বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, নিরক্ষরতা একটি অভিশাপের নাম। এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্তরায়। তাই নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আজ কেন্দ্র ঘোষিত পক্ষকালব্যাপি সাক্ষরতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে স্বাক্ষরতা অভিযান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাফিউল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক রাকিব মাহমুদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক সাদেক বিল্লাহ।।
শিবির সভাপতি বলেন, নিরক্ষরতার কুফল ভোগ করছে বাংলাদেশ। পৃথিবী যখন প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে তখন শত সম্ভাবনা থাকার পরও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এর অন্যতম কারণ হচেছ জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ এখনো নিরক্ষর। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখাযায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ এখনো নিরক্ষর। নিরক্ষতার দূর করতে ক্ষমতাবানরা মুখে মুখে সফলতার বুলি আওড়ালেও বাস্তবে অবস্থা শোচনীয়। লোক দেখানো ব্যপক কর্মসূচি গ্রহণ করলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়না। নিকট ভবিষ্যতে দ্রুত নিরক্ষরতা দূর করার সম্ভাবনাও কম। তাই সরকারের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। দেশ আমাদের, জনগণ আমাদের সুতরাং দায়িত্বও সবার। যার যার অবস্থান থেকে যদি আমরা নিরক্ষরতা দূর করতে আন্তরীক ভাবে চেষ্টা করি তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশকে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত করতে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে শিক্ষা অর্জন প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং নিরক্ষরতার বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। আমরা দেশের ছাত্রসমাজসহ প্রতিটি শিক্ষিত মানুষকে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
পরে নেতৃবৃন্দ নিরক্ষর নারী, শিশু, ও কিশোরদের মাঝে বই, খাতা, বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপি স্বাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি ঘোষনা করেছে ছাত্রশিবির। এসব কর্মসূচির আলোকে প্রতিটি জনশক্তি একজন নিরক্ষরকে অক্ষরজ্ঞান দান নিশ্চিত করা, উপশাখা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা, পথশিশু ও শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার দেয়া, পথশিশু, শ্রমিক ও অশিক্ষিতদের মাঝে খাতা-কলম, পেন্সিল, চক-ডাষ্টার, বোর্ড, বর্ণমালার বই বিতরণ করা ও বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন