সৌদি আরব আসার আগে গামকাতে নানাভাবে হয়রানি হন মানুষ। এটি অনেক পুরনো, নতুন কোন বিষয় না। আমাদের কর্তারা যেন বিষয়গুলো আরো বেশি করে জানতে পারেন, তাই ভুক্তভোগীদের লেখা আমরা প্রকাশ করবো। আপনার অভিজ্ঞতার কথা লিখে আমাদের ইনবক্সে পাঠান আপনিও - এডমিন।
আমি প্রথমে মেডিকেল করেছি আল গোফলি মেডিকেল সেন্টার বনানী। আমাকে বললো, আমার রক্ত জন্ডিস বুকে সমস্যা এক সপ্তাহ পরে সাক্ষাৎ করতে বললো । সাথে জেমিক ঔষুধ দিল ৩ টা। বললো এইগুলো খেয়ে এক সপ্তাহ পরে রক্ত আবার দিতে হবে। বুকে আবার এক্সরে করতে হবে, ১ সপ্তাহ পরে ১ হাজার নিল, রক্ত দিলাম এক্সরে করলাম আমাকে ৬ মাসের জন্য আনফিট মেরে দিল। পরে বুজলাম সাক্ষাৎ মানে দালালের মারপতে ১০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ফিট দিত। আমি দালালের মারফতে যাইনি। তাই আমি আনফিট।
পরে আবার পাসপোর্ট চেঞ্জ করে গামকা স্লিপ নিয়ে গেলাম মক্কা মেডিকেল সেন্টারে। ওরা একি সমস্যার কথা বললো। রক্তে সমস্যা, বুকে সমস্যা, এবার মনে ভয় ডুকে গেল। ভাবলাম বিষয় টা সত্যি মনে হয়, আমার শরীরে সমস্যা, রক্তে সমস্যা, বুকে সমস্যা। জটিল রোগ ভেবে ভেঙ্গে পড়লম। মনে হচ্ছিলো আমি আর বেশি দিন বাঁচবো না।
পরে প্রাইভেট এ গেলাম। টেস্ট করে চিকিৎসা করাবো। প্রাইভেট এ দুটি রিপোর্টে আমি সম্পূর্ণ ঠিক। আমার কোন সমস্যা নাই। আবার পাসর্পোট চেন্জ করে মক্কা মেডিকেল সেন্টারে কাজ করে এমন ১ জনের সাথে আলাপ করি। উনি বললেন গামকার কথা। উনি বললেন যে, মেডিকেল সেন্টারে একবার আপনাকে আনফিট মারবে, পরে আপনি মোটা অংকের টাকা ছাড়া ফিট হতে পারবেন না। কারণ প্রথমে যে মেডিকেল সেন্টার আপনাকে আনফিট করেছে ওই সেন্টার আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সব মেডিকেল সেন্টারে ইনফর্ম করে রেখেছে। মূলত সব মেডিকেল সেন্টার সিনন্ডিকেটে এ পরিণত হয়ে গেছে।
কয়েকটা মেডিকেল সেন্টার এই সিন্ডিকেট এর বাহিরে। বাইরে থাকার কারণ টা জানতে পারলাম না।
যাই হোক, পরে ওই লোককে জিগেস করলাম এখন কি করতে হবে ওনি বললো ৫০ হাজার লাগবে ১ সপ্তাহে মধ্যে পাসর্পোট চেঞ্জ করে ফিট দিয়ে দিবে। ওকে বাদ দিয়ে গেলাম আরেক জন দালালের কাছে। উনি বলে আমার কাজ হচ্ছে শুধু ফিট করা।
যাই হোক, ওনার সাথে কথা হল আমাকে পাসর্পোট পরিবর্তন করে আসতে হবে। তাকে ২৫ হাজার দিতে হবে। ১ সপ্তাহর মধ্যে ফিট করে দিবে। পরে আবার ১০ হাজার দিয়ে ইমাজেন্সি পাসর্পোট পরিবর্তন করে এলাম। উনি আগে থেকে গামকা স্লিপ সংগ্রহ করে রেখেছে। আমাকে গামকা স্লিপ দিয়ে বললো, গুলশান মেডিকেল সেন্টারে যাবে। কোন কথা নাই, শুধু রক্ত দিবে তারপরে বাড়িতে চলে যাবে। তার পরে দেখি আলা উদ্দিনের চেরাগের মত আমি ফিট। আমার রক্তের জন্ডিসও নাই বুকে ও সমস্যা নাই।
বেলায়েত হোসেন, সৌদি আরব
জনস্বার্থে :
আমরা সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশী
আমরা সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন