ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮

মাহাথির-আনোয়ার ইব্রাহিম জোটের জয়ের সমীকরণ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক মে ১০, ২০১৮:  মাহাথির-আনোয়ার ইব্রাহিম জোটের জয়ের সমীকরণ
১. মাহাথির মুহাম্মদের ৯০ বছরে রিটায়ার্ড লাইফ থেকে ফিরে এসে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সাথে যোগ দেওয়াটা একটা বড় ঘটনা, স্বভাবতই ফলাফলে এর একটি প্রভাব রয়েছে।
২. যদিও মাহাথির মুহাম্মদের প্রভাবটা একদম কম নয় তবুও আমার মতে এই বিজয়ের মূল কারিগড় কিন্তু আনোয়ার ইব্রাহিমই। কারন:
প্রথমত: গত নির্বাচনেই তার জোটের ভোট ৫০% এর উপরে চলে গিয়েছিল কিন্তু আসন সংখ্যার দিক থেকে নাজিব রাজ্জাক বেশী পাওয়ার কারনে স্বভাবতই আনোয়ার ইব্রাহিমরা সরকার গঠন করতে পারেনি। নাজিব রাজ্জাকরা সরকার গঠনের পর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক মন্দাতে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাল্লা এমনিতেই ভারী ছিল।
দ্বিতীয়ত: মাহাথিরের কারনেই আনোয়ার ইব্রাহীমের দীর্ঘদিন কারাবরণ ও অনিশ্চিত গন্তব্যের জীবন পরিচালনা করতে হয়েছে। তারপরও জাতীয় স্বার্থে তিনি যেভাবে মাহাথিরকে ক্ষমা করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়েছেন তাতে জনগনের ভালোবাসা ও সমর্থন আরো বেড়েছে।
তৃতীয়ত: এবারের নির্বাচনের ফলাফলে আনোয়ার ইব্রাহীমের দল যেখানে ৭২ টিতে ইলেকশন করে ৪৯ টিতে জয় পেয়েছে সেখানে মাহাথিরের দল ৫২ টিতে ইলেকশন করে ১২ টিতে জয় পেয়েছে। উল্লেখ্য, আনোয়ার ইব্রাহিমের দল ২০১৩ সালে ২৮ আসনে জয় পেয়েছিল। সে হিসেবে এবার ২১ টি আসন তার দলের বেড়েছে।
৩. ইসলামপন্থী দল পাস রাজ্য সরকার পরিচালনায় সফল হয়েছে এবং জনগন তাদের মনে প্রাণে গ্রহন করেছে। তাই রাজ্যে তাদের প্রভাব কমেনী বরং নতুন করে কয়েকবছর পর তেরেঙ্গানুতে আবার জয় পেয়েছে। কিন্তু জাতীয়ভাবে নাজিব রাজ্জাককে সমর্থন দেওয়াটা জনগন সম্ববত ভালোভাবে নেয়নি, তাই জাতীয়ভাবে তাদের আসন সংখ্যা কমেছে। এক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে ভালো করেছে আমানাহ নামক দলটি। নতুন হওয়া একটি দলের ৩৩ টি আসনে ইলেকশন করে ১০ টিতে জেতাকে বড় জয়ই মনে হয়।
৪. সরকারে মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হলেও মূল প্রভাব থাকবে আনোয়ার ইব্রাহিমের দলেরই। কেননা সংসদে মাহাথিরের আসন সংখ্যা মাত্র ১২ টি। আর তাই আনোয়ার ইব্রাহীম কারাবাস থেকে মুক্তির পর প্রধামমন্ত্রী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে মালয়েশিয়ায় নতুন এক যুগের সূচনা হবে।
৫. জনগন জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে, মজলুমের পক্ষে। কিন্তু জরুরী হল যোগ্য নেতার, যিনি মজলুম হওয়া সত্ত্বেও জাতির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে নিজের উপর জুলুমের কথা ভুলে যাবেন এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞ হবেন যেমনটা আনোয়ার ইব্রাহীম দেখিয়েছেন।
৬. সবমিলে মাহাথির-আনোয়ারদের এই জয় মুসলিম বিশ্বের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মালয়েশিয়া মুসলিম বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মত মাহাথির/ আনোয়াররা যদি ভূমিকা পালন করতে পারেন, তাহলে বিশ্ব রাজনীতিতে মুসলানদের প্রভাব বাড়বে এবং বর্তমানের এই সংকটাবস্থার কিছুটা হলেও উত্তরণ ঘটবে।
[কার্টেসি-হাফিজুর রহমান]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন