ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬

সাহায্য নিয়ে বন্যাদুর্গত লোকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাহায্য নিয়ে বন্যাদুর্গত লোকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বন্যাদুর্গত জেলাসমূহের সকল শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৩১ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অথচ বন্যাদুর্গত লোকদের জন্য সরকারী সাহায্য দেয়া হয়েছে জনপ্রতি মাত্র ২১ টাকা করে।
ভারত থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানিতে বাংলাদেশের ১৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জলপাইগুরি জেলার গজলডোবা বাঁধ, মহানন্দা নদীর ওপর দেয়া চাকমাঘাট বাঁধ, মনু নদীতে দেয়া কলসী বাঁধ ও গঙ্গা নদীর ওপরে দেয়া ফারাক্কা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয়ার ফলে বন্যার পানি বাংলাদেশে ঢুকে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলায়। বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। সরকারী হিসাব মতে বন্যার করাল গ্রাসে ১৪ জন এবং বেসরকারী হিসাব মতে ২৭ জন লোক নিহত হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ লোক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কাঁচা ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। ছয় শতাধিক ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। 
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। বন্যার পানিতে জমির ফসল তলিয়ে গিয়েছে, পুকুরের মাছ ভেসে গিয়েছে, বীজতলা, শাক-সবজির আবাদী জমি, রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষ খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার করছে। সরকারী সাহায্য নেই।
এ অবস্থায় পানিবন্দী বন্যাদুর্গত লোকদের অতিদ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দান করে তাদের জন্য খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বস্ত্র, গৃহ নির্মাণ বাবদ নগদ অর্থ, চিকিৎসা সামগ্রীসহ মেডিকেল টীম পাঠানো প্রয়োজন। দ্রুত সাহায্য সামগ্রী পাঠানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বন্যদুর্গত লোকদের জন্য সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সকল স্বচ্ছল দানশীল ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বন্যাদুর্গত অঞ্চলের সকল শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আমি নির্দেশ দিচ্ছি।
বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করার জন্য আমি দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আল্লাহই আমাদের যাবতীয় বিপদ-আপদ এবং বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করতে পারেন। কাজেই আল্লাহর কাছেই আমাদের কায়মনো বাক্যে সাহায্য চাইতে হবে এবং বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একমাত্র তার কাছেই দোয়া করতে হবে। 
বন্যায় যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও বন্যাদুর্গত লোকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।” 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন