নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ধামাচাপা দিতে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামে অসংখ্য ছাত্রকে আটকের পর তা অস্বীকার করার এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে খোদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাঝে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে যানবাহন শূণ্য নগরীর জামালখান হয়ে রিক্সা যোগে কাজির দেউড়ি যাওয়ার পথে আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আনোয়ার তার বাল্য বন্ধু সরকারী সিটি কলেজের দর্শন বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র এহসানুল হক মিলনকে ডিবি পুলিশের একটি দল সম্পূর্ণ বিনা কারণে আটক করে নিয়ে যায়।
একই সময় এলাকার ওয়াসার মোড় থেকে চট্টগ্রাম কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিমকেও আটকের অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু আটককৃতদের ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ তাদের আটকের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাদেরকে নানা ভয়ভীতি দেখায় বলে সূত্র জানায়।
এদিকে পরিবার ও বন্ধুদের অভিযোগ আটককৃত ছাত্রদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ফেসবুক পাসওয়ার্ড নিয়ে তাদের আইডি থেকে নানা বিভ্রান্তিকর ও দেশবিরোধী পোষ্ট দেয়া হচ্ছে। যা একেবারেই নিকৃষ্ট ও হীণ চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। ছাত্রদের অভিভাবকেরা গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই আটককৃতদের কাছ থেকে জোর করে মিথ্যা নিয়ে সাজানো মামলায় জড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরণের জঘণ্য কাজ বেছে নিয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করলে যেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে তোলার বিধান থাকলেও এসব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় হওয়ায় স্বজনেরা পুলিশের প্রতি বেআইনী কাজ করার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে তাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করার জোর দাবী জানান। একই সাথে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সেবাদাসের ভূমিকা বাদ দিয়ে সাধারণ জনগনের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নিজেদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
কার্টেসীঃ ভুক্তভোগী পরিবার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন