ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

হরতালের সমর্থনে কোরআনের আয়াত খুজছেন তো ? .


বাংলাদেশ বার্তাঃ হরতালের সমর্থনে সহিহ আক্বীদার ভাইরা দলিল খুজছেন। মুমিনদের কষ্ট দেওয়ার পরিণতি নিয়ে হাদিস পেশ করছেন। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেব তো হরতাল আহ্বানকারীকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন। তাকফিরের এই খেলায় তাদের মুখ থেকে সরাসরি কোন আয়াত না বের হলেও হরতাল আহ্বানকারীদের কাফের আখ্যা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। অথচ তাদের ভালো করেই জানা আছে কারা মুমিন আর কারা মোনাফেক !!
.
জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব্যশীলদের সাথে যা হয়েছে এবং যা হচ্ছে সেটাকে জাহেলী যুগের জুলমের সাথেই তুলনা করা যেতে পারে। কথা বলা, নিজস্ব মতামত পেশ করা মানুষের মৌলিক অধিকার। শিরকের মতো বড় বড় গুনাহকে আল্লাহ পাক সহ্য করেছেন, কিন্তু মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা হরণ করার মতো অপরাধ তিনি সহ্য করেননি।
.
অথচ আজকে জামায়াতের কথা বলার অধিকার হরণ করা হচ্ছে। জামায়াত কর্মীদের ব্যবসা বানিজ্য, চাকুরী বাকুরি সব কিছুতে হয়রান করা হচ্ছে। এতসব অন্যায়ের ভীরে কোন প্রকার উস্কানী ছাড়াই জামায়াতের বয়োবৃদ্ধ নেতাদের হাতকড়া পড়িয়ে কোর্টে দাড় করানো হচ্ছে। কোর্টে নামাজ পড়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে হাত কড়া পরিহিত অবস্থায় এজলাশের টেবিলেই নামাজ আদায় করতে হয়েছে। এতসব জুলুমের বিরুদ্ধে কোন আওয়াজ নেই, প্রতিবাদের একটি বিবৃতিও নেই। যত বিবৃতি সরকারের পদলেহনের বেলায় ।
.
অথচ জামায়াত যখন মানুষদেরকে আহ্বান জানালো আগামীকাল হরতাল পালনের মাধ্যমে সরকারের এই জুলুমের প্রতিবাদ করতে, তখন সহিহ আক্বীদার দাবিদার দালালরা তাদের মুখের কুলুপ খুলে ফেলে স্বমহিমায় ফিরে আসলো। তারা প্রচার শুরু করলো, মুমিনদের কষ্ট দেওয়া হারাম। 
.
আমি বলি, হালাল হারাম ফতোয়া যদি দিতে হয় তাহলে সর্ব প্রথম সরকারের ঐসব কর্মকান্ডের ওপর দেওয়া দরকার যেগুলো তাদেরকে কুফরির গর্তে ফেলে দিয়েছে বহু আগেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বিনষ্ট করে সমাজে ফেতনার উদ্ভব ঘটানোর কুশিলবদের বিরুদ্ধেই ফতোয়া দেওয়া উচিত। সেটা না করে বরং তাদের জুলম দেখে নিরবে হজম করা ব্যক্তিরা যখন আওয়ামী জাহেলীয়াতের পতাকার নিচে সমবেত হয়ে এক সাথে কোরাস গাওয়া শুরু করে, তখন তাদের ফতোয়া এক প্রকার তামাশা হিসেবেই তৌহিদী জনতা গ্রহণ করে।
.
আমরা জনগনকে আহ্বান করেছি শান্তিপুর্ণ হরতালের ভিতর দিয়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার জন্য। সরকারের অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নিজেদের ঈমানের দাবি পুরন করার জন্য। কেউ যদি জুলমের সঙ্গি হতে চান ভালো কথা তিনি হতে পারেন। তিনি হরতালের বিরুদ্ধে কোরআনের আয়াত খুজতে থাকুন। তবে খেয়াল রাখবেন, কুফরি শক্তির হাতে নির্যাতিত মজলুম মুসলিমদের রক্ষায় জিহাদের কোন আয়াত যেন সামনে না পড়ে, নইলে কিন্তু পেট্টডলারের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।
_ Apu Ahmed .

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন