রমজান মাস ছাড়া আমাদের দেশে খেজুর খাওয়া একটু কমই হয়ে থাকে। রোজা রাখার সাথে খেজুরের একটি সম্পর্ক রয়েছে বলে বছরের অন্যান্য সময়ে আমরা অনেকেই খেজুর খাই না। কিন্তু অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খেজুর আমাদের শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। একেক শারীরিক সমস্যার জন্য একেক পরিমাণের খেজুর প্রতিদিন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর তাই গড়ে প্রত্যেকের দিনে ৫টি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাখা উচিত, এতে করে ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১) হৃদপিন্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। গবেষণায় দেখা যায়, পুরো রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।
২) খুব দুর্বল লাগছে, দেহে এনার্জির অভাববোধ করছেন, তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।Crystal-Honey-Dates
৩) গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস আমাদের দেহের ইন্টেস্টাইনের ভেতর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো প্যাথলজিক্যাল অর্গানিজমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ইন্টেস্টাইনের নানা সমস্যা দূর করে।
৪) খেজুর ল্যাক্সাটিভ ধরণের খাবার। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাসের মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
৫) গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে খেজুরের।dates
৬) খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৭) খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। এতে করে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়।1
৮) খেজুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়ক। এবং প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাতকানা রোগ ভালো করতেও সাহায্য করে থাকে।
৯) খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের এই রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
১০) একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস মাত্র ৪ সপ্তাহের মধ্যে লিপিডের কোয়ালিটি উন্নত করতে সহায়তা করে দেহের সুগারের মাত্রা বাড়ানো ছাড়াই। সংগ্রীহিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন