ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

ইকামাতে দ্বীন সম্পর্কে অধ্যক্ষ প্রফেসর মাওলানা সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন আবদুল্লাহ জাফরীর বক্তব্য :

বাংলাদেশ বার্তাঃ   আহলে হাদীস ভাইদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে, এটা আমরা ভাবি নি। শিরক ও বিদআত বিরোধী চিন্তায় এক প্ল্যাটফর্মের লোক হওয়ায় আমরা তাদেরকে সাপোর্ট করেছি।
ডা. জাকের নায়েকের আলোচনা আমাদের ভাইয়েরা ডাবিং করে ইসলামিক টিভি সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করেছে।
যখন শুধু মাজহাবের ভিন্নতার কারণে একদল আলিম মাঠে ময়দানে আহলে হাদীস, পিস টিভি ও ডা. জাকের নায়েকের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে, আমরা তখন মিডিয়ায় ও বিভিন্ন মাহফিলে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনাদের পক্ষে নিয়ে কওমী আলেমদের বিরোধীতার প্রতিবাদ করেছি, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেছি, যা এখনো মানুষ দেখছে।

কিন্তু আমাদের এ বন্ধুতত্বের সুযোগ নিয়ে আহলে হাদীসের একটি গ্রুপ আমাদের সাথে চরম অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে, সরাসরি ইসলামী আন্দোলনর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। 
তারা ইনিয়ে বিনিয়ে, বিভিন্ন চলচাতূরীর আশ্রয় নিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে দিন কায়েমের বিরোধীতা শুধু নয়; উপরন্তু এটাকে গুমরাহী বলে বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে।

মানুষ জমীনে আল্লাহর খলীফা, যা অসংখ্য তাফসীরে বিদ্যমান। এটাকেও গুমরাহী বলে সরাসরি মাওলানা সাইয়্যেদ মওদুদী, সাইয়্যেদ কুতুব, হাসান আল বান্নার, এর নাম তাচ্ছিল্যের সাথে উল্লেখ করে উনাদের উপর নিকৃষ্ট অপবাদ আরোপ করে আলোচনার ভিডিও মিডিয়ায় আপলোড করেছে। 
আর তাদের আলোচনা শুনে জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত কিছু ভাই ইতোমধ্যে বিভ্রান্তও হয়ে পড়েছে। আর এ বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ। তারা বুঝতে পারছেনা কোনটা সঠিক।

তাই আমরা একান্ত বাধ্য হয়ে আসল সত্য কোনটি, তা তুলে ধরার জন্য এগিয়ে আসতে হলো।
আর এতে উনারা আমাদের উপর নাখোশ হয়ে গেলেন।
আমরা নাকি উনাদের বিরুদ্ধে লেগেছি?
আমরা তো উনাদের মিথ্যাচারের জবাব দিচ্ছি মাত্র। এ জবাব না দিলে তো উনাদের ভুল কথাগুলোকে সাধারণ মানুষ সঠিক ভেবে পথভ্রষ্ট হতে পারে।
যেমন- রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামকে নিয়ে যাওয়া (যেটাকে উনারা গদি দখল বলে তাচ্ছিল্য করছেন), এটাকে অস্বীকার করা কুফরী।
কেননা, এটা অস্বীকার করলে- রাসূল সা, এর মাদানী জীবন ও চার খলীফার খেলাফাত কে অস্বীকার করা হয়। অস্বীকার করা হয় কুরআনের সে আয়াতকে, যে আয়াত দ্বারা রাসূল সা, আল্লাহর কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা প্রার্থনা করেছেন। 
এ জাতীয় কুফরী ফাতওয়া দেখেও আমরা চুপ থাকবো? এটা কি করে হয়! 
এখন উনাদের উচিৎ নিজেদের ভুল শুধরিয়ে, যে সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম ধরে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে, তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়ে নতুন ভিডিও আপলোড করা।
আর এতেই উদ্ভূত পরিস্থিতির জটিলতা নিরসন হবে বলে আশা করা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন