বাংলাদেশ বার্তাঃ আন্দোলনরত ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে খুলনা।এসময় খুলনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ৬ শিক্ষার্থী ও এক ট্রাফিক পুলিশকে আহত করেছে কাগজপত্র বিহীন প্রাইভেটকার।যার নাম্বার হচ্ছে খুলনা মেট্রো-চ-১১-০২৭১।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বৃহস্পতিবার (০২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে টাইগার গার্ডেনের সামনের সড়কে সামনে হঠাৎ ছাত্রছাত্রীরা গাড়ির কাগজ চেক করতে গেলে, অতর্কিত ভাবে গাড়িটি কাগজ না দেখিয়ে দ্রুত টান দেয়,এ সময় আহত হয় এক ট্রাফিক পুলিশ সহ ৭জন।
তারা জানান, ময়লাপোতা থেকে একটি প্রাইভেটকার আসছিলো।গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চায় আন্দোলকারীরা। তিনি কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। চালক গাড়ি নিয়ে পালাতে চাইলে আবার বাঁধা দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন চালক বেপরোয়াভাবে শিববাড়ি হয়ে যশোর রোড দিয়ে পালাতে গেলে গাড়ির ধাক্কায় হোচট খেয়ে পড়েন ৫ শিক্ষার্থী। আর ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার পাশের তারকাটার উপর পরে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্ষীপ্ত হয়ে মটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে গাড়িটিকে আটক করে। এ সময় গাড়ির চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যান।
আহতরা হলেন – খুলনা সরকারি (খুলনা কমার্শিয়াল কলেজ) কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান আবু জর, বয়রা মডেল কলেজের ছাত্র মিহান, আগাখান স্কুল ৭ শ্রেণীর রাফিদ হাসান, মহসিন কলেজের ছাত্র রাজু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায় নি শহীদ মো. জাহিদ নামের এক ছাত্র ও ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই আবু সোলাইমান।
এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি পাজেরো।যার নাম্বার খুলনা মেট্রো-ঘ ১১-০০৫৭।গাড়িটি শেখপাড়া তেতুলতলা মোড় এলাকায় আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। শিক্ষার্থীরা হলেন খানজাহান আলী সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র এম ডি জাহিদ হোসেন, সুন্দরবন কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষার্থী আজবার রাজ। তাকে তাৎক্ষনিকভাবে কিউর হোম ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা গাড়িটিকে ভেঙ্গে ফেলে।পরে,আহতদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে,খুলনা কেডিএ নিউমার্কেটের সামনে দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএসসি) একটি গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনরত ছাত্ররা। চালককে গাড়ির কাগজ পত্র দেখতে চাইলে ড্রাইভার কাগজপত্র দেখানোর কথা বলে গাড়ি থেকে নেমে চালক পালিয়ে যায়। গাড়ীর নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৩৫২৪)। কোন কাগজপত্র বা চালক না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটির সামনে ভুয়া লেখে দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন