ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

৭ মেধাবী ছাত্রকে পুলিশ কর্তৃক গুলী করে হত্যার প্রতিবাদ বুধবার দেশব্যাপী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়, পরপর ৭ মেধাবী ছাত্রকে পুলিশকর্তৃক গুলী করে হত্যার প্রতিবাদ ও গুমকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল সোমবার দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মিথ্যা অজুহাতে পরিকল্পিতভাবে ঝিনাইদহের নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে সরকার ও পুলিশ দেশে বর্বরতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করেছে। বিগত কয়েকদিনে ঝিনাইদহে সরকার ও পুলিশের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছে নিরপরাধ ৭ জন মেধাবী ছাত্র। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও নির্যাতনের পর রাতের আঁধারে গুলী চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। একই সাথে চলেছে সরকার, পুলিশ ও কিছু গণমাধ্যমের যৌথ প্রযোজনায় স্বীকারোক্তির সাজানো নাটক ও মিথ্যাচার। গত রোববার ঝিনাইদহে শাহিনুর রহমান ও সবুজখান নামে দুই শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ যে স্বীকারোক্তির নাটক সাজিয়েছে তা পুরোটাই বানোয়াট। এই দুইজনসহ আরো ৩ শিবির নেতাকে বহু আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সন্ধান দাবি করে পরিবার ও গত ১৬ই জুলাই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। পুলিশ তাদের বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করে গুম করে রেখেছিল এই নাটক সাজানোর জন্যই তা এখন পরিস্কার। এখনো পুলিশ আরও ৩ শিবির নেতাকে গ্রেপ্তারের পর গুম করে রেখেছে। এতে প্রমাণ হয় নিজেদের হত্যাযজ্ঞ আড়াল ও সংখ্যালঘু হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে যৌথ মিশনে নেমেছে সরকার ও পুলিশ। এ অত্যাচার ও নিপীড়ণ কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ঝিনাইদহে চলমান সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ডের সাথে যখন জঙ্গি নিবরাসের নাম উঠে আসছে ঠিক তখনই পুলিশ নতুন স্বীকারোক্তি নাটক সাজাতে চাইছে। মূলত নিজেদের অপকর্ম থেকে দায়মুক্তির জন্যই এই স্বীকারোক্তির নাটক সাজাচ্ছে বলে জনগণ মনে করে। বিগত কয়েক মাসে কোন প্রকার যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ঝিনাইদহে প্রায় ২৭ জন নিরপরাধ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। যার দায় পুলিশ কিছুতেই এড়াতে পারে না।
নেতৃদ্বয় ঝিনাইদহে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়, পরপর ৭ মেধাবী ছাত্রকে পুলিশ কর্তৃক গুলী করে হত্যার প্রতিবাদ ও গুমকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং ছাত্রশিবিরের সকল নেতা-কর্মী, দেশপ্রেমিক জনতা ও ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন