বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে র’জিয়ুন।কিছুক্ষণ আগে দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশানের চেয়ারম্যান, মীর কাসিম আলীর মৃত্যুদণ্ড ফাঁসির মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে।এর আগেও আরও ৫ জন যুদ্ধাপরাধীর মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে;কিন্তু তখনও আমার এত কষ্ট হয়নি যতটা আজ হচ্ছে।এর কারণও আছে অবশ্যই,আমি ওনাদের কাউকেই কাছ থেকে চিনতাম না কিংবা জানতাম না।কিন্তু মীর কাসিম আলী,উনি তো আমাদের দিগন্ত টিভিরও চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রায় ৬/৭ বছর কাজ করেছি ওনার সাথে,উনি আমাদের সবার অভিভাবক ছিলেন।টেলিভিশানের ‘পা থেকে মাথা’ পর্যন্ত সবার খেয়াল রাখতেন,সুখে-দু:খে খোঁজখবর নিতেন।সবচেয়ে বিশাল পাওয়া হলো ওনার মত স্বপ্নদ্রষ্টার কারনেই আমাদের মত হিজাবী মেয়েরা মিডিয়াতে কাজ করতে পেরেছিলাম।উনি সুস্থধারা নিয়ে এসেছিলেন মিডিয়াতে যার দরুন দিগন্ত টিভি অন এয়ারে থাকা অবস্থায় ‘পাখি’ ড্রেইস না পেয়ে কেউ সুইসাইড করেনি কিংবা ‘কিরণমালা’ দেখা নিয়েও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আমাদের সবার মনে শুরুতে একটা ভয় ছিলো যে হিজাব পরে
টিভি স্ক্রীনের সামনে আসলে আমাদের চ্যানেল কেউ কি দেখবে? ওইদিন উনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছিলেন-“আরে তোমাদের হিজাবসহ টিভিতে দেখলে দেশে একটা রেভোলিউশান হয়ে যাবে আর তোমরা হবে তার পায়োনিয়ার”।সত্যিই তাই হয়েছে স্যার,এ্যাত্তো এ্যাত্তো হিজাবের দোকান আর হিজাবীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে দেখে মনটা খুশীতে ভরে ওঠে;কিন্তু সে জন্যে আপনাকে একটা ধন্যবাদ দেয়ারও সৌভাগ্য হলো না আমার।
স্যার আপনি যদি সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার দুনিয়াবী বিচার শেষ। কিন্তু যদি তা না হন তাহলে আজ পৃথিবীর ৭০০/৮০০ কোটি মানুষকে হত্যার দিন। কেননা মহান আল্লাহই তো বলেছেন,”যে একজন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করলো সে যেনো গোটা মানবজাতিকেই হত্যা করলো।”
ও হ্যাঁ আরেকটা কথা, আমার এই স্টেটাসের কারনে কারো যদি মনে হয় আমি নব্য রাজাকার তো দয়া করে আমাকে আপনার ফ্রেইন্ডলিস্ট থেকে রিমুভ করে দিয়েন। আমি না নিমকহারাম নাহি গিরগিটি। এ্যান্ড আমি আনডাউটেডলি বলতে পারি, যারাই মীর কাসিম আলীর যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তাদের সবারই আজ একটু হলেও খারাপ লাগবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন