বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যে জাতীয় সংসদে কম্পন শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর হোটেল সারিনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাহস করে বলেছেন যে, কেউ খুনি হতে পারে, অপরাধ করতে পারে, কিন্তু রিমান্ডে পুলিশের হেফাজতে তাকে হাতকড়া পরা অবস্থায় হত্যা করা যায় না। এটি অন্যায় ও অমানবিক। তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ-ক্রসফায়ারের নামে যারা এভাবে মানুষ হত্যা করছে তাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না।’
খালেদা জিয়া এই ধরনের বক্তব্য দেয়ার মধ্য দিয়ে ‘নড়াচড়া’ করছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নড়াচড়ায় সংসদে কম্পন শুরু হয়েছে। তবে এ কথা শুধু একবার বলাই যথেষ্ট নয়, বার বার বলতে হবে। আর সাহস করে সত্য কথা বলায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপি প্রধানের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘দলের কাউন্সিল অধিবেশনে আপনি বলেছিলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা হবে। এই কথাগুলির পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন আছে। দেশে এখন সবকিছুই এক ব্যক্তি করছে। তাই আপনার বক্তব্যে এটা আসা দরকার যে, ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করবেন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানে গণভোট ছিল। গণভোটের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য রাখতে পারতাম। কিন্তু সংবিধান থেকে সেই গণভোট উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে পরিবর্তন আসবে, সেখানে গণভোটের বিধান সংযোজিত হবে। এই কথাগুলো আজকে আপনাকে বলতে হবে।’
এ সময় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসায়ীবান্ধব উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘এই বাজেটে জনকল্যাণ নয়, ব্যবসায়ীদের কল্যাণ হবে। তাই এটি জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এ বক্তব্য অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শোনেন প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মূলমঞ্চে একই টেবিলে বসে ইফতার করেন ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান ঢালী প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন