বাংলাদেশ বার্তাঃ রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে গত ৬ ডিসেম্বর রংপুর জেলগেট থেকে এবং রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বেলঘরিয়া থেকে জামায়াতের মহিলা রুকন (সদস্যা) মোস্তারী বেগমসহ ১১জন মহিলা কর্মীকে ৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ৭ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সব মামলায় জামিন লাভ করা সত্ত্বেও মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে রংপুর জেলগেট থেকে এবং জামায়াতের মহিলা রুকন (সদস্যা) মোস্তারী বেগমসহ ১১জন মহিলা কর্মীকে মতিহার থানার বেলঘরিয়া থেকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারী চরিত্রই জাতির সামনে অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী একজন জনপ্রিয় নেতা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তিনি সকল মামলায় জামিন লাভ করা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে নতুন মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে জেলগেট থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে সরকার আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বর্তমান সরকার দেশের আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত হলে কিছুতেই এ ধরনের অন্যায় আচরণ করতে পারতো না।
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বেলঘরিয়া থেকে জামায়াতের মহিলা রুকন মোস্তারী বেগমসহ ১১জন কর্মীকে পুলিশ বিনা কারণে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। স্বৈরাচারী সরকারের এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থেকে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের মহিলা রুকন মোস্তারী বেগমসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল পুরুষ ও মহিলা নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন