বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টের বরাত দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠসহ কতিপয় সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে ৮ জুলাই প্রকাশিত রিপোর্টে “ফাঁসির আসামী জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীকে জেল থেকে মুক্ত করাটাও গুলশানের জঙ্গি হানার অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে মনে করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা।” এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্যের বরাত দিয়ে “ধনকুবের মীর কাসেমকে মুক্ত করাটা লক্ষ্য হয়ে থাকতে পারে” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা মন্তব্য করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ০৯ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গুলশানের রেস্টুরেন্টে যারা নৃশংসভাবে হামলা চালিয়ে দেশী-বিদেশী লোকদেরকে হত্যা করেছে তাদের এ কর্মকান্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। দুর্বৃত্তদের পরিচয় পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে।
এরপরও এ ঘটনার সাথে জনাব মীর কাসেম আলীর মুক্তির বিষয়টি জড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই জনাব মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কোন কিছু ঘটলেই সুষ্ঠু তদন্ত করার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ জামায়াতকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য রাখেন। তাদের এ ধরনের বক্তব্যের ফলে প্রকৃত খুনিরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ফলে দুর্বৃত্তরা আরও উৎসাহিত হয়ে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে।
আমাদের সময় ডট কম পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে আজ ৯ জুলাই প্রকাশিত রিপোর্টে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা ও মীর কাসেম আলীকে মুক্ত করা ছিল জঙ্গির লক্ষ্য এবং গুলশান হামলায় ১৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল’ মর্মে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। গুলশানে জঙ্গি হানা ও কথিত ১৫০ কোটি টাকা লেনদেনের সাথে জনাব মীর কাসেম আলীর মুক্তির কোন সম্পর্ক নেই। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা ও জনাব মীর কাসেম আলীকে মুক্ত করার জন্য গুলশানে জঙ্গি হামলা চালানো কিংবা কথিত ১৫০ কোটি টাকা লেনদেনের প্রশ্ন অবান্তর।
গুলশানের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শোলাকিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা এবং গুলি চালায়। এর ফলে তিন জন মানুষকে জীবন দিতে হল। আহত হল বহু সংখ্যক মানুষ। জামায়াতকে বারবার দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ জামায়াত এসব ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত নয়। কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। বরং সরকারের এ ধরনের ভূমিকার কারণে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যা কারো জন্যই কল্যাণকর নয়। তাই আমরা আবারও বলতে চাই, সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে হলে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।
এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক জনকণ্ঠ ও আমাদের সময় ডট কমসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন