বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইবনে মাসুদ (রাঃ) বলেন,আমি নবী (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম শেষ সময় জানার কোন জ্ঞান আছে কি? তিনি বললেন হ্যা, ইবনে মাসুদ এবং মুসলিমদেরও সেগুলি জানা উচিৎ। যেন তারা সেগুলি চিনে নিতে পারে।এবং এ সম্পর্কিত বহু নিদর্শন বিদ্যমান তন্মধ্যে একটি নিদর্শন হলো- শিশুরা ভীষণ বদমেজাজী হবে। বৃষ্টি হবে আম্লিক, অম্ল বৃষ্টি, তুমি দেখবে মন্দ লোকেরা সর্বত্র বিস্তৃত।
হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো রয়েছে লোকেরা বিশ্বাঘাতককে বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বিশ্বাঘাতক হিসেবে বিবেচনা করবে।সত্যবাদীকে মিথ্যুক এবং বিথ্যুককে সত্যবাদী বলা হবে।এসবই হলো নিদর্শন!
হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, এটি আমার নিকট একটি পরিস্খার মুযিজা। নবী (সঃ) এর এ হাদীসটি! তিনি বলেছেন, থালাসমূহ ক্রমাগত যোগযোগ করতে থাকবে।নবী (সঃ) একটি যথার্থ শব্দ ব্যবহার করেছেন। যা স্যাটেলাইট যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। এবং লোকেরা তাদের পারিবারিক বন্ধক ছিন্ন করবে। অন্য কথায় লোকেরা বাসাই অবস্থান করবে আর স্যাটেলাইট ডিশের মাধ্যমে টেলিভিশন দেখবে।এমনকি তারা প্রতিবেশিদের নিকটও যাবে না।
এটি আমার নিকট একটি বিষ্ময়কর হাদীস! হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো রয়েছে, তুমি দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে, এবং সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে।
হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, মসজিদসমূহ অলংকৃত করা হবে কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত ! ফলে লোকেরা মসজিদে ইবাদাত করবে ঠিকই আত্মাশুদ্ধির কোন প্রচেষ্টা থাকবে না। কিন্তু মসজিদসমূহ হবে সুন্দর।
হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, মু’মিন ব্যক্তি কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ হবে। যেন কোন মূল্যই নেই।
”হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, পুরুষ ও স্ত্রী সমকামিতা প্রসার লাভ করবে। এবং তিনি বলেছেন, তুমি দেখবে অল্পবয়সী লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে”।(যেমন জুকারবার্গ ত্রিশ বছরের পূর্বেই মাল্টি-বিলিয়নিয়ার) এবং তুমি দেখবে, নারীদেরকে নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে”।
”হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, তুমি দেখবে সভ্যতা ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা, তবে যে সভ্যতাই পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক হবে সেটাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।”
”হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, বাদ্য-গীতের সরঞ্জাম প্রসার লাব করবে, এসব যন্ত্র তাদের মাথার উপর শোভা পাবে।”
(তিনি এটা কিভাবে জানলেন, এটি যা বলছে আমি মোটেও বানিয়ে বলছিনা। এটি বলছে তাদের থাকবে তাদের মাথার উপর সংগীতের সরঞ্জাম থাকবে। কে এমনটা ভাবতে পেরে ছিলো আমাদের নবী (সঃ) এর সময় কে এর অর্থ} জানতো? কিন্তু আমরা এটা এখন দেখছি, এরূপ লোকদের আমরা সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছি।)
তিনি বলেছেন, তুমি আরো দেখবে, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হবে অনেক এবং আরো .. লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে”
(বর্তমানে শোগুলোর দিকে তাকান সেখানে লোকদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হচ্ছে।)
”হে ইবনে মাসুদ ! নিদর্শনসমূহের মধ্যে আরো হচ্ছে, বহু শিশু বিবাহবন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে”
আমার নিজের দেশেই এখন ৫০% ভাগেরও বেশি শিশু, বিষ্ময়কর!!!)
নবী (সঃ) আরো বলেছেন, ফিতনাসমূহ তাদের সামনে মাদুরের আকৃতিতে দেখাবে, এর দু’টি সীমা রেখা থাকবে একটি উলম্ব এবং আরেকটি আনুভূমিক রেখা
(এটি হলো টেলিভিশন সেট, এই সেই সেট যা দেখতে মাদুরের মতো দেখায়, আর নবী (সঃ) বলেছেন. “ফিতনাসমূহ তাদের সামনে মাদুরের আকৃতিতে দেখাবে” , আর এভাবেই এর মাধ্যমে )
আর এভাবেই এর মাধ্যমে শয়তান তাদের অন্তসমূহে কুলষিত করবে।(ফিতনা সমূহ চলচ্চিত্র এবং টিভিতে দেখানোর মাধ্যমে) বারংবার যতক্ষণ না লোকেরাও অনুরূপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এসব এখন সাধারণ ব্যাপার। এসব ঘটনা আর লোকদের আঘাত করেনা )
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, দুই প্রকার জাহান্নামী আছে যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি তুমি দেখবে গুরুর লেজের ন্যায় চাবিুক হাতে কিছু লোককে, তারা এর দ্বারা লোকদেরকে প্রহার করবে। সে সময় নারীরা পোষাক পড়েও উলঙ্গ থাকবে। তার কোমর দুলিয়ে হাটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে।
ইয়া আল্লাহ রাসূল (সাঃ) সত্য বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের চুল হবে ”বখতের” লোমশ উটের মতো এটি আরবদের উটের মধ্য থেকে নয়।এগুলো পারস্য থেকে েএসেছিল এ কারণে তারা দেখেছে তারা জানতো এগুলো কোথায় ছিল এ সব লোকেরা জান্নাতে প্রবশ করবে না।আল্লাহর শপথ করে বলছি, রাসূল (সাঃ) সত্য বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোক মদকে ভিন্ন নাম দিয়ে পান করবে। ঠিক একারনে এগুলোর বহু নাম থাকবে। আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আম্রয় চাচ্ছি।হে আল্লাহ আমি বার্তা পৌছে দিয়েছি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন