পিসিনিউজ২৪.কমঃ বিশ্বখ্যাত দার্শনিক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারিক রমাদান জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি প্রদান করায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের স্বৈরাচার ও দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচ্চকণ্ঠ হতে হবে।
তারিক রমাদান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লেখক, দার্শনিক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ হিসেবে খ্যাত। সুইজারল্যান্ডের নাগরিক তারিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকালীন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর তিনি। তিনি ব্রিটিশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক উপদেষ্টা।
তার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হলো:
বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার দেশটির শীর্ষ ইসলামপন্থী নেতা জনাব নিজামীকে (৭৩) ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দিয়েছে। বিশ্ব মানবতা এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করেছে । যেভাবে মিশরের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসকের বিরোধীদের ওপর চালানো হত্যা ও নির্যাতনের ব্যাপারেও তারা নিরব থাকে।
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই নির্লজ্জ নিরবতাই উগ্রবাদের চরমপন্থাকে উসকে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দসই দলের ওপর নির্যাতন চালালে আমরা নিন্দা করবো আর অন্যদের ব্যাপারে নির্যাতন এমনকি অন্যায় মৃত্যুদণ্ড চাপিয়ে দেয়া হলেও নিন্দা করবো না, এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীতে কে বিশ্বাস করবে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সত্যিই আন্তরিক?
সব মানুষেরই সমান ও স্বচ্ছ্ব বিচার প্রাপ্য। আমরা যদি বেছে বেছে পছন্দনীয় লোকদের বেলায় নিন্দা জ্ঞাপন করি আর অন্যদের বেলায় চোখ বুঝে থাকি তাহলে ধরে নিতে হবে আমরা মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড।
এটা কোনো ইসলামপন্থীকে সমর্থনের প্রশ্ন নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রশ্ন। বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের স্বৈরাচার ও দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। আসুন আমরা সকল ধর্ম-মতের নির্যাতিতদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি।
তারিক রমাদান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লেখক, দার্শনিক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ হিসেবে খ্যাত। সুইজারল্যান্ডের নাগরিক তারিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকালীন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর তিনি। তিনি ব্রিটিশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক উপদেষ্টা।
তার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হলো:
বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার দেশটির শীর্ষ ইসলামপন্থী নেতা জনাব নিজামীকে (৭৩) ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দিয়েছে। বিশ্ব মানবতা এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করেছে । যেভাবে মিশরের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসকের বিরোধীদের ওপর চালানো হত্যা ও নির্যাতনের ব্যাপারেও তারা নিরব থাকে।
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই নির্লজ্জ নিরবতাই উগ্রবাদের চরমপন্থাকে উসকে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দসই দলের ওপর নির্যাতন চালালে আমরা নিন্দা করবো আর অন্যদের ব্যাপারে নির্যাতন এমনকি অন্যায় মৃত্যুদণ্ড চাপিয়ে দেয়া হলেও নিন্দা করবো না, এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীতে কে বিশ্বাস করবে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সত্যিই আন্তরিক?
সব মানুষেরই সমান ও স্বচ্ছ্ব বিচার প্রাপ্য। আমরা যদি বেছে বেছে পছন্দনীয় লোকদের বেলায় নিন্দা জ্ঞাপন করি আর অন্যদের বেলায় চোখ বুঝে থাকি তাহলে ধরে নিতে হবে আমরা মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড।
এটা কোনো ইসলামপন্থীকে সমর্থনের প্রশ্ন নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রশ্ন। বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের স্বৈরাচার ও দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। আসুন আমরা সকল ধর্ম-মতের নির্যাতিতদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি।
সৌজন্যেঃ পিসিনিউজ২৪.কম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন