ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

যানজট মুক্ত নগরী ও গণপরিবহণে শৃংখলা আনার দাবী

বাংলাদেশ বার্তাঃ ২০ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সুম্মেখে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ এর উদ্যোগে-‘‘যানজট মুক্ত নগরী ও গণপরিবহণে শৃংখলা আনার দাবীতে” মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, আনিসুর রহমান দেওয়ান-প্রেসিডিয়াম মেম্বার এনপিপি, মোঃ কামরুল আহসান- মহাসচিব, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, হারুনুর রশিদ, সভাপতি দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে প্রায় ২ কোটি নাগরিকের বাস এই রাজধানীতে। এর মধ্যে কাজের উদ্দেশ্যে, পড়ালেখা ও দৈনন্দিন চাহিদার কারণে প্রতিদিন রাস্তায় বের হতে হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ নাগরিককে। কিন্তু এই অপরিকল্পিত নগরীতে নেই পর্যাপ্ত রাস্তা ঘাট, নেই পর্যাপ্ত ফুটপাত। যাও আছে তারমধ্যে ৩০ ভাগই হকার, পার্কিং, নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা দখল হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকার প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বান্ধব হলেও আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা এনালগ বা মান্ধাতার আমলে রয়ে গেছে। নগরীর নাগরিকরা সিটি কর্পোরেশনকে ট্যাক্স প্রদান করলেও সিটি কর্পোরেশন শুধুমাত্র রাস্তার নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পালন করেই খালাস পেয়ে যান। অথচ নাগরিক সেবা প্রদান করার জন্য যানজট দূর করা, গণপরিবহণের যাত্রীসেবা কোন কিছুরই দায়িত্ব কেহই নিতে চায়না। একজন অপরজনের উপর দায়িত্বের কথা বলে নাগরিকদের ধোকাবাজীর মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। আমরা এসকল আজগুবী কথা বার্তায় আর বিশ^াস করতে চাই না। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ^ ব্যাংকের হিসাব মতে নগরীতে প্রতিদিন যানজটের কারণে ৩২ লক্ষ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। এতে করে বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এসব হিসাবে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলেও প্রত্যক্ষভাবে সাধারণ নাগরিকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যানজটের কারণে তাদের স্বাভাবিকের চাইতে পরিশ্রম করতে হচ্ছে দিনের বেশীর ভাগ সময়। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি তার উপর তীব্র যানজট নাগরিকদের অসুস্থ করে তুলেছে। এরপরও রাস্তায় নামলে গণপরিবহণের বিশৃংখল অবস্থা, গণপরিবহণের শ্রমিকদের হাতে নাজেহাল, তিরস্কার হতে হচ্ছে। যাত্রীসেবা বলে এখন আর কিছুই নেই। একশ্রেণীর মস্তান রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আজ গণপরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে। ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছা মাফিক। নাগরিকরা মনে করে এসমস্ত দেখার কি কেউ নেই? আমরা সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অতিশীগ্রই সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে এনে যানজট মুক্ত আধুনিক জবাব দিহি মূলক গণপরিবহন সেবা খাত প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের কতিপয় দাবী ঃ-
ট্রাফিক ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি বান্ধব করা, প্রতিটি মোড়ে ছোট ছোট ইউলুপ ও আন্ডারপাস তৈরী করা, সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সকল সেবার দায়ভার সিটি কর্পোরেশনের উপর প্রবর্তন করা, গণপরিবহণের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থা তৈরী করা, গণপরিবহনের শৃংখলা আনার জন্য সকল শ্রেণীর পেশার লোকজনের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন