কেবলমাত্র দ্বীনদারী নিয়ে ব্যস্ত থেকে দুনিয়ার সকল কিছু খোদাদ্রোহীদের হাতে সোপর্দ করার নাম ইসলাম নয়।আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, বিশ্বনবী (সা) একাধারে মসজিদে নববীর ইমাম ছিলেন পাশাপাশি মদিনা রাষ্ট্র্বের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
যদি প্রশ্ন করি,বিশ্বনবীর চেয়ে বড় দ্বীনদার কি কেউ পৃথিবীতে আছে ??উত্তর আসবে, অবশ্যই না।তিনি কি শুধু দ্বীনদারী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন না কি দ্বীনি মূল্যবোধের আলোকে দুনিয়ার সবকিছু পরিচালনার মহান পয়গাম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন??তিনি তো অন্ধকারাবৃত গোটা পৃথিবীতে আলোর মশাল নিয়ে এসেছিলেন।তিনি কেবল মসজিদ-মাদ্রাসায় ইসলামকে সীমাবদ্ধ রাখেন নি;ইসলামের আলোকে রাষ্ট্রসহ সবকিছু পরিচালনা করেছেন।
ইসলাম তো পরিপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থার নাম।মানবজীবনের জন্য যা দরকার সব কিছুই ইসলামে সন্নিবেশিত।তাই কেবল মসজিদ,মাদ্রাসা,এতিমখানা,খানকাহ,দরবার,ওয়াজ মাহফিল,যিকির,তাসবীহ-তাহলীল,হাদিয়া-তোহফা এসবের মধ্যেই ইসলাম বা দ্বীনদারী সীমাবদ্ধ নয়।
আপনি কেবল এসব নিয়ে ব্যস্ত থেকে যদি নিজেকে অনেক বড় দ্বীনদার মনে করেন তো ভুল করবেন।আফসোস করে বলতে হয়;আমরা অনেকেই ধর্ম ও জাগতিক বিষয়াদী কে সম্পূর্ণ পৃথক মনে করি।অথচ জীবন ও জাগতিক সবকিছু ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে পরিচালিত হওয়া উচিত ছিল।
মসজিদ-মাদ্রাসা আল্লাহর আইনে চলবে আর দুনিয়া চলবে মানুষের তৈরী করা আইনে;এমন ইসলাম নিয়ে বিশ্বনবী দুনিয়ায় আসেন নি,বরং এটা আপনার নিজের বানানো মনগড়া ইসলাম।এটা আপনার নিজের বানানো ইসলাম বলে আপনার দাওয়াতের কোনো বিরোধীতা হয় না এবং প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে কোনোরুপ জুলুম-নিপীড়নের ও স্বীকার হতে হয় না।
ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্ম নয়; বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।তাই ইসলাম মানলে আপনাকে পুরোটাই মানতে হবে।মুনাফিক সর্দার আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর মত মসজিদে ইসলাম মানবেন আর মসজিদের বাহিরে রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম মানবেন না এমনটা করে বড় বুজুর্গ হয়ে আল্লাহর জান্নাতে সহজেই চলে যাবেন??
তো মনে রাখবেন, আপনাকে যদি আল্লাহর জান্নাতে দিতেই হয় তবে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই কে আগে আল্লাহর জান্নাতে দেওয়া লাগবে।
পরিশেষে বলতে চাই,রাসূল (সা) মসজিদের ইমামতি নিয়ে ব্যস্ত থেকে রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অন্যদের হাতে ন্যাস্ত করেন নি।।তিনি মসজিদের যেমন ইমাম বা নেতা ছিলেন ঠিক তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনায় ও নেতা ছিলেন।
আল্লাহকে সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন....। আজহারুল হক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন