কত পাহাড়ের সানুদেশ,শৃঙ্গ পেরিয়ে
অলি গলি, বাড়ি ঘর, সবুজ প্রান্তর,ফসলের মাঠ;
হেমন্তের সাদা কাশবনে, জ্বলে উঠে লেলিহান শিখা!
জীবন্ত পুড়ে ছাইভস্ম আবালবৃদ্ধবনিতা, বাস্তুভিটা;
গলাকাটা লাশ কিংবা গুলি খাওয়া তরতাজা একান্ত স্বজন;
মগের মুল্লুকে, চিল শকুনির খাবার।
.
পৃথিবীর ক্ষতবিক্ষত মানচিত্রের ফাটলে ফাটলে নাগিন নিঃশ্বাস ছাড়ে;
মেকি শান্তির পায়রা জলপাই ঠোঁটে রোপে বিষবৃক্ষ;
জন্ম দেয় বেজন্মা, মতিভ্রম,গৈরিক বোধীর ফানুস
লেজে আগুন নিয়ে ঘুরছে হনুমানজী, ঘি ঢালে স্বার্থের যত প্রেমিক।
নির্বাণ পিয়াসু জিঘাংসার যূপকাষ্ঠে বলি দেয় অগনিত যিশু ।
.
পেছনে পড়ে আছে ঘর পোড়া গরু , মানুষ পোড়া ঘর;
সিঁদুরে মেঘ নয়, ছোপছোপ রক্তের দাগ ;
দাউ দাউ আগুন,আগুন আর আগুন!!
স্থল মাইনে উড়ে যাওয়া কারও পা,কারও হাত;
ঝলসানো শরীর,ছিটকে পড়া মাথার মগজ ;
সীমান্ত কাঁটাতারের ওপারে,
রেখে আসে সুখ দুঃখের রঙিন ধারাপাত ;
জীবনটা ছাড়া জীবনের সমুদয় সঞ্চয়।
.
তরঙ্গায়িত নাফ নদী জলে কচুরিপানার মতো
ভাসতে ভাসতে আসছে মানুষের ঢল । ইতিহাস সাক্ষী!
প্রতিটি জলতরঙ্গ সাক্ষী, সাক্ষী পুড়িয়ে দেয়া প্রতিটি জনপদ ;
আকিয়াব,রেঙ্গুনের রাস্তাগুলো সাক্ষী;
পুকুরের শান বাঁধা ঘাট, পদ্মাবতী সাক্ষী ;
বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা সাক্ষী ;
পাশাপাশি মসজিদ, মঠ-মন্দিরগুলো সাক্ষী ;
সু চি'র পিতামহ, প্র-পিতামহের চিতাভস্ম সাক্ষী;
বিশ্বাস করো তোমরা,আরাকান রাজসভাও সাক্ষী ;
ধেয়ে আসছে আজ যারা উদ্ভ্রান্ত, ছন্নছাড়া;
ওরাই আসলে ভূমিপুত্র রোহিঙ্গা।
ওদেরই প্রপৌত্র,প্রপৌত্রী মিলে মিশে আরাকানি-
আলাওল,মাগন ঠাকুর তাদের পূর্বপুরুষ।
আজ, অথচ,তারাই এই গেরুয়া মৃত্য উপত্যকায়,
হয়ে গেল অসহায়, নিঃস্ব,গৃহহারা উদ্বাস্তু;
হারিয়ে এসেছে তারা ভিটে-মাটি, কতো প্রিয়জন,সঙ্গী।
.
রোহিঙ্গারাও মানুষ -
এসো যত অমিয় শান্তির কপোত কপোতি!-শুধু এইটুকু মানো ।
কেনো বলো, আজও অধিকার বিহীন লক্ষ নিযুত ওষ্ঠাগত প্রাণ?
থামাও,থামাও- উদ্বাস্তু শিবির অভিমুখে,
এই পৃথিবীর বৃন্তচ্যুত অ-নাগরিক মিছিল।
.
ঘুমঘর।লালমাটিয়া। ঢাকা।।
২৮ ভাদ্র ১৪২৪।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।।
♦ছবি ঃএক তৃষ্ণা কাতর রোহিঙ্গা শিশু♦
অলি গলি, বাড়ি ঘর, সবুজ প্রান্তর,ফসলের মাঠ;
হেমন্তের সাদা কাশবনে, জ্বলে উঠে লেলিহান শিখা!
জীবন্ত পুড়ে ছাইভস্ম আবালবৃদ্ধবনিতা, বাস্তুভিটা;
গলাকাটা লাশ কিংবা গুলি খাওয়া তরতাজা একান্ত স্বজন;
মগের মুল্লুকে, চিল শকুনির খাবার।
.
পৃথিবীর ক্ষতবিক্ষত মানচিত্রের ফাটলে ফাটলে নাগিন নিঃশ্বাস ছাড়ে;
মেকি শান্তির পায়রা জলপাই ঠোঁটে রোপে বিষবৃক্ষ;
জন্ম দেয় বেজন্মা, মতিভ্রম,গৈরিক বোধীর ফানুস
লেজে আগুন নিয়ে ঘুরছে হনুমানজী, ঘি ঢালে স্বার্থের যত প্রেমিক।
নির্বাণ পিয়াসু জিঘাংসার যূপকাষ্ঠে বলি দেয় অগনিত যিশু ।
.
পেছনে পড়ে আছে ঘর পোড়া গরু , মানুষ পোড়া ঘর;
সিঁদুরে মেঘ নয়, ছোপছোপ রক্তের দাগ ;
দাউ দাউ আগুন,আগুন আর আগুন!!
স্থল মাইনে উড়ে যাওয়া কারও পা,কারও হাত;
ঝলসানো শরীর,ছিটকে পড়া মাথার মগজ ;
সীমান্ত কাঁটাতারের ওপারে,
রেখে আসে সুখ দুঃখের রঙিন ধারাপাত ;
জীবনটা ছাড়া জীবনের সমুদয় সঞ্চয়।
.
তরঙ্গায়িত নাফ নদী জলে কচুরিপানার মতো
ভাসতে ভাসতে আসছে মানুষের ঢল । ইতিহাস সাক্ষী!
প্রতিটি জলতরঙ্গ সাক্ষী, সাক্ষী পুড়িয়ে দেয়া প্রতিটি জনপদ ;
আকিয়াব,রেঙ্গুনের রাস্তাগুলো সাক্ষী;
পুকুরের শান বাঁধা ঘাট, পদ্মাবতী সাক্ষী ;
বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা সাক্ষী ;
পাশাপাশি মসজিদ, মঠ-মন্দিরগুলো সাক্ষী ;
সু চি'র পিতামহ, প্র-পিতামহের চিতাভস্ম সাক্ষী;
বিশ্বাস করো তোমরা,আরাকান রাজসভাও সাক্ষী ;
ধেয়ে আসছে আজ যারা উদ্ভ্রান্ত, ছন্নছাড়া;
ওরাই আসলে ভূমিপুত্র রোহিঙ্গা।
ওদেরই প্রপৌত্র,প্রপৌত্রী মিলে মিশে আরাকানি-
আলাওল,মাগন ঠাকুর তাদের পূর্বপুরুষ।
আজ, অথচ,তারাই এই গেরুয়া মৃত্য উপত্যকায়,
হয়ে গেল অসহায়, নিঃস্ব,গৃহহারা উদ্বাস্তু;
হারিয়ে এসেছে তারা ভিটে-মাটি, কতো প্রিয়জন,সঙ্গী।
.
রোহিঙ্গারাও মানুষ -
এসো যত অমিয় শান্তির কপোত কপোতি!-শুধু এইটুকু মানো ।
কেনো বলো, আজও অধিকার বিহীন লক্ষ নিযুত ওষ্ঠাগত প্রাণ?
থামাও,থামাও- উদ্বাস্তু শিবির অভিমুখে,
এই পৃথিবীর বৃন্তচ্যুত অ-নাগরিক মিছিল।
.
ঘুমঘর।লালমাটিয়া। ঢাকা।।
২৮ ভাদ্র ১৪২৪।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।।
♦ছবি ঃএক তৃষ্ণা কাতর রোহিঙ্গা শিশু♦
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন