ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা: জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে সরকার মানবাধিকার লংঘন ও চরম জুলুম করেছে----অধ্যাপক মুজিবুর রহমান


বাংলাদেশ বার্তাঃ গত ৯ অক্টোবর রাতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ঘরোয়া বৈঠক থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের নেতাদের পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমাণ্ডে নেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ও তাদের মুক্তির দাবীতে ১ দিনের শান্তিপূর্ণ হরতালসহ তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১০ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সকল বিরোধী দলকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর রাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়েছে। সরকারের এ ধরনের অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আচরণের নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। 

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে সরকার মানবাধিকার লংঘন করে তাদের উপর চরম জুলুম করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় আচরণ কখনো কল্পনাও করা যায় না। সরকারের এ অন্যায় ও অমানবিক আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি আইনানুগ বৈধ রাজনৈতিক দল। অথচ সরকার দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত জামায়াতে ইসলামীকে প্রকাশ্যে কোন সভা-সমাবেশ ও মিছিল করতে না দিয়ে আমাদের আইনগত এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হরণ করেই চলেছে। সরকার দেশের সংবিধান ও আইন লংঘন করে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের উপর জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন চালাচ্ছে। সরকার জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, গুম ও হত্যা করছে। কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

সরকার একে একে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও হরণ করেছে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কোন কিছু আর বাকী নেই। দেশের জনগণ অসহায় হয়ে পড়েছে। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমাণ্ড নেয়ার প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবীতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছিঃ-

(১) আগামীকাল ১১ অক্টোবর বুধবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ
(২) আগামী ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল
(৩) ১৩ অক্টোবর শুক্রবার গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য সারা দেশব্যাপী দোয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত তিনদিনের উপরোক্ত কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সর্বাত্মক সফল করার জন্য আমি জামায়াতের সকল শাখা সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

বি:দ্র: হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ঔষধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন