বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ এরদোগানের কাছে প্রশ্ন ছিল, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে নামার ঝুকি কিভাবে নিলেন, যখন পরবিারের সবাই আপনার সাথে ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন,
“একজন মুসলমান হিসেবে ক্বাদর বা ভাগ্যের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। ক্বাদর আমাদের ঈমানের শর্তগুলোর অন্যতম একটি। কাজেই ভাগ্যের পরিকল্পনার মাঝে যা থাকে তাই হবে। আমি পাইলটকে বললাম, আমরা সব ধরণের রিক্স নিতে প্রস্তুত। আমার স্ত্রী, মেয়ে, নাতি-নাতনি, জামাতা আমরা একসাথে ছিলাম। আমার বডি গার্ডরাও আমার সাথে ছিল। আমি পাইলটকে বললাম, তুমি শুধু বলো ইস্তাম্বুল এয়াপোর্টে ল্যন্ড করতে পারবে কিনা? সে বললো, আমি ল্যান্ড করছি কিন্ত এই এই ঝুকি রয়েছে। এমন সময় রাণওয়ের এক দিকে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হলো, আমরা অবতরণ করলাম।
অবশ্যই, প্রত্যেক হিসাবের উপরে একটা হিসাব রয়েছে। সেটা হলো আল্লাহর হিসাব। আর আল্লাহর হিসাবের বাইরে অন্য কারো হিসাব চলে না। আর সেই হিসাব আমাদের জন্য নির্ধারিত পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে এই ভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে সেদিন।
সেখানে সেনাদের অস্ত্রের সাথে, কি লজ্জার বিষয় সেনা পোষাক পরে অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের সাথে লড়াই করে, ট্যাংকের সামনে ও নিচে পড়ে শহীদ হওয়া নারীরা ও আমার ভাইরা মৃত্যুকে ভালো বাসতে বাসতে আলিঙ্গন করেছে। মৃত্যু তাদের ভয় দেখাতে পারেনি, তারাই মৃত্যুকে ভয় দেখিয়েছে।
একদিন কি আমরা সবাই মারা যাবনা? মারা যাব, গাড়ী এক্সিডেন্টেও তুমি মারা যেতে পার। কোন পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়েও তুমি মারা যেতে পার। হার্ট এ্যাটাকেও তুমি মারা যেতে পার। কিন্তু এরকম তেজদীপ্ত ও সম্মানিত মৃত্যু পুরোপুরি অন্যরকম ব্যাপার। সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন