের বিচার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতিতো দিতে পারতেন। অবশ্য প্রতিশ্রুতি তিনি কিভাবে দিবেন। আজ পর্যন্ত তিনি কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন? ১০ টাকায় চাল খাওয়াবেন বলেছিলেন এ ওয়াদা পূরণ করেননি, ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন বলেছিলেন, চাকরির বদলে ঘরে ঘরে লাশ উপহার দিয়েছেন। বিরোধী দলে গেলে কখনো হরতাল করবেন না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেও ২০০১-২০০৬ সালে কত শত হরতাল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা ভঙ্গের সর্বশেষ নজির কোটা বাতিলের ঘোষণা! মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা থাকবে না বলে বক্তব্য দিলেও ঠিক তার দুই মাস পর তা সম্ভব না বলে ওয়াদা খেলাপ করেছেন।
স্বার্থের দ্বন্দ্বে আজ আমরা কেমন যেন অমানবিক এবং নৃশংস আচরণ করছি। মানবিকতা আজ আমাদের থেকে যোজন যোজন দূরে। মাঝেমধ্যে দেখি মানবিকতার পরিবর্তে পাশবিকতারই যেন দখলদারিত্ব চলছে। অথচ মানবের প্রতি আমাদের মানবিকই হওয়ার কথা ছিল।
২ জুলাই শহীদ মিনারে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সময় একটি কুকুরের মাঝে মানবের প্রতি দরদ দেখে একদিকে যেমন বিস্মিত হয়েছি, অন্যদিকে ভীষণ লজ্জিতও হয়েছি। মানবের ওপর মানব যখন নির্মমভাবে আঘাত হানছে তখন এগিয়ে এসে ঘেউ ঘেউ করে প্রতিবাদ করেছে একটি রাস্তার কুকুর। কুকুরের মাঝে মানবের ব্যথা অনুভব করার যে বোধ বা স্নায়ুবিক জ্ঞান ছিল তার সামান্যতমও ছিল না ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের মাঝে। কোটা সংস্কারের পক্ষে একটি মানববন্ধনে অংশগ্রহণের দায়ে, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমানকে যে রকম নির্মমভাবে আঘাত করেছে আর তাকে উদ্ধার করতে আসা ছাত্রী মরিয়ম, নিলাদের ওপর যেভাবে হামলে পড়েছে তা ছিল নজিরবিহীন। সেই পরিস্থিতিতে একটি কুকুর যেভাবে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে তা মানবরূপী মনুষ্যত্বহীন মানবের জন্য সত্যিই অপমানজনক ও লজ্জাকর। শহীদ মিনারে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দিকে ধেয়ে আসা প্রতিবাদী কুকুরের ফুটেজ দেখে আফসোস করে ভাবি, কুকুর নামক একটি প্রাণী মানবের প্রতি মানবিক হলো অথচ মানব হয়েও আমরা স্বজাতির প্রতি মানবিক হতে পারলাম না!
লেখক : এমফিল গবেষক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন