ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ফাঁসি ৭৫ বছর পরে হলো কেন? আরো আগেই হওয়া উচিত ছিল! - মাওলানা আবুল হাশেম মোল্লা

কেউ হয়তো ভাবছেন বলে কী? মাথা ঠিক আছে! ৭৫ বছর হলো কোথায়? ভয়ংকর মানবতাবিরোধী অপরাধ!! হলো ৪৫ বছর আগে। ৩০ বছর বাড়লো কীভাবে? 
(পড়তে থাকুন, সামনে ব্যাখ্যা পেয়ে যাবেন )
পৃথিবীর ইতিহাসে কোন যুগ ছিল? কোন কাল ছিল? কোন দেশ ছিল? যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয়েছে, অথচ হত্যা, নির্যাতনের শিকার হতে হয়নি?
এটা নিতান্তই এক স্বাভাবিক পরিণতি। মরিচ খাওয়ার পরে যে মরিচ ঝাল দিতে পারে না, সেটা কেমন মরিচ? যে মধু খেলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে না, তা যে নকল আর প্রতারণার মধু, এটা ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানোর অবকাশ রাখে না। 
"আমার বান্দাদের জন্য আফসোস! এমন কোন নবী রাসুল পাঠাইনি, যার সাথে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ না করেছে।" (সূরা ইয়াসিন :৩০) কেন নবীগণ (আ) নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন? কী ছিল তাদের অপরাধ?

আল্লাহ পাক বলেন, "তাদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার একটিই কারণ, কেন তারা পরাক্রমশালী ও স্বপ্রশংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে" (সূরা বুরুজ : ০৮)
সুতরাং যে ঈমান দুনিয়া পূজারীদের স্বার্থ রক্ষা করে, তাই আর যা হোক নবীওযালা কাজ হতে পারে না !
ইসলামের কাজ বাতিলের বাধার সম্মুখীন হবেই হবে। হত্যা, নির্যাতনের স্তর অতিক্রম ছাড়া যারা বিজয়ের স্বপ্ন দেখেন, তারা চরম বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আল্লাহ কসম করে বলতে পারি, তারা কুরআনও ভালোভাবে বুঝেন নি কিংবা নবীগণের (আ) কাজও উপলব্ধি করতে পারেনি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এরকম বাধার চূড়ান্ত পর্যায় কখন হবে?
হ্যা! সেটা তখনই হবে যখন বাতিল বুঝতে পারবে, তাদেরকে আর ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
চেতনার দালাল আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধী!! জামাতিদের সাথে কি একসাথে আন্দোলন করে নি? তখন অসভ্যদের চেতনায় আঘাত লাগেনি কেন? উত্তর একটাই, তখনো পর্যন্ত 'জামায়াতে ইসলামী' ইসলামের শক্তি হিসেবে এতটা আত্মপ্রকাশ করতে পারে নি।
তার মানে জামায়াত নিজেদের কাজ নিজেরা বৃদ্ধি করে, খাল কেটে কুমির এনেছেন! আর এটাই গৌরবের বিষয়, এটাই শাহাদাত লাভের অফুরন্ত সুযোগ।

এ থেকে আত্মরক্ষার একটিই বুদ্ধি ছিল, তা হলো ইসলামের কাজ বন্ধ রেখে, আল্লাহর গোলামী ত্যাগ করে, মানবরচিত মতবাদের গোলামী করা। 
"গোটা বিশ্বের কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবেন, আবার আরামেও থাকবেন, এ জাতীয় মুনাফেকীর সুযোগ অন্তত ইসলামে নাই।
এ ফাঁসি আরো ৭৫ বছর আগে হওয়ার দরকার ছিল। যখন ১৯৪১ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তখনই। কিন্ত তখন না হওয়ার কারণ, তখনো পর্যন্ত এটা এত বড়ো শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে নি। এ ফাঁসি আরো ৩০ বছর পরেও হতে পারতো, যদি আমাদের প্রভাব আরো কম থাকতো। মনে রাখবেন, সেটার জন্য ৭১ এর অপরাধীরা(!) বেচে থাকা জরুরী নয়। আপনি, আমি বেঁচে থাকলে আপনার, আমার গলায় রশি লাগলেই যথেষ্ট হতো। ড: মুরসি, আর এরদোআনের জন্য কি ৭১ এর কোন কারণ লাগছে? কারণতো একটাই, আপনি যে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করতে রাজী নন!
অনেক লম্বা করে বিরক্ত করলাম। ছোট্ট একটা বাস্তব ঘটনা লিখে ইতি টানছি----
জামাতের সাবেক নায়েবে আমীর এ কে এম নাজির আহমাদ স্যার ২০১১/১২ সালের দিকে তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন। তখন নিজামী, মুজাহিদ সাহেবসহ উনারা সব কারাগারে ছিলেন। নাজির স্যার তুরস্কের নেতৃবৃন্দকে জামায়াতের পরিস্থিতি জানালেন। উনারা জবাব দিলেন, "আলহামদুলিল্লাহ! আমরা যে স্তর বিগত ৫০ বছর আগে পার করে এসেছি, আপনারা মাত্র তাতে প্রবেশ করলেন।"

সুতরাং মেঘ দেখে তুই করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে!
প্রসব বেদনা যেহেতু চলছে, নতুন ফুটফুটে সন্তান আসবেই আসবে, ইনশাআল্লাহ! !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন