ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভারত কেন পারছে? লিখেছেন: Rauful Alam

বাংলাদেশ বার্তাঃ  ভারতে দারিদ্রতা আমাদের চেয়ে কম নয়। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, রাহাজানি, মারামারি এগুলোও আমাদের চেয়ে কম নয়। ভারতে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কুসংস্কার, ধর্মীয় উগ্রতা আমাদের চেয়েও অধিক! তাহলে ভারত কী করে মহাকাশে যান পাঠায়? ভারত কী করে গবেষণায় স্বতন্ত্র হয় উঠছে? কী করে সেখানে এতো এতো গবেষণাকেন্দ্র গড়ে উঠছে? কী করে তারা নিজের পণ‍্য ও আভ‍্যন্তরীণ উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হচ্ছে? কী করে তারা উদ্ভাবনে স্বনির্ভর হচ্ছে? —এগুলোর গভীরে একটাই কারণ। সেটা হলো, শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের অবকাঠামো আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া কতো কঠিন, সেটা যদি আপনি জানেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন তাদের উন্নয়নের মূলমন্ত্র। তাদের গবেষণাগারে নিত‍্যদিন কী চর্চা হয় সেটা জানুন। ভারতের অসংখ‍্য ছেলে-মেয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় গবেষণা করছে। তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার জন‍্য ভারত নানান ব‍্যবস্থা করে রেখেছে। তাদের শুধু পিএইচডি-পোস্টডক থাকলেই হয় না। খুব ভালো ভালো গবেষণা আর্টিকেল থাকতে হয়। তারা কোথায় এবং কোন গবেষকের অধীন কাজ করেছে, সেটা দেখা হয়। তারা কী গবেষণা করবে সে বিষয়ে বিস্তর আইডিয়া (রিসার্চ প্রপোজাল) লিখে জমা দিতে হয়। একজন প্রতিযোগী বিজেপি কিংবা কংগ্রেস করলেই শিক্ষক বা গবেষক হতে পারে না। একজন শিক্ষক পদপ্রার্থীকে বিশ্ববিদ‍্যালয়ের ভিসির কক্ষে গিয়ে ভাইভা দিতে হয় না। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের একজন ভিসি হয়তো অর্থনীতি পড়েছেন। তাহলে, মহাকাশ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষক নিয়োগে তার কী কাজ? —তিনি বড়ো জোর নিয়মমাফিক সে নিয়োগের অনুমোদনে স্বাক্ষর করবেন। তবে তার আগেই আবেদন যাচাই-বাছাই করার এবং প্রার্থী নির্বাচিত করার জন‍্য প্রত‍্যেক ক্ষেত্রে এক্সপার্ট টিম থাকবে। সে টিম যোগ‍্য প্রার্থীদের আবেদন বাছাই করবেন। এক্সপার্ট টিমের পরিচয় গোপন থাকবে।
ভারত তার দেশের গবেষণার জন‍্য যেমন দিনে দিনে বাজেট বৃদ্ধি করছে, তেমনি সে টাকাটা খরচ করার মতো মাথা নিয়োগ দিচ্ছে। সে মাথা যাচাইয়ের মাপকাঠি হলো একমাত্র মেধা! তারা বিদেশের টেন্ডার কোম্পানিকে না এনে, বিদেশ থেকে লোন না এনে, বিদেশের এক্সপার্ট এনে নিজ দেশের তরুণদের যোগ‍্য করার চেষ্টা করছে। আমরা হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারি, তবে শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশের বিজ্ঞানী এনে নিজের দেশের ছেলে-মেয়েদের মেধাবী করার সুযোগ তৈরি করতে চাই না! এই হলো আমাদের দুরদর্শিতা!
ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলো রাজনীতি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। বিশেষ করে, আইআইটিগুলোর গবেষণার মান যে কতো উন্নত, সেটা আপনার ধারণাতীত। আইআইটিতে কাজ করে এমন কয়েকজন তরুণ শিক্ষককে আমি চিনি। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জেনেছি। আর অবাক হয়েছি—কেন আমার দেশে এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয় না! ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়ে বসে গবেষণা করে তাদের ছেল-মেয়েরা ইউরোপ-আমেরিকার সেরা সেরা স্কুলে সরাসরি পোস্টডক করতে চলে আসে। বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠান দেখান, যেখান থেকে গবেষণা করে প্রতিবছর মাত্র কুড়িজন গবেষক উন্নতবিশ্বে সরাসরি পোস্টডক করতে যায়! বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় থেকে পিএইচডি করেও এটা প্রায় অসম্ভব! পঞ্চাশ বছরে কী এই সামান‍্য উন্নয়নটুকু হওয়ার কথা ছিলো না?
ভারতে ফি বছর প্রশ্ন ফাঁস হয় না। তাদের দেশের শিক্ষা-গবেষণা, নিয়োগ এগুলো রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করে দেন না। তাদের গবেষণাগার নিয়ন্ত্রনের জন‍্য সচিব বসিয়ে রাখা হয় না। রাজনীতির প্রভাবমুক্ত শিক্ষা গড়ে তুলতে পারছে ওরা। শিক্ষাকে তুলে দিয়েছে প্রকৃত শিক্ষিত ও মেধাবীদের হাতে। একটা দেশের হাজারো সমস‍্যা থাকার পরও দেশটাকে দাঁড় করাতে হলে যেটা ঠিক রাখতে হয়, ভারত সেটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। আমরা কী তেমনটা করতে পারি না? 
……..
ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন