দেখা হলে জিজ্ঞেস করেন-
ভাই দিগন্ত কবে খুলবে? আর কী খুলবেনা!
দিগন্ত টেলিভিশন সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর অনেক দর্শক, শুভার্থী এমনকি আমাদের কোন কোন সহকর্মী ভাবতেন কী দরকার ছিল এত রেডিক্যাল হবার!
একটু রয়ে সয়ে চললেই তে হতো।তাদের এ জাতীয় মন্তব্যে মনটা খুব খারাপ হয়ে যেত।
আসলেই আমরা কী কোন ভুল করেছি।
নিজের দোষ তো কেউ ধরতে পারেনা। হয়তো আমাদেরই ভুল ছিল। এসব ভেবে ভেতরে ভেতরে মনমরা হয়ে থাকতাম।
ইদানীং লোকদের আর সেসব কথা বলতে শুনিনা।তারা হয়তো ইত্যবসরে দেখে ফেলেছেন রয়ে সয়ে চললেও ফ্যাসিবাদের কাছে আখেরে ফলাফল শূন্য।
দেশের বৃহত্তম ব্যাংক টি চোখের সামনেই তিলে তিলে নি:শেষ হতে চলেছে। রয়ে সয়ে, স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে এবং শাসকদের মন মত করে চলার নীতির যারা প্রণেতা ছিলেন- তারাও সেই ব্যাংকে নেই আজ। অপমানজনক ভাবে তাদের সে ব্যাংক ছাড়তে হয়েছে।
এই দখল স্বত্ব উপহার দিয়ে তিল তিল মৃত্যুর কোন গৌরব নেই। তাদের জন্য কোন প্রতিবাদ থাকেনা। থাকেনা কোন সহমর্মিতা।
দিগন্ত কে জোর করে অন্যায়ভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দেশে বিদেশে লক্ষ কোটি জনতা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। আজও মানুষ আমাদের ভালবাসে।
কখন দিগন্ত চালু হবে তার প্রত্যাশায় থাকে।আমাদের চোখ, মুখ, হাত, পা বাঁধা কিন্তু আমরা মরিনি।
নতুন প্রত্যাশায় জীবন শুরু করার জন্য উন্মুখ হয়ে বেঁচে আছি।
এই বেঁচে থাকা খুব কষ্টের।
কর্মহীন, শূন্য উদরে বেঁচে থাকার মর্মপীড়া বড্ড অসহনীয়।
চোখের উপচে পড়া জল মুছে, পেটে পাথর বেঁধে তবুও আমরা অপেক্ষায় আছি।
দেখতে চাই সত্যের জয়।
উপলব্ধি করতে চাই ফ্যাসিবাদ হারলে তাঁর চেহারা কেমন হয়? দিগন্তের জরাজীর্ণ ক্যামেরায় সেই চেহারার ছবি ধারণ করে ইতিহাস হতে চাই ।
———————
৬ই মে’ ২০১৮।
from brother mujibur rahman manju
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন