ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮

তুরস্কে ইসলামী আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস


বাংলঅদেশ বার্তাঃ এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশ শত শত বছর ধরে রোমান সাম্রাজ্যের কুফরী শক্তির অন্ধকার শাসনাধীন ছিল। তাদের এই শাসন আমল, আমাদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) দখল করার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আমাদের নবী করীম (সা:) এর মহান সাহাবীগন রাসুলের আদর্শে ও শিক্ষায় অনুপ্রানীত হয়ে রোমান সাম্রাজ্য জুলুম ও নির্যাতন থেকে মানুষদের উদ্ধার করার জন্য রোমান সাম্রাজ্যকে জয় করে নেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্য মতে, ঐ সময় তুরস্কের মুসলমানরা সামারকান্দ ও বুহারা দিয়ে আসেন এনাতলিয়া (আনাদলু) তে। ১০৪৮ সালে বাইজান্টিনদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে পরাজিত করে মুসলিমরা তাদের স্বাধীনতার দ্বার কে উন্মোচিত করে। এর পরবর্তীতে ১০৭১ সালে মালাজগিরত যুদ্ধের মাধ্যমে এনাতলিয়ায় প্রবেশের সকল দরজাকে উন্মুক্ত করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা গোটা এনাতুলিয়া তাদের করতলগত করে এবং সেলচুক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে ।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ এবং নৈতিক অধঃপতন সেলচুক রাষ্ট্রের পতনকে ত্বরান্বিত করে।তুরস্কের সর্ব পশ্চিমের নগর বুরসাতে ওসমানের বংশধরগন তাদের পূর্বপুরুষদের চিন্তধারাকে সামনে নিয়ে আসেন। ওসমানের বংশধরেরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করে ও তাদের রাষ্ট্রের পরিসীমাকে আস্তে আস্তে বড় করতে থাকে। আল্লাহ তালার অশেষ মেহেরবানীতে তাবুর নিচে গড়ে উঠা এই রাষ্ট্রটি বিশাল ওসমানী খিলাফতে রুপ লাভ করে।

১৪৫৩ সালে ইস্তানবুলের বিজয়ের মধ্যদিয়ে মুসলিমরা দুনিয়ার সব থেকে বড় ও শক্তিশালী শক্তিতে রুপ লাভ করে। ইসলামী ঐক্যকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড় করানোর জন্য তারা ইরানিয়ান প্রভাবকে খর্ব করেন। এর পরপরই ইয়াভুজ সুলতান সেলিম মক্কাকে মামলুকী রাষ্ট্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মিশরে সৈন্য সমাবেশ ঘটান। এবং মিশরকে বিজয় করার পর তিনি মিশরকে ওসমানী খেলাফতের অভিভুক্ত করেন।

ওসমানী খেলাফতের পতন:

প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত মুসলমানদের অধিকারকে সংরক্ষন করার জন্য ও সারা দুনিয়াতে আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য ইউরোপকে তঠস্থ করে রাখতে পেরেছিল। যেখানেই যুলুম ও নির্যাতনের সংবাদ পেয়েছিল সেখানেই তারা মুসলিমদের ও মানবজাতি কে উদ্ধার করার জন্য তাদের সকল প্রকার সাহায্য নিয়ে হাজির হতেন। সর্বপ্রথম ওসমানী খেলাফতের খলিফার সাথে চুক্তি করতে আসেন থিউডর হেরজেল নামক বিখ্যাত ইহুদি তিনি ওসমানী খলিফা আব্দুল হামিদ খানের সাথে সাক্ষাত করেন। এবং তাকে প্রস্তাব দেন যে তাদের সকল ঋণ মৌকুফ এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনকে তাদের হাতে তুলে দিতে । ওসমানী খেলাফতের খলিফা সুলতান আব্দুল হামিদ তার এই প্রস্তাবে বলেছিলেন যে, "শহীদের রক্তে কেনা ভুমি কখনো টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতে পারি না"। 

আর এই জবাবের পর তারা তাদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আব্দুল হামিদ খানের উপর। তারা তাকে পদচ্যুত করে ও তাদের পছন্দ মতো খলিফাকে স্থলাভিষিক্ত করার পরে ওসমানী খেলাফত কে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করতে বাধ্য করে। এরই মধ্যে ওসমানী খেলাফত তার সকল ভুমিকে হারায় । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাদেরকে জার্মানীর সহযোগী হতে বাধ্য করে। জার্মানীর মিত্রশক্তি হিসেবে যুদ্ধ করতে গিয়ে তারা তাদের অবশিষ্ঠ শক্তিটুকুও খর্ব করে ফেলে। এবং আর নিজেকে রক্ষা করার মতো শক্তি অবশিষ্ঠ থাকে না । যুদ্ধের পর ইউরোপ থেকে আনাতোলিয়াকে উদ্ধার করার জন্য খলিফা মোস্তফা কামাল পাশাকে সেনাপতী করেন। সাথে সাথে সমগ্র আনাতোলিয়া নিজের সর্বশেষ আশ্রয়কে রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই যুদ্ধে বিজয়ের পরে মোস্তফা কামাল পাশা (আতাতুর্ক) ওসমানী খেলাফতের সর্বশেষ পরিবারকে নির্বাসিত করে এবং খিলাফত কে বাতিল করে রিপাবলিকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরেই শুরু হয় ইসলাম ও মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহতা। কোরআন শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করা। সেকুলারিজম কে গ্রহন, মসজিদে তারকিশ ভাষায় আজান, লেখার আরবী হরফকে পরিবর্তন করে লেটিন হরফ ব্যবহার। এইভাবে চলতে থাকে ২৮ বছর। যাতে করে গোটা জাতি এই জুলুমের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে না পারে , তাই ৩০ জানুয়ারী ১৯৪৩ সালে আসেন ব্রিটেনের প্রেসিডেন্ট চার্চিল । তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ইসমত ইননুর সাথে বৈঠক করে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাগিদ দেন। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির ২ জন এমপি জেলাল বায়ার ও আদনান মেন্ডেরস প্রতিষ্ঠা করেন ডেমোক্র্যাক্ট পাটি। শত যুলুমের স্বীকার মুসলিম জাতিকে তিনি শুধু ওয়াদা দেন যে তিনি পুনরায় আরবীতে আযান দেওয়ার প্রথা চালু করবেন। এতেই তাকে জনগন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। এভাবেই চলে ১০ বছর। তিনি সেই সময়ে মুসলিমদেরকে কোরআন শেখা নামায পড়ার অনুমতি সহ বেশ কিছু সুবিধা দেন ।

যুলুম নির্যাতনের সময় ইসলামী আন্দোলনঃ

যে সময়ে আল্লাহ নাম ডাকাও নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার রহমত স্বরুপ বড় বড় আলেমদের পাঠান। সেই আলেমগন তাদের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার জুলুম নির্যাতনের স্টিম রুলারকে উপেক্ষা করে আল্লাহ তা’লার দ্বীনের ঝান্ডাকে বুলন্দ করার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন দুর্বার গতিতে । তাদের মধ্য থেকে অন্যতম কয়েকজনের নাম আমি উল্যেখ করতে চাই।

ওস্তাদ বদিউজ্জাামন সাইয়েদ নুরসী (রা) তার বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ 'রিসালায়ে নুরে'র মাধ্যমে যুবকদের মধ্যে প্রচলিত ও ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রপাগান্ডার দাঁত ভাঙ্গা জবাব পেশ করেন। নাস্তিক্যবাদ ও কমিউনিজমের বিরুদ্ধে তিনি তুলে ধরেন ইসলামের শ্রেষ্ঠ্যত্ব ও ঈমানের ব্যপারকে শক্তিশালী করার মানসে তিনি নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন অকাট্য যুক্তিমালা।

সুল্ইামান হিলমি তুনান র কোরআন পড়া ও শিক্ষা দেয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বিচলিত হয়ে পরেন। আগামী প্রজন্ম কোরআনকে যাতে ভুলে না যায় সেই জন্য তিনি গ্রহন করেন অভিনব পদ্ধতি। তিনি ছিলেন ধনী পরিবারের তাই তিনি তার টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকেট কিনে সেখানে যাতে পুলিশ ও সরকারি গোয়েন্দারা দেখতে না পারে ট্রেনের ছোট কামরা গুলোতে তার ছাত্রদের কোরআন শেখাতেন। তার এই ছাত্ররাই পরবর্তীতে কোরআন কে জিইয়িয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে।

ইসকিলিপলি আতিফ (রহঃ) কে ফাঁসি দেয়া হয় শুধু মাত্র তিনি হ্যাট এর বিপক্ষে বই লিখেছেন ও বিপ্লবের বিপক্ষের শক্তি বলে। সর্বশেষ কোর্টে এ যাওয়ার আগে যখন তিনি তার ফাইল রেডি করতেছিলেন সেই রাতে তিনি নবী করিম সাঃ কে সপ্নে দেখেন ও নবী করীম সাঃ তাকে বলেন যে, তুমি কেনো এসব রেডি করতেছো? তুমি কি আমার সাথে মোলাকাত করতে চাও না!! এরপরে তিনি আর নিজের পক্ষে সাফাই করেন নি। এরপর তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। আলী হায়দার, মুহাম্মদ সাইদসহ আরো অনেক মুজাহিদগন শহীদ হন।

ডেমোক্রেট পার্টির পরের অবস্থাঃ

১৯৬০ সালে সামরিক জান্তাদের ক্যু এর মাধ্যমে আরবীতে আজান প্রচলন করার দায়ে ফাঁসি দেয়া হয় আদনান মেন্দেরেসকে। এই ঘটনায় গোটা জাতি শোকাহত হয়েও সেনাবাহিনীর ভয়ে বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকে। এরপর বাম পন্থী ও মাসন হিসাবে পরিচিত সুলাইমান দেমিরেল আদনান মেন্ডরেস এর নাম ব্যবহার করে জনগনের সমর্থন লাভ করে ক্ষমতায় আরোহন করে। কিন্তু এসময় কোন ব্যক্তি ইসলামী আন্দোলনের আহ্বান জানায়নি বা এসময় কোন আন্দোলন সাংগঠনিক ভাবে গড়ে উঠেনি।

ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ও তার মিল্লিগুরুশ আন্দোলনঃ

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী নাজিমুদ্দিন এরবাকান সমসাময়িক আলেমদের পরামর্শে ১৯৬৯ সালে সতন্ত্রভাবে এমপি হোন। এবং সে সময়ের সকল ইসলামী সংগঠনের সমর্থনে মিল্লিগুরুশ নামক আন্দোলন গঠন করেন। এটা কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি সাধারন প্লাটফরম ছিল । এখানে তিনি মিল্লিগুরুশ কে স্থান কাল পাত্র ভেদে ব্যবহার করতেন। যেহেতু তুরস্কে ইসলামের নামে সংগঠন করা ও ইসলামের দল করাও নিষিদ্ধ তাই তিনি কৌশলগত ভাবে এই নাম দেন।এর দ্বারা তিনি মিল্লাতে ইব্রাহীম তথা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বুঝাতেন। মিল্লি গুরুশের আন্দোলনের মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল 

- সবার আগে আখলাক এবং আধ্যাত্মিকতা ।

-অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করা। আমেরিকা ও রাশিয়ার থেকে সতন্ত্র ভাবে শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নতি করে নতুন এক তুরস্ক গঠন।

-আধ্যাতিক উন্নতি । ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া জাতিকে পুনরায় ইসলামের দিকে আহ্বান ও তাদেকে যোগ্য মুসলিম রুপে গড়ে তোলা। বিশেষ করে যুবকদের মাঝে ইসলামের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি করা।

- ইসলামীক ইউনিয়ন গড়ে তোলা ও সকল মুসলিমদেরকে একই প্লাটফরমে নিয়ে এসে সকল সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা।

মিল্লি গুরুশ প্রতিষ্ঠা করে এই পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মিল্লি নিজাম পার্টি কিন্তু এই দলটিকে মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর তিনি গঠন করেন মিল্লি সালামেত পার্টি এই দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৪৮ টি আসন লাভ করে এবং কোয়ালিশনের মাধ্যমে শর্ত ভিত্তিক সরকার গঠন করে। এরবাকান হন সরকারের উপ প্রধান মন্ত্রী (অর্থনীতি বিষয়ক)এবং তার দল থেকে শিল্প মন্ত্রী; শিক্ষা মন্ত্রী; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী; সহ গুরুত্ত্ব পূর্ণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রিত্ত্ব লাভ করেন। 

তার এই কোয়ালিশন সরকারের সময় ৬ হাজার মুসলিম কে মুক্ত করে দেয়া, সাইপ্রাস কে গ্রীস থেকে মুক্ত করে তুরকিশ সাইপ্রাস গঠন করা ও মুসলিমদেরকে যুলুম মুক্ত করা, নতুন করে মাদ্রসা শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা; হাজার হাজার কুরআন কোর্স চালু করা; মাদ্রাসার ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার সুজুগ দেওয়া; সাইদ বদিউযযমান নুরসির রিসালায়ই নুরের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রতাহার করা; সেনানিবাস সহ সকল সরকারি অফিস আদালতে মাসজিদ প্রতিষ্ঠা করা; ইসলামী বইপুস্তক প্রকাশের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া; অশ্লীলতা বেহায়াপনা দূর করারা লক্ষে আইন করা সহ অনেক কাজ করেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ এই সময়ের মধ্যে তিনি ২৭০ টি ভারি শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন যার মধ্যে বিমান তৈরির কারখানা থেকে শুরু করে সকল কিছুই ছিল। তার এই উদ্দম দেখে সাম্রাজ্য বাদী শক্তি অন্য দলকে তার সাথে কোয়ালিশন ছিন্ন করতে বাধ্য করে। 

এর পর ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ তে তুরস্কের কোনিয়াতে কুদুস দিবসের সমাবেশ পালনের অভিযোগে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ তে সামরিক শাসকগন ক্যু করে এই পার্টিকেও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। সেই সাথে সকল রাজনৈতিক দল কেও নিষিদ্ধ করা হয়।এবং এরবাকান কে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরন করে। 

তার উপর এই সকল যুলুম নির্যাতন ও তাকে রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ১৯৮৩ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি লাভের পর দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে দিয়ে তিনি রেফাহ পার্টি গঠন করান। এই পাটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করে। এবং ১৯৮৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকানের উপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় তিনি আবারো রাজনীতিতে আসেন। ও রেফাহ পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রেফাহ পার্টি ব্যপাক জনপ্রিয়তা পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালের স্থানীয় মেয়র নির্বাচনে ইস্তানবুল ও আঙ্কারা সহ অনেক সিটি কর্পোরেশনে বিজয় লাভ করে।এর পর নতুন উদ্দমে কাজ করে ‘’ন্যায় ভিত্তিক সমাজ’’ এই স্লোগান নিয়ে ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন।কিন্তু এই সরকার মাত্র ১১ মাস ক্ষমতায় থাকতে পারে পরবর্তীতে এক post modern সামরিক অভুথানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। 

ডঃ নাজিমুদ্দিন এরবাকান তার ১১ মাসের শাসনামলে D-8 প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুদের হারকে কমিয়ে নিয়ে আসেন।মাত্র ১১ মাসের শাসনামলে ৩৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেন। সকলের বেতন তিনি ১০০ ভাগ বৃদ্ধি করেন । কোন কোন ক্ষেত্রে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেন।জনগনের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হন।শিল্পায়নে গতি ফিরিয়ে এনে ৫ বছরের মধ্যে তুরস্ককে জাপান ও জার্মানির শিল্পায়নকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। মুসলিম দেশ গুলুকে নিয়ে কমন মার্কেট চালু করেন। তার এই সকল উত্তোরত্তর সফলতায় ইয়াহুদীরা রেফাহ পার্টিকে বন্ধ করার লক্ষ্যে সকল প্রকার প্রপাগান্ডা চালায়। ও তার পার্টি শরিয়ত কায়েম করবে এই অভিযোগে তাকে সরানোর জন্য সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। এই অবস্থায় এরবাকান এই শর্তে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন যে তার কোয়ালিশন পাটির নেত্রী তানসু চিল্লারকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। কিন্তু মাসন ও ইয়াহুদিদের ধারক সোলাইমান দেমিরেল বিশ্বাস ঘাতকতা করে মেসুদ ইলমাজকে প্রধানমন্ত্রী করে। এইভাবে রেফাহ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নাজমুদ্দিন এরবাকান কেও রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরে মিল্লি গুরুসের অপর নেতা রেজাই কুতানের মাধ্যমে ফজিলত পার্টি গঠন করা হয় যা খুব অল্প সময়েই নিষিদ্ধ করা হয়। 

২০০১ এর ২০ জুলাই সাদাত পার্টি যাত্রা শুরু করে কিন্তু মিল্লি গুরুশ এর ভিতরে তরুন প্রজন্ম ও নতুনদের নেতৃত্ব নেয়ার নামে এবং ইসলাম এর আগে লিবারেল ডেমোক্রেসিকে নিয়ে আসেন কতিপয় নেতা। তারা পরবতীতে মিল্লি গুরুশকে ভেঙ্গে গঠন করেন একে পাটি। মিল্লিগুরুশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । সাদেত পার্টি রয়ে যায় মূল ধারার আন্দোলন হিসেবে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে সাদেত পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান পার্টির ডেলিগেটদের অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হলে সাদেত পার্টিতে নেতৃত্ব নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্ঠি হয় । ৮৪ বছর বয়সে ২০১০ সালে এরবাকান সাদেত পাটির দায়িত্ব গ্রহন করেন। সাদাত পাটি এখনো তাদের এস্পিরট ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে শত প্রতিকুলতার মাঝেও তুরস্কে ৪র্থ বৃহত্তম দল হিসাবে

( এখানে একটা মজার ব্যপার হলো তারা দল থেকে বের হয়ে আসার পরেও অন্যান্য বাম পন্থীদের অভিযোগ ছিল এরবাকান দুইটা পার্টি দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। একটা হলো পাওয়ারে ও অন্যটা সামাজিক ও ইসলাম প্রচারের কাজে।)

একে পার্টির সম্পর্কে জানতেঃhttp://www.newsforbd.net/blog/blogdetail/detail/8831/Erbakan/67290#.WurcpIiFM2w

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন