শ্বশুরের ফাসিঁর আগেই স্বামী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে ফেরত চেয়েছেন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
ব্যারিস্টার আরমান,মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ছেলে ও তার আইনজীবী।
তাহমিনা আক্তার বলেন, গত ৯ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে তার স্বামী ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাসেম আরমানকে মিরপুর ডিওএইচএসের ভাড়া বাসা থেকে সাদা পোশাকে আসা কয়েকজন জোর করে সাদা মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নেয়।
তিনি বলেন, ৯ আগস্ট রাতে সাদা পোশাকের বেশ কয়েকজন লোক সরাসরি গেটের দারোয়ানকে ফোর্স করে কিছু বলা এবং বাধা দেয়া আগেই উপরে চলে আসেন এবং বাসার কলিংবেল চাপেন, এরপর তিনি দরজা খুললে ভিতরে ঢুকে ব্যারিস্টার আরমানকে তাদের সাথে যেতে বলেন। এসময় আরমান তাদের পরিচয় এবং কোনো পরোয়ানা বা অভিযোগ আছে কিনা জানতে চান। এসময় আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে এনে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
তাহমিনা বলেন, আটকের সময় ব্যারিস্টার আরমানকে কোনো সময় না দিয়ে যে পোশাকে ছিলেন সে পোশাকেই তাকে নিয়ে যান।সেসময় তার স্বামী শুধু টিশার্ট এবং প্যান্ট পরিহিত ছিলেন।
এছাড়া যে মাইক্রোবাসে আরমানকে তুলে নেয়া হয় সাদা রঙের এবং কালো গ্লাসে মোড়ানো ছিলো বলেও জানান তাহমিনা আক্তার।
তিনি অভিযোগ করেন, এরপর তারা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা কোনো অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। এরপরে পল্লবী থানায় তারা একটি ডায়েরি করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে তাদের জানানোর কথা থাকলেও জানায় নি বলে অভিযোগ করেন তাহমিনা।
এমনকি পুলিশের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলেও তারা নানা অযুহাতে ব্যস্ত আছেন বলেও অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রী।
তাহমিনা বলেন, তার স্বামীকে তুলে নেয়ার পরে সেখানে থাকা তার দুই শিশুকন্যা আয়েশা তাকওয়া (৪) ও মারিয়াম বুশরা (৩) তাদের পিতাকে টেনে হিঁচড়ে নেয়া দৃশ্য দেখার পরে অনেক আতঙ্কিত এবং ভয় পেয়ে প্রায়ই কান্না করে তাদের পিতার জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন