বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ "গতকাল বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মীর কাশেম আলীর ফাঁসির খবরটি শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
আমার মত বহির্বিশ্বের সবার কাছেই ব্যাপারটি খুবই স্পষ্ট যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসন জঙ্গিবাদের মিথ্যে ঝান্ডাকে কাজে লাগাচ্ছে আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার নিজের ও দলের জন্য হুমকি স্বরুপ সকল রাজনীতিবিদদের উপর বাঙ্গালীর আবেগ জড়িত যুদ্ধাপরাধের কালিমা লেপন করছে।
জাতিসংঘসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনও চলমান এই মিথ্যা, বানোয়াট, মৌলিক বিচারিক প্রক্রিয়া বর্জিত এবং আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করা বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
হ্যাঁ , আমি এটি বুঝি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বা এই সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ই বাঙ্গালীদের কাছে খুবই আবেগমিশ্রিত, বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক এবং সেটাই হওয়া উচিত। (Please note: I AM NOT DISCUSSING MUCH LESS DEFENDING THE EVENTS OF THAT YEAR!)
কিন্তু, আমার যুক্তি অত্যন্ত সাধারণ - মীর কাশেম আলী একাত্তরের নৃসংশ কোন হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত নয়, তার অপরাধ হল সম্পৃক্ততার অপরাধ (Guilt by Association) । বিরোধী দলে থাকার অপরাধ। বিরোধী দলে থেকে তিনি বর্তমান প্রশাসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
দুঃখজনক হলো মীর কাশেম আলীর ফাঁসির ব্যাপারটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের দীর্ঘ পরিক্রমার একটি সাম্প্রতিক চিত্র মাত্র।
অবশেষে বলতে চাই, বৃথা যাবে না তাদের রক্ত (কোন নিরপরাধীর রক্ত)। শেষ বিচারের দিন সকল খুনীদের (হোক সেটি ৭১ এর নৃশংস কোন হত্যা কিংবা ২০১৬ এর রাজনৈতিক হত্যাকান্ড) মহান আল্লাহ তায়ালার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, জবাবদিহি করতে হবে সকল খুনের।
মহান আল্লাহ মীর কাশেম আলীসহ অন্যায়ভাবে খুন হওয়া তার সকল সহযাত্রীকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন"।
(অনূদিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন