ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮

রাশেদ শ্রাবণ আই আই ইউ সি'র গর্ব: আই আই ইউসিয়ান রাশেদ শ্রাবন এর জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা

বাংলাদেশ বার্তাঃ জাতি হিসেবে আমাদের একটা জেনেরিক প্রোব্লেম বোধ হয়, আমরা মানুষকে বা তাঁর অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে জানি না। উল্টো কারো সাফল্যে ঈর্শান্বিত হই। কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাঁকে টেনে নিচে নামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করি। তাই একটা কৌতুক আছে এমন যেঃ জাহান্নামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে কোনো দারোয়ান লাগবে না। কারন সেখান থেকে কেউ বের হয়ে জান্নাতের দিকে রওয়ানা হলে আরেকজন তাকে টেনে জাহান্নামের ভেতরে নিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত দুঃখিত এমনটি এভাবে বলার জন্য। আমার নিজের সাথেও এমনটি ঘটেছে তাই অন্তরের গভীরের একটা কষ্ট এবং অভিজ্ঞতা থেকে এটি বলতে বাধ্য হয়েছি। তবে ব্যতিক্রম ব্যপারও আছে অনেক। আলহামদুলিল্লাহ!
সে যাই হোক, আমরা আমাদেরকে ঠেলে দিলেও বহুদিক থেকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া কিন্তু আমাদের রাশেদ শ্রাবনকে বেশ ঘটা করে সম্বর্ধনা দিয়েছে; ভুষিত করেছে ‘সিটিজেন অব দ্য ইয়ার’ খেতাবে। সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য রাশেদ কে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার এর পক্ষ থেকে। তাঁর এই সম্মাননা পাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াতেও সারা পড়েছে বেশ। মা শা আল্লাহ।
রাশেদ শ্রাবন আই আই ইউ সি ঢাকা ক্যম্পাস থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যঙ্কিং মেজর নিয়ে বি বি এ করেছে ২০ তম ব্যচের সাথে। পর পরই সে পাড়ি দেয় অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে গিয়ে Western Sydney University থেকে Accountnig and Finance এ মাস্টার্স করে। একই ইউনিভার্সিটিতে PhD তেও enrolled হয়েছে শ্রাবন। তাঁর অনেক attachment & achievements রয়েছে। সে Bangladesh Students Association (Australia) এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে। এখন সে ntv Australia এর CEO (Chief Executive Officer) হিসেবে কর্মরত আছে।
ব্যকগ্রাউন্ড বিজনেস হলেও তাঁর সাংবাদিক হিসেবে রয়েছে অনেক খ্যাতি। আমাদের এই ইয়াং আই আই ইউসিয়ান রাশেদ শ্রাবন এর জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা।

সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

বোরকা বিপ্লব: বাংলাদেশ পাল্টে যাচ্ছে রাতারাতি


বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশে নীরবে একটি বোরকা বিপ্লব ঘটে গেছে। নারীর পোশাকে এতবড় নীরব পরিবর্তন, অভূতপূর্ব। এটা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভিজাত বিদ্যাপীঠ থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ের সর্বত্র চোখে পড়ছে। কয়েক শত বছর আগে প্রাচীন বাংলার জনগণ, যখন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তখন তারা সেটি করেছিলেন দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি টিকিয়ে রেখে। অনেকেই বলছেন, এই পরিবর্তন বা বিপ্লবের অর্থ ও তাৎপর্য কী? প্রশ্ন হলো যেসব দেশের নারীরা বেশি বোরকা পরবেন, তাদেরকেই অধিকতর ডান, গোঁড়া বা রক্ষণশীল বলার কি কোনো যুক্তি আছে? এর বৈশ্বিক মাত্রা থাকতে পারে, কিন্তু কোনো দেশের বাস্তবতা কোনো দেশের সঙ্গে মেলে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে কি কোনো বড় ধরনের রাষ্ট্রীয় বা আর্থ-সামাজিক ঘটনার প্রতিফলন এসেছে কিনা সেটাও এক প্রশ্ন। বাহারি নামের পাশাপাশি পাকিস্তানি, সৌদি, ইরানি, দুবাইয়ের বোরকার দেখা মেলে সহসাই। বিভিন্ন দেশের নামে হলেও তা মূলত তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই। 

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ মনে করেন, মুসলিম প্রধান দেশে বোরকার এই বিপ্লব খুবই স্বাভাবিক। নিজের মেয়ে-সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়ে বোরকাকে শক্ত হাতিয়ার ভাবেন অনেক অভিভাবক। আসলেই কি বোরকার কারণে নিরাপদ থাকতে পারছেন নারীরা? আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা ইমি বলেন, বাস থেকে নামার সময় অভিনয় করে হেলপাররা প্রায়শই মেয়েদের শরীরে হাত দিয়ে থাকে। অভিনয় বলছি, এই কারণে- ওরা বয়স্ক মহিলার শরীরে প্রয়োজন ছাড়া হাত দেয় না। আবার অকারণে যুবতীদের শরীরে হাত দিয়ে থাকে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক নায়লা কবিরের মতে বাংলাদেশে এখন সৌদি আরবের সংস্কৃতিতে ইসলাম ধর্ম পালন করা হচ্ছে। মহিলার গায়ে বোরকা, মাথায় হিজাব, হাতে-পায়ে মোজা, চোখে সানগ্লাস- এটা সৌদি আরবের সংস্কৃতি। নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর ভর করেই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম এসেছিল। কিন্তু সেই ইসলাম এখন আর নেই।

পহেলা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী হিজাব দিবসও পালিত হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি নারী নাজমা খানের উদ্যোগে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম তিনি এ দিবস পালনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশসহ ১৯০টি দেশে গত বছর এ দিবসটি পালিত হয়।

বোরকা, নেকাব কিংবা হিজাব সংক্রান্ত পরিবর্তনের একটি বৈশ্বিক মাত্রাও রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে জার্মান সংসদে নেকাব পরে গাড়ি চালনা এবং পুরো মুখঢাকা সিভিল সার্ভেন্টদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেখানকার একটি ধর্মীয় সংগঠন একে বোরকা ও হিজাবের ওপর রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। ২০১১ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ফ্রান্স মুখঢাকা নিষিদ্ধ করে। এরপর বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড তা অনুসরণ করে। নেদারল্যান্ডস সরকারি অফিস-আদালতে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। ডাচ্‌ সংসদে ১৫০ সদস্যের মধ্যে ১৩২ জন বোরকাবিরোধী বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ডাচ্‌ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কাজকর্ম করতে গিয়ে এমন অনেক সময় আসে যখন মুখোমুখি তাকিয়ে কথা বলতে হয়, তখন সেটা ভিন্ন কিন্তু যখন তারা কর্মক্ষেত্রের বাইরে বা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবে, তখন তারা তাদের দরকার পড়লে অবশ্যই পুরো মুখাবয়ব ঢেকে নেবেন। 

ডেনমার্কে দেখা গেছে, বোরকা ও নেকাব বন্ধ করা নিয়ে বিরোধী দল সরকারি দলের পাশে দাঁড়িয়েছে। গত জুলাইয়ে ইউরোপীয় মানবাধিকার সংক্রান্ত শীর্ষ আদালত বোরকা নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে। দুজন মুসলিম নারী আদালতে আর্জি পেশ করেছিলেন যে, বেলজিয়াম সরকার প্রকাশ্যে পুরোপুরি মুখ ঢেকে চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করেছে। এটা ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত। কিন্তু আদালতে তাদের আর্জি খারিজ হয়েছে।

অনেকের মতে কাকতালীয়ভাবে হোক বা না হোক, পশ্চিমা বিশ্বের দেশে দেশে যতই বোরকা ও হিজাববিরোধী খবরাখবর মিডিয়া ও সামাজিক মিডিয়ায় ঝড় তৈরি করেছে, ততই বাংলাদেশে বোরকা ও হিজাবের ব্যবহার বেড়েছে। মনে হয়, অনেক বিশেষজ্ঞ এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দিচ্ছেন না। ইউরোপীয় দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটি পোশাক হিসেবে বোরকা নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তাদের যুক্তি হলো, মুখাবয়ব পুরোপুরি ঢেকে চলাচলকারী নিরাপত্তার দিক থেকে কখনো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ঘটেছে মজার কাণ্ড। সেখানে আইন পাসের পরে পুলিশ খবর পেলো যে, এমন একটি পুতুলকে দোকানে শোপিস হিসেবে রাখা হয়েছে, তার পুরোপুরি মুখ ঢাকা। ব্যস, তাতেই পুলিশ হানা দিয়েছিল। 

মার্কেল ১০ লাখের বেশি সিরীয় উদ্বাস্তু গ্রহণ করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলই একমাত্র কণ্ঠস্বর, যিনি বোরকা বিতর্কে সংযম দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন যে, সম্পূর্ণরূপে আবৃত কোনো পোশাক মেলবন্ধন বা সামাজিক ইন্টেগ্রেশনের জন্য একটি অন্তরায়। তবে তিনি মনে করেন, বোরকা আবার এমনো কোনো পোশাক নয়, যা কোনো অবস্থাতেই পরা যাবে না। তিনি একটা মধ্যপন্থা নিয়েছেন। অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, জায়গাগুলো নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। যেমন- কোনো আদালত বা পাবলিক সেক্টরের কোথাও এটা গ্রহণযোগ্য নয়, অন্যত্র গ্রহণযোগ্য। 

তাঁর কথায়, যদিও কিছু ধর্মীয় বৈষম্যমূলক আচরণ খুব অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই সর্বদা ধর্মীয় স্বাধীনতার উচ্চ মূল্যবোধ মনে রাখতে হবে। বার্লিনে আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারিয়ানদের এক সভায় সম্প্রতি তিনি একথা বলেন। মার্কেল আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার অধিকার তেমন স্বাধীনতাকেও সুরক্ষা দেয়, যেটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যেমনটা ভাবে বা কল্পনা করে তার থেকে তা ভিন্ন হতে পারে।

১৯শে আগস্ট জার্মান বেতার ডয়েচে ভেলের মার্টিন মুলো মন্তব্য করেছেন, জার্মানির বোরকা নিষিদ্ধের কোনো দরকার নেই। তাঁর কথায় বোরকা পরিহিত কাউকে দেখা যায় না জার্মানির শহরগুলোতে। তবে ভুল বোঝাবুঝি যাতে না হয়, সেজন্য আমি বলবো, বোরকা, নেকাব ও চাদর, যা দিয়ে নারীর শরীরকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়া হয়, তখন সেটা একটা প্রতিক্রিয়াশীল ও নিপীড়নমূলক ধারণায় পরিণত হয়, নারীর শরীরের ওপর পুরুষের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১৬ সালের আগস্টে ফ্রান্স মেয়েদের সাঁতার কাটার পোশাক হিসেবে বুরকিনি নিষিদ্ধ করেছিল। 

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন স্টাডিজ সেন্টার সব থেকে প্রিয় পোশাক কী তা জানতে একটি সমীক্ষা করে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিচালিত সমীক্ষায় ৩২ শতাংশ পাকিস্তানি নারী-পুরুষ বলেছেন, তাদের প্রিয় পোশাক নেকাব। সমীক্ষায় থাকা দেশগুলো ছিল- তিউনিশিয়া, পাকিস্তান, মিশর, ইরাক, লেবানন, সৌদি আরব এবং তুরস্ক। প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, প্রকাশ্যে একজন নারীর কেমন পোশাক পরিধান করা উচিত? এতে ৩,৫২৩ পাকিস্তানি অংশ নেন। ৩১ শতাংশ বলেছে, তাদের পছন্দ ‘আবায়া’, শাটল কক বোরকা মাত্র ৩ ভাগ মানুষের পছন্দ। উত্তরদাতাদের ৫১ শতাংশ ছিলেন পাকিস্তানি পুরুষ।

তিউনিশিয়ায় আরব বসন্তের পরে আরেকটি বড় সমীক্ষা চলে। এতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের নারীরা এমন বোরকা পরে, যাতে পুরো শরীর তো বটেই, চোখ দুটোও ঢাকা থাকে। পাতলা নেট দিয়ে তারা কোনোমতে দেখেন। এতে পরিষ্কার যে, আফগান নারীরা সব থেকে রক্ষণশীল পোশাক পরেন। রক্ষণশীলতায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সৌদি আরব ও অন্য কয়েকটি পারস্য উপসাগরীয় দেশের নারীরা। তারা পুরো শরীর ঢেকে কেবল চোখ দুটি খোলা রাখেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শিয়া তরিকার বোরকা। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বোরকা বিপ্লবে সৌদি ভাবধারার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেকের মতে সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই বোরকা বিপ্লবে বড় অবদান রাখতে পারেন। যুগ যুগ ধরে বোরকা চলছে, কিন্তু তাতে যুক্ত হয়েছে পা ও হাতে মোজা এবং শুধু চোখ খোলা রাখার মতো করে বোরকায় পরিবর্তন আনা। এটা অধিকতর রক্ষণশীলতার নির্দেশক। 

ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়, ইরান, ইরাক ও লেবাননে এই পোশাকের চল রয়েছে। এতে হাত ও মুখের কিছু অংশ খোলা থাকে। তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যে পোশাকটি রয়েছে, সেখানে মাথায় স্কার্ফ ধরনের এবং লম্বা পোশাকের সঙ্গে পুরো মুখাবয়ব খোলা থাকে। মিশরের নারীদের ৫২ শতাংশ এটি পরেন। রিপোর্ট বলেছে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের নারীরা সব থেকে আধুনিক হিসেবে এই পোশাকটিকেই বেছে নিয়েছেন। বিশেষ করে ইরান ও তুরস্কের আধুনিক নারীরা এই পোশাক পছন্দ করছেন। এর সঙ্গে আরো একটি স্টাইল রয়েছে। সেটি হলো, হাল ফ্যাশনের রঙিন লম্বা ধরনের পোশাক, কিন্তু মাথায় বড় মাপের ওড়না দিয়ে মাথা শিথিলভাবে মোড়ানো। আর ৬ নম্বরের পাশ্চাত্য রীতির মিশেলে সালোয়ার কামিজসহ যেকোনো ধরনের পোশাক। 

তবে পোশাকের সঙ্গে যে আধুনিকতা বা কোনো দেশের উন্নয়নের সম্পর্ক কত আলগা, সেটা ফুটে উঠেছে রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে। বলা হয়েছে, সৌদি আরব সব থেকে উন্নত কিন্তু পোশাকে তারা গোড়া ও রক্ষণশীল। সুতরাং অবস্থাটি মোটেই এমন নয় যে, যত বেশি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ততবেশি পোশাকে খোলামেলা, বিষয়টি মোটেই তা নয়। 

মুসলিম দেশ হয়েও যে দেশগুলোর নারীরা অপেক্ষাকৃত বেশি আধুনিক পোশাক পরছেন, সেসব দেশ সাধারণভাবে কম রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত। তারা হলো- লেবানন, তিউনিশিয়া ও তুরস্ক। আফ্রিকার কোনো কোনো ছোট মুসলিম রাষ্ট্রও বোরকা নিষিদ্ধে শামিল হয়েছে। 

ফ্রান্স বোরকায় যখন নিষেধাজ্ঞা দিলো তখন পাকিস্তানের ট্রিবিউন পত্রিকা লিখলো, গণতন্ত্র হলো সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রতিফলন। তাই পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করেন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলিম নয়। তাই প্রকাশ্যে তারা কোনো ধর্মকর্ম পালন করতে পারেন না। সুতরাং এটা যুক্তিসঙ্গত ও গণতান্ত্রিক মনে হলে যারা বোরকা নিষিদ্ধ করছে, সেটাও একইভাবে দেখতে হবে। 

পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তারেক পারভেজ একবার আদেশ দিলেন যে, নারী আইনজীবীরা আদালত কক্ষে বোরকা পরে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। তাঁর যুক্তি ছিল, তারা কি বলেন, কে বলেন, তা বুঝতে কষ্টকর হয়। কিন্তু তার ওই মন্তব্য বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছিল। ব্রাসেলসভিত্তিক পাকিস্তানি নারীবাদী মিরা গনি ২০১১ সালে লিখেছেন, ‘আমি বোরকাপন্থি নই। কিন্তু এর বাধা-নিষেধে আমি বিরোধিতা করি, তার কারণ আমি কিভাবে কখন কি পোশাক পরবো, সেটা রাষ্ট্র নির্ধারণ করতে পারে না। ২০০৪ সালে স্কুলে যেসব মেয়ে হিজাব পরে, তাদের রুখতে ফ্রান্স প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর সংসদ আইন করে মুখাবয়ব ঢেকে ফেললে ১৫০ ইউরো জরিমানা হবে। তার কথায়, বোরকা ইসলামের নয়, সংস্কৃতির অংশ। যখন নিরাপত্তার দোহাই দেয়া হয়, তখন এর উত্তর হলো, কিছু লোক এর অপব্যহার করে বলে গোটা প্রথাটাকেই নিষিদ্ধ করে দেয়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। 
তুরস্কও বোরকায় নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে আরোপ করেছিল, ১১ বছর পরে তারা তা একটু শিথিল করেছে। 

মানবজমিনের অনুসন্ধানে যে চিত্র এসেছে, তাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা যাবে। কেউ হয়তো জিজ্ঞাসু হবেন, এটা জানতে যে, বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা কি কোনো ধরনের কাউন্টারপ্রডাকটিভ কিছু? এটা কোনো ধারার পরিবর্তন নির্দেশ করছে? নাকি যুগের হাওয়া? 
রিপোর্টটি গ্রন্থনা করেছেন: মতিউর রহমান চৌধুরী, আমজাদ আলী সরদার ও পিয়াস সরকার
মানবজমিন ,২৯ জানুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ১০:০৪

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

দাজ্জাল মারা যাওয়ার পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, কতদিন পরে পৃথিবী ধ্বংস হবে

বাংলাদেশ বার্তাঃ দাজ্জাল মারা যাওয়ার পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, কতদিন পরে পৃথিবী ধ্বংশ হবে ! : "আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে দাজ্জালের আভির্ভাব হবে। সে চল্লিশ-আমি জানি না চল্লিশ দিবস, না মাস, না বছর-অবস্থান করবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) কে পাঠাবেন। তাকে দেখতে উরওয়া ইবনে মাসউদের মত মনে হবে। তিনি দাজ্জাল-কে খোজ করবেন ও হত্যা করবেন। এরপর মানুষ সাত বছর এমনভাবেকাটাবে যে দুজন মানুষের মধ্যে কোন শত্রুতা থাকবে না। এরপর (আল্লাহ রাব্বুল আলামীন) উত্তর দিক থেকে হিমেল বায়ু প্রেরণ করবেন। যাদের অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান রয়েছে তারা সকলে এতে মৃত্যু বরণ করবে। ঈমানদার ও ভাল মানুষের কেহ বেঁচে থাকবে না। যদি তোমাদের কেহ পাহাড়ের সুরক্ষিত গুহায় প্রবেশ করে তাকেও এ বাতাস পেয়ে বসবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আরো শুনেছি যে, দুরাচারী মানুষগুলো অবশিষ্ট থাকবে পাখির মত দ্রুত আর বাঘের মত হিংস্র। তারা ভালকে ভাল হিসাবে জানবে না আর মন্দ-কে মন্দ মনে করবে না। শয়তান মানুষের আকৃতিতে তাদের কাছে এসে বলবে তোমরা ভাল কাজে সাড়া কেন দাও না? তারা বলবে তুমি আমাদের কী করতে বলো? সে তাদের মুর্তির উপাসনা করতে আদেশ করবে। তারা সুন্দর জীবনোপকরণ নিয়ে জীবন যাপন করবে। অতঃপর একদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে। (তখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে) এরপর একদিন প্রচন্ড বৃষ্টি বর্ষিত হবে। এ বৃষ্টির কারণে মানুষের দেহগুলো উদ্ভিদের মত উত্থিত হবে। এরপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে তখন মানুষেরা দাড়িয়ে যাবে ও এদিক সেদিক তাকাতে থাকবে। তারপর বলা হবে হে মানব সকল! তোমাদের প্রতিপালকের দিকে আসো। তোমরা দাড়িয়ে যাও, তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, জাহান্নামীদের বের করে আনো। জিজ্ঞাসা করা হবে কত জন থেকে কত জন বের করে আনবো? উত্তর দেয়া হবে, প্রত্যেক হাজার থেকে নয় শত নিরানব্বই জনকে বের করে নাও। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সেটিই এমন দিন যা শিশুদের বৃদ্ধ করে দেবে। আর এ দিনটিতে আল্লাহ তাআলা নিজ পায়ের গোছা উম্মুক্ত করবেন।" - ( মুসলিম হাদীস নং ২২৫৮)

একটি চিরবিজয়ী ইসলামী গণতান্ত্রিক সংগঠনের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ বার্তাঃ একটি চিরবিজয়ী ইসলামী গণতান্ত্রিক সংগঠনের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর সাথে অন্যান্ন রাজনৈতিক দলের সাথে পার্থক্য কিংবা মতভেদের শুরু যেখান থেকে ,ঠিক সেখানে এসেই ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলগুলোকে এসে তাদের রাজনৈতিক সুচনা করতে হয়েছে,যারা রাজনীতি হারাম বলেছেন,তারাই এখন রাজনীতি করছেন,যারা গণতন্ত্র হারাম বলেছেন,তারাই এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক জোটের সাথে মিশে আসন দাবি করছে,পরিশেষে তারা সকলেই জামায়াতের সাথে যে সকল বিষয়ে বিরোধ,এক সময়ে এসে তা করলেও জামায়াতের বিরোধীতা করতে ঠিকই ভুলেন নি,এরই নাম জামায়াত বিরোধী ইসলামী আন্দোলন। মুখে গনতন্ত্র বিরোধী ইসলামী ফতুয়া দিয়ে পায়জামা পাঞ্জাবী পরা বহু অকর্মা আলেম আছেন,তারা যদি মন প্রাণ থেকে গণতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন করতেন,এই যুগে এসে পিঠের চামড়া থাকতো কি না সন্দেহ,আসলে ঠিক তা নয়,তাদের গণতন্ত্র হারাম ফতোয়াটি কেবল মাত্র জামায়াত বিরোধী ফতোয়া। খেলাফতের এর সাধারণ অর্থ যদি বলতে হয়,বলতে হবে ক্ষমতা.যদিও বিভিন্ন ভাষায় অনেক বড় বড় নামধারী জুব্বা পরিহিত আলেমগন বিভিন্ন অর্থ প্রয়োগ করে এর ভুল ব্যাখ্যা করেন,খেলাফত এমন একটি পন্থা যা ইসলামী নেতৃত্বের হাতে গেলে কোরআনিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রী ব্যবস্থা সম্ভব,আর বাতিলে হাতে গেলে শয়তানের রাজত্ব ক্বায়েম হয়ে যায়। যুগে যুগে ইসলামকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে শয়তানের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার ফলে তারা খেলাফতের নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে ব্যবহার করে,ইতিহাস প্রমাণ দেয় খোলাফায়ে রাশেদীনের খেলাফতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর এই ক্ষমতায়নের নাম হয় বিভিন্ন গোত্রীয় শাসনের নামে,তার পরবর্তীতে রাজতন্ত্র, সৈরতন্ত্র, গনতন্ত্র ইত্যাদী নামে পরিবর্তন হয়,আর কিছু দুনিয়া লোভী অকর্মা আলেম সমাজ গণতন্ত্র হারাম,এই হারাম সেই হারাম বলে সেই হারাম তন্ত্রের দাসতন্ত্রে রুপান্তরিত হয়েছে। যারা বলে গণতন্ত্র হারাম,তারাই গণতন্ত্রের দাস,আফসোস,এরা গণতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনও করে না,কেবল হারাম ফতোয়া দিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ায়, এর চেয়ে বড় জাহেলী আর কি হতে পারে? গণতন্ত্র হারাম ফতোয়া দিয়ে মোটা চাল গিলবে,অথচ তাদের কাছে গণতন্ত্র বিরোধী কি কোন কর্মসূচী কি আছে, ইসলামী শিক্ষার নামে সাধারণ মানুষদের সম্পদ লুট করা গনতন্ত্রের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রন জানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করবে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের নামে,আর মেহনতী মানুষের কষ্টার্জিত চুরি করা টাকা তারা জায়েজ বলে গ্রহণ করে হারাম হালালের ফতোয়া দিবে,কোন প্রকারের ইসলামী আন্দোলন কিংবা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামী আইন প্রনয়নের প্রয়োজন নেই, এই ধরণের ধৃষ্টতা কি ইসলাম কাউকে দিয়েছে?আর এমন হারাম ফতোয়া দিলেই কেবল জনসাধারনের কাছে ইসলামকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে,আর এতে বাতিলের রাজত্ব ক্বায়েম অব্যাহত থাকবে,যা ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সামনে রেখে রাসূল (সঃ) দাওয়াতী কাজের পাশাপাশি প্রশিক্ষন গ্রহণসহ বিভিন্ন শত্রু পক্ষের মোকাবেলায় জিহাদে নেতৃত্ব দান এবং পরিশেষে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমেই ইসলাম বিজয়ী হয়, বাতিলের পতন ঘটিয়ে গড়েছেন ইসলামী খেলাফত কাল,অথচ তার আগ পর্যন্ত রাসূল (সঃ) কখনোই কাফেরদের গড়া শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নি,কেবল মাত্র এক আল্লাহর একত্ববাদের আন্দোলনের দিকে আহবান দিয়েই এই বিজয় অর্জিত হয়। রাসূল (সঃ) রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দিয়ে ছিলেন,এমন অভিযোগও কেউ করতে পারে নি,শুধুমাত্র আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার ফলেই নবুয়ত প্রাপ্তির আগে আল আমিন উপাধিতে ভুষিত করা ব্যক্তিগুলোই রাসূল (সঃ)কে হত্যার মতো জগণ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা,আর তাই রাসূল (সঃ) থাকতে পারেন নি নিজ জন্ম ভূমিতে,ইসলাম প্রচার প্রসারের জন্য সুদূর মদীনায় হিজরত করে জন্ম ভূমির মায়া ত্যাগ করতে হয়।আর সেই বিজয় অর্জিত হয় ইসলাম বিজয়ের মধ্য দিয়ে। সুতরাং যারা জামায়াতে ইসলামকে গণতন্ত্র হারাম বলে বাতিল আখড়া দেয়,কোন একদিন জামায়াতে ইসলাম প্রত্যক্ষ ভোটে ক্ষমতায় আসলেও সকল বাতিল চক্র যখন জামায়াতের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগবে,তখনও এই আলেমরা খেলাফতের পথে আন্দোলন করতে পারবে না,তার অন্যতম কারণ হলো ময়দানের জ্ঞান না থাকা,রাসূল (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করে ইসলামী আন্দোলনের প্রশিক্ষন না নেয়া,তাই আখের কোন দিন সমগ্র বিশ্ব জুড়ে জিহাদের ডাক আসলেও এরা জামায়াতে ইসলামী হারাম ফতোয়া দিয়ে আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের দলে যোগ দিয়ে জিহাদের ময়দান থেকে পিছু হাঁটবে। পবিত্র কোরআনের যত আইন কানুন আছে,যা কখনোই কোরআনী সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা গ্রহণ বিনে কখনোই সম্ভব নয়,সুতরাং যে সমস্ত আলেমরা কোরআনের বিপ্লবে বাঁধা দেয়,তারা আলেম তো দূরের কথা মুসলমান হওয়া ও সম্ভব না, ইসলাম কোন মাদ্রাসা থেকে নির্গত হওয়া বিধান নয়, রাসূল (সঃ) এর কাছে ওহী প্রেরিত আল্লাহক একমাত্র মনোনীত ধর্মের নাম ইসলাম,ঠিক তেমনি জামায়াতে ইসলামীও কোন মাদ্রাসার লেবাস বেষ্টিত বাতিলের তাবেদারী কোন সংগঠন নয়, রাসূল (সঃ) প্রদর্শিত দেখানো পথের ইসলামী আন্দোলনের কান্ডারী একটি বাতিলের আঘাতে রক্ত ঝরা একটি সংগঠন,যে স্তম্ভের সাহায্যকারী দুনয়িার কেউ নয়,স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আল্লাহ রাব্বুল আলামীন থেকে সাহায্যকামী সংগঠন, অন্যথায় কোন ব্যক্তি কিংবা কোন মাদ্রসা নামক প্রতিষ্ঠান ব্যতিত এই সংগঠন টিকে আছে কিসের উপর,যাদের একমাত্র খুটি রাসূল (সঃ) এর দেখানো ইসলামী আন্দোলনের পথ,অন্যথায় কোন দিনও সম্ভব হতো না। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামী আন্দোলনের সমষ্ঠিগত পথে সবাইকে সামিল করুক,আমীন।।
 -আবুল বয়ান হেলালী। রাইটার ও অনলাইন একটিভেট।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কম্বল বিতরণ

বাংলাদেশ বার্তাঃ  আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক আহসানউল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম বালুখালী, উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে এবং রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছে।
উক্ত কম্পল বিতরণ টীমে আরো ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর অধ্যাপক মুহাম্মদ জুনায়েদ কবীর, অধ্যাপক মুহাম্মদ মুস্তফা মুনীর চৌধুরী, স্টাফ ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্টুডেন্ট ওয়েল-ফেয়ার ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মাহফুজুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ যাকারিয়া প্রমুখ।

শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮

ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়ার কথায় বিশ্বাস করবেন না: নওমুসলিম ব্রিটিশ নারী

অ্যলনা ব্লকলি
বাংলাদেশ বার্তাঃ আমি অ্যলনা ব্লকলি। আমার বয়স ২৩ বছর এবং আমার জন্ম যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে।
ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আমার জীবনধারাও ছিল অন্যান্য পশ্চিমাদের মতোই। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আমি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি এবং আমার একটি পার্টটাইম চাকরি ছিল।
যেভাবে আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি
স্পেনে ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে আমি ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমি সেখানে অনেক মুসলিমদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সেখানে মুসলিমদের মসজিদে যাওয়া এবং তার প্রার্থনার বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করতাম। আমি এই দৃশ্য আমার নিজে দেশে আগেও দেখেছি কারণ আমাদের দেশেও অনেক মুসলিম রয়েছে। তবে, এতটা ঘনিষ্ঠভাবে আগে কখনো দেখেনি।
স্পেন থেকে ফিরে আসার পর আমি একটি বছর প্রচুর বই পড়েছি এবং ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও দেখিছি এবং অনলাইনে গবেষণা করেছি। এসব কিছুর মাধ্যমে আমি আমার ধর্মকে বদলাতে চাই নি, তবে ধর্ম আসলে কি তা জানতে চেয়েছি; কারণ ধর্ম নিয়ে আমার একমাত্র উপলব্ধি ছিল আমার দেশে মানুষের মাধ্যমে।
সুতরাং, আমি এক বছর ধরে ইসলাম নিয়ে গবেষণা করি এবং অবশেষে একটি মসজিদে গিয়ে আমি শাহাদাহ ঘোষণা করি।
আমি এটা করতে অত্যন্ত স্নায়ুচাপে ভোগছিলাম কারণ আমি বিষয়টি কাউকে বলিনি এবং কেবল আমার মুসলিম বন্ধুরাই এটি জানতেন।
এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার এক বছর পরে, রমজান মাসের এক সপ্তাহ আগে আমি প্রথমবারের মতো রোজা পালনের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমি জানতাম প্রথমবারের মতো রোজা পালন করতে গিয়ে আমার স্বাস্থ্যেরহানি ঘটতে পারে এবং তখন আমার বাবা-মা আশ্চর্য হতে পারে- কেন আমি হঠাৎ করে চিকন হয়ে যাচ্ছি।
তাই আমি বিষয়টি তাদেরকে বলার প্রয়োজন অনুভব করি। তাই আমি আমার বাবা-মাকে বলেছিলাম যে আমি মুসলিম হতে চাই এবং আমি মাথায় হিজাব পরতে এবং প্রার্থনা করতে চাই।
এ কথা শুনে আমার বাবা-মা খুবই খুশি হয়েছিলেন। আমি যে মসজিদে যেতাম তা তারা আগে থেকেই জানত এবং তারা আসলে মনে করেছিল যে আমি ইতোমধ্যেই একজন মুসলিম। তারা আমাকে বাধা দেয়নি এবং আমাকে বলেছিল, আমি যা পছন্দ করি, তা করতে আমি স্বাধীন।
ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নারী ও পুরুষের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে আমার যে ধারনা ছিল তার অনেক পরিবর্তন ঘটে। ইসলাম গ্রহণের আগে, মিডিয়া যা বলত আমি কেবল সেটাই দেখতাম।
মিডিয়ায় সবসময়ই দেখানো হতো যে ইসলামে পুরুষেরা নারীদেরকে নির্যাতন করেন এবং নারীদেরকে পর্দা করতে বাধ্য করা হয় এবং পুরুষরা নারীদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেন। এটা আমাকে বিচলিত করে কারণ প্রকৃত স্বাভাবিক অবস্থা কি তা আমি এখন জানি।
সকলের প্রতি আমার আহ্বান, গণমাধ্যমের লোকেরা যা বলে তা অনুসরণ না করে কোরআন ও সুন্নাহকে অনুসরণ করুন। আপনারা মিডিয়ার কথায় বোকা বনে যাবেন না।
সুতরাং যখন আমি ধর্মান্তরিত হই, তখন হিজাব নিয়ে গবেষণা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম এবং গবেষণার পরে বুঝতে পারি- কেন নারীরা হিজাব পরিধান করেন? এবং এটাও বুঝতে পারি যে আলিঙ্গন সাড়া দেয়ার কর্তব্য নারী ও পুরুষ উভয়েরই রয়েছে।
সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম

শহীদ আলী অাহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ সাহবের সুযোগ্য সন্তন প্রিয় ভাই Ali Ahmad Mabrur এর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ : "ডেসটিনি ডিজরাপটেড" বইটির প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু.


বাংলাদেশ বার্তাঃ আলহামদুলিল্লাহ। অামার প্রথম অনুবাদ বই, বিশ্বখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ, তামিম অানসারী রচিত ‘ডেসটিনি ডিজরাপটেড’ বইটির প্রকাশ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমি মাসখানেক আগে বইটির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে প্রকাশনা সংস্থা গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স Guardian Publications এর কাছে হস্তান্তর করেছি। তারপর থেকে গার্ডিয়ানের প্রতিটি সদস্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের প্রতি নিরন্তর কৃতজ্ঞতা।

আমি জানতে পেরেছি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী বইটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমি যতদিন বইটি অনুবাদ করার কাজে ব্যস্ত ছিলাম ততদিন আগ্রহ ছিল কবে বইটি শেষ করতে পারবো। আর এখন আরো অনেকের মত আমিও অপেক্ষা করছি বইটি কবে হাতে নিতে পারবো। 

আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানাতে চাই, গতকাল থেকে ডেসটিনি ডিজরাপটেড বইটির প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে। আমি অনুবাদ করেছি বলে বলছিনা, সত্যিকারভাবেই বইটি পড়ার মত একটি বই। বইটির পাতায় পাতায় তথ্য, পাতায় পাতায় ইতিহাস- যা আমাদেরকে সমৃদ্ধ করবে, জ্ঞানকে পরিনত করবে।

ডেসটিনি ডিজরাপটেড বইটির গার্ডিয়ানে প্রি-অর্ডার করার জন্য যেতে পারেন (https://goo.gl/M8Kmm3)

বইটি রকমারী ডটকমেও পাওয়া যাচ্ছে। রকমারীতে বইটি প্রি-অর্ডার করার জন্য লগইন করুন https://goo.gl/vQ8XeF

ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
✍️ তামিম আনসারি (অনুবাদ: Ali Ahmad Mabrur )
📜 ৪০০ পৃষ্ঠা
📱মুদ্রণ মূল্য: ৪৫০ টাকা
প্রি-অর্ডার মূল্য: ২৭০
🕐সম্ভাব্য প্রকাশের দিনঃ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

আগামী ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রি-অর্ডার গ্রহণ করা হবে। প্রকাশিতব্য চারটি বইয়ের সবগুলো অর্ডার করলে শিপিং চার্জ ফ্রি।

যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:
01710-197558, 01998-584958, 02-57165517
ইমেইল: guardianpubs@gmail.com

আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছিঃ আলী আহমাদ মাবরুর

রাশিয়ায় মসজিদ বাড়ছে

ছবিঃউফা নগরীতে অবস্থিত আর-রহীম মসজিদ
বাংলাদেশ বার্তা ২৫ জানুয়ারি ২০১৮: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার গ্রান্ড মুফতি তালাত তাজউদ্দিনের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাশকোরতোস্তান (Bashkortostan) প্রজাতন্ত্রের রাজধানী উফা নগরীতে বুধবার রাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ার গ্রান্ড মুফতি তালাত তাজউদ্দিনের বাসভবনে বুধবার রাতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ২০০০ সালে এই প্রজাতন্ত্রে মাত্র ১৬টি মসজিদ থাকলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা ১,২০০-তে উন্নীত হয়েছে বলে তাকে কর্মকর্তারা তথ্য দিয়েছেন। এ প্রক্রিয়াকে সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোঝা যায় এদেশে ইসলামে প্রসার ঘটছে।
রাশিয়ার গ্রান্ড মুফতি তালাত তাজউদ্দিনের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাশিয়ায় ইসলাম প্রবেশ ও এই ঐশী ধর্ম বিস্তারের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন উফা জামে মসজিদ পরিদর্শন করেন।
রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে বাশকোরতোস্তান অন্যতম। এক লাখ ৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই প্রজাতন্ত্রের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এ ছাড়া, রাশিয়ার মোট ১৪ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি। সূত্র: পার্সটুডে।

What Happens When You Ignore A Crying Baby?


https://www.facebook.com/ScienceNaturePage/videos/1252517954880460/
Click here to see the Vedio

মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮

حبيب الإله | Toyor Al Janah

ناديت وقلبي منكسر | Toyor Al Janah

Puja Syarma Full Album + Lirik - Pilihan Terbaik di tahun 2017/2018

এতোটা অকৃতজ্ঞ যে বলতেও লজ্জা লাগে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর গতকাল ছিল মৃত্যুবার্ষিকী।

বাংলাদেশ বার্তাঃ যার দান করা ৬০০ একর জমির উপর আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েটের মতো দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়িয়ে আছে। অথচ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে এইসব প্রতিষ্ঠানে কোন দোয়ার আয়োজন করা হয়নি। করা হয়নি কোনো স্মৃতিচারণামূলক অনুষ্ঠান। অন্যদিকে তৎকালীন সময়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঙালি বিদ্বেষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধীতার কথা কমবেশি সবারই জানা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শুধু কঠোরভাবে বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হননি বরং তিনি ব্রিটিশদের সাথে রীতিমতো দেন-দরবার করেছিলেন যাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় না করা হয়। সেসময় রবীন্দ্রনাথ এক অনুষ্ঠানে দাম্ভিকতার সাথে বলেছিলেন "মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়, তারাতো ঠিকমতো কথাই বলতে জানেনা!" অন্যত্র এক অনুষ্ঠানে এদেশের মানুষকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করে রবী ঠাকুর বলেছিলেন "সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালী করে মানুষ করোনি"। অথচ সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন, মৃত্যুদিন, সাহিত্য উৎসবসহ আরো অনেক অায়োজন ধুমধামের সাথে পালন করা হয়।
আর যে বঙ্গসন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার সেই নবাব স্যার সলিমুল্লাহকে আজকের শিক্ষার্থীদের অনেকেই চেনাতো দূরের কথা নামটাও জানেনা। আমরা এতোটা অকৃতজ্ঞ যে বলতেও লজ্জা লাগে!
এক নজরে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনীঃ
'নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'- একটা জীবন, একটা ইতিহাস।
নবাব সুলিমুল্লাহ যার জন্ম ১৮৭১ সালের ৭ ই জুন। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রিয়। ফলে অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করতেন। সাধারণ মানুষের দুঃখকে তিনি নিজের দুঃখ মনে করতেন। তিনি আকাতরে দান-খয়রাত করতেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি সর্বপ্রথম পানীয় জল, ইলেকট্রিসিটি এবং টেলিফোন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে আধুনিক ঢাকার জন্ম দেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি জীবনের প্রথম দিকে জনগণের কথা চিন্তা করে নবাবীর লোভ না করে মোমেনশাহীর ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি ১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে তার নিকট পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি ১৯১১ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার কার্জন হলে ল্যান্সলট হেয়ারের বিদায় এবং চার্লস বেইলির যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নওয়াব আলী চৌধুরীকে নিয়ে পৃথক দুটি মানপত্র নিয়ে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ঢাকার রমনা এলাকায় নিজ জমি দান করেন, বাবার নামে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (বর্তমানে বুয়েট) প্রতিষ্ঠা করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি ১৯০৬ সালে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী ও তাদের দোশরদের ক্রমাগত আক্রমন থেকে নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ধর্ম রক্ষায় প্রায় ছয় মাসের প্রচেষ্টায় পাক-ভারত উপমহাদেশে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ গঠন করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক শিক্ষা বিভাগে মুসলমানদের জন্য সহকারী পরিদর্শক ও বিশেষ সাব ইন্সপেক্টরের পদ সৃষ্টি করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ যিনি বর্ণবাদী-ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রান্তে বিট্রিশ সাম্রাজ্যবাদে শত বছরের অধিক চাষাভূষা, কোচোয়ান-দাঁরোয়ান ও গোলাম বানিয়ে রাখা মুসলিমদের কথা ভেবে প্রথম জেগে উঠেন তারপর মুসলিমদের সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ, যিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গদেশকে দুই ভাগে ভাগ করে, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও আসাম নিয়ে ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ববঙ্গ গঠন করেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ, যিনি সুদূর তুরস্কের ভূমিকম্পে মানুষের কষ্টের কথা শুনে সাহায্যের জন্য টাকা-পয়সা পাঠিয়েছিলেন।
--- নবাব সলিমূল্লাহ, যিনি মানুষকে তার সকল সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে ঋণী হয়েছিলেন। সোনালী ব্যাংক সদরঘাট শাখায় এখনও তার বন্ধক রাখা সিন্ধুক “দরিয়ায়ে নূর” রক্ষিত আছে।
আচ্ছা আমরা ক'জন জানি এই মহান ব্যক্তির কথা? তার অসামান্য কীর্তির কথা? এই ঢাবি না থাকলে আজকে কারা ভাষা এনে দিতো আমাদের? এই ঢাবি না থাকলে কারা স্বাধীনতাকে এনে দিতো? এই বুয়েট না থাকলে কারা বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ করে দিত?
আজ যত-শত আবর্জনারই আমাদের জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে এই মহান ব্যক্তিদের একটু যায়গা কোথায়!
রহস্যজনক মৃত্যুঃ 
ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর পূর্ব পুরুষ ইংরেজদের দালালি করলেও নবাব সলিমুল্লাহ তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে তৎকালীন হিন্দু সমাজ এবং লাটের সাথে তার বাদানুবাদ হয়। কথিত আছে যে, বড়লাট রাজি ছিলেন না ঢাকায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে। এই নিয়ে নবাবের সাথে বড় লাটের তীব্র বিতর্ক হয়। নবাব সবসময় একটা ছড়ি নিয়ে ঘুরতেন। যখন বড়লাট রাজী হচ্ছেননা ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে তখন নবাব রেগে গিয়ে ছড়ি দিয়ে বড়লাটের টেবিলে বাড়ি মারেন। বড়লাটের দিকে এগিয়ে আসেন। তখন বড়লাটের হুকুমে বড়লাটের দেহরক্ষী নবাবকে গুলি করেন। পরে প্রচার করা হয় যে তিনি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। আজ নবাব সলিমুল্লাহ মৃত্যু বার্ষিকী। অথচ যার দান করা ৬০০ একর জমির উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে স্বরণ করা হয়না। মানুষের এমন অকৃতজ্ঞতা দেখে নবাব হয়তো কবর থেকেই বিস্মিত হচ্ছেন।

জ্বি ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।
সংগৃহীত

সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৮

“এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে শীতার্ত মানুষ শীতবস্ত্রের জন্য লাইনে দাড়াতে হবে না” শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার।

বাংলাদেশ বার্তা  ছাতক উপজেলা জামায়াতের অামীর বিগত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাতক এর গনমানুষের প্রিয় নেতা জননেতা জনাব এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার বলেছেন :: অামরা এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে শীতার্ত মানুষ শীতবস্ত্রের জন্য লাইনে দাড়াতে হবে না জনপ্রতিনিধি রা নিজেই শীতার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি শীতবস্ত্র পৌছে দিবে ।

অামাদের সবার নৈতিক দায়ীত্ব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, যেখানে সরকারে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়ে সেখানে সরকার দ্বারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত মাজলুম সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সাধ্যমত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।তিনি অারও বলেন জামায়াতে ইসলাম বিগত দিনে ও গরিব দু:খি মানুষের পাশে ছিল বর্তমানে ও অাছে ভবিষ্যৎ ও থাকবে ইনশাঅাল্লাহ।অামরা সবাই কে নিয়ে সুন্দর ও সুখি একটা সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই তাই অাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ইসলাম মনোনীত ও ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা অাব্দুস সালাম অাল মাদানী কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অাশাবাদ ব্যক্ত করেন। 
তিনি অাজ ছাতক উপজেলাদ্বিন চরমহল্লা ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরনের সময় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সময় অনান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন ছাতক উপজেলা জামায়াতের নায়েবে অামীর মাও : অাকবর অালী, সেক্রেটারি মাও: কাজী মুনসুর অাহমেদ, সহ- সেক্রেটারি হুসাইনোজ্জামান লিটন,জামায়াত নেতা জসীম উদ্দিন, চরমহল্লা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি অাবু মুসা মো: রাসেল, মাও অানসার উদ্দিন, মাও নুরুল হুদা, সুমন অাহমদ দুলাল, জুয়েল অাহমদ, শিবির নেতা সালমান, মামুন, জুবায়ের প্রমুখ।

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা হাফেজ আবদুল হাই(খুটাখালী পীর সাহেব)এর মৃত্যুতে শাহাজাহান চৌধুরীর শোক

বাংলাদেশ বার্তাঃ ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী, দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও প্রখ্যাত আলেম মাওলানা হাফেজ আবদুল হাই (মঃজিঃ) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সাবেক সাংসদ জননেতা আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরী।
আজ এক শোক বাণীতে শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, মাওলানা আবদুল হাই ছিলেন একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রখ্যাত আলেম এবং একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামী রাজনীতির পুরোধা। তিনি সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের পথে মানুষকে আহ্বান করতেন। একজন পীর হিসেবে তিনি ইসলামের সঠিক বাণী প্রকাশের দায়িত্ব দৃঢ়ভাবে পালনে বিশ্বাস করতেন।এই বাংলার জামিনে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন।সরকারের রক্তচক্ষু তাঁকে তাঁর নীতি ও কর্তব্যকর্ম থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি।
দেশের বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিলেন। এই মুহূর্তে দেশের চরম সংকটকালে পৃথিবী থেকে তাঁর চিরবিদায়ে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো।
শাহাজাহান চৌধুরী মরহুম মাওলানা আবদুল হাই এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সিলেট প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে সিটি অামীর, মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এর শুভেচ্ছা বিনিময়


বাংলাদেশ বার্তাঃ  আজ রোববার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাব ভবনে নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময় সাথে ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফেজ আব্দুল হাই হারুন ও ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ ও সহ সেক্রেটারী ড. নুরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। 
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ইকরামুল কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক জুবের, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাদের তাপাদার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক নূর আহমদ, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ আহমদ, সাবেক পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মুকিত অপি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ফয়ছল আলম।


শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

শ্রমিক কল্যাণের দায়িত্বশীল আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর শোক

বাংলাদেশ বার্তাঃ ইস্টার্ণ র‌িফাইনারীত‌ে কর্মরত এস‌িসট‌েন্ট ম্যান‌েজার আব্দুর রহমান ( বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল) গ্রাম‌ের বাড়ী যাওয়ার পথ‌ে সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রী মন্জু আরা বেগম সহ নিহত হয়েছেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। 
মরহুমের গ্রামের বাড়ী ফরিদপুরের পাংশা থানার রাজবাড়ীর নিজ এলাকায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্হানে তাকে দাফন করা হবে।
মরহুম,মরহুমা ১ ছেলে ২ মেয়ে সহ বহুআত্বীয় স্বজন রেখে গেছেন।

তাদের ইন্তেকালে গভীরশোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান, সেক্রেটারী এস এম লুৎফর রহমান।
এক শোকবাণীতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের ১ ছেলে ২ মেয়ে সহ আত্বীয় স্বজন সহ ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা যাতে এই কঠিন মুহুর্তে ধর্য্য ধারণ করে শোক সইতে পারে এই জন্য মহান রবের দরবারে ফরিয়াদ করেন।

সরকার ডিএনসিসি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নিজেরাই আইনের ফাঁক-ফোঁকর রেখে নির্বাচনী উদ্যোগ ও লোক দেখানো তফসিল ঘোষণা করেছিল -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন



বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদের সভা আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম, সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও মাহফুজুর রহমান প্রমূখ। সভায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও উদাসীনতাকে দায়ি করা হয়। সভায় অভিমত ব্যক্ত করো হয় যে, সরকার ডিএনসিসি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই নিজেরাই আইনের ফাঁক-ফোঁকর রেখে নির্বাচনী উদ্যোগ ও লোক দেখানো তফসিল ঘোষণা করেছিল। ফলে মহামান্য আদালত আইনী ত্রুটির কারণেই নির্বাচন স্থগিত গোষণা করেছেন। সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যুগপৎভাবেই ডিএনসিসির নির্বাচনের সকল আইনী প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নগর প্রশাসন গড়তে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, সরকার ডিএনসিসি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই আইনী ত্রুটির রেখেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে জনগণের ভোটে তাদের পক্ষে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই নেই। তাই ক্ষমতাসীনরা পেশী শক্তির মাধ্যমে নির্বাচনের জেতার অপসংস্কৃতি চালু করেছে। তিনি ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সরকারের হীনমন্যতার সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে আইনী জটিলতা নিরসন করে ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিল না এবং এখনও নেই। গণবিরোধী রাজনীতির কারণেই দলটির গণভিত্তি গড়ে ওঠেনি। গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিরোধী অবস্থান ও গণবিরোধীতার কারণেই তাদেরকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে। তারা ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একইভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি আর অন্যদেরও হবে না। তিনি সরকারকে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ও গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, উর্দ্ধতন সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ও আদিষ্ট হয়েই তিনি ডিএনসিসি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। ডিএনসিসিকে আধুনিক নগরীতে পরিণত করার জন্য তিনি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও সামাজিক-সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডিএনসিসিকে নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন। সকল স্তরের নগরবাসী, শিক্ষক, ছাত্র, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, মালিক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠন, আলেম-উলামা, শিক্ষাবিদ, শিল্পি ও সংস্কৃতিকর্মী সহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার পরিকল্পনাগুলোকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। প্রবাসেও তার পরিকল্পনা ও প্রার্থীতাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মূলত তিনি ডিএনসিসির মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে ভালবাসা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। তাই তার প্রার্থীতার যারা তাকে সমর্থন, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ দিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি সকলের কাছেই কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ বলে জানান। তিনি আগামী দিনেও সকল ভাল ও গঠনমূলক কাজে একইভাবে সকলের কাছে সমর্থনও কামনা করেন।
মহানগরী আমীর আরও দাবি করেন, মূলত ডিএনসিসিকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নগরীতে পরিণত করতে এবং জনকল্যাণের সুদুরপ্রসারী লক্ষ্যকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী তাকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। আসলে ঢাকা অনেক প্রাচীন নগরী হলেও নাগরিক সেবার মান এখনও কাঙ্খিত মানে পৌঁছায় নি। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ডিএনসিসিতে বর্ষা মওসুমে জলাবদ্ধতা সমস্যাগুলোর অন্যতম। মাঝারী মানের বৃষ্টিপাতেই ডিএনসিসির বিভন্ন এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে মিরপুর অঞ্চলের জলাবদ্ধতা বিষয়টি খুবই প্রকট। নাগরিক পরিসেবার আওতায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন সেক্টর বেশ সমস্যা গ্রস্থ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এসব নাগরিক পরিসেবার মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। বর্তমানে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা ও বিশুদ্ধ পানির অপ্রতুলতা এসব নাগরিক পরিসেবার নিম্নমানের সাক্ষ্য দেয়। মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও রাজউকের নকসা বহির্ভূত ইমারত নির্মাণ ও অপ্রতুল ডেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণেই নগরীর জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অপরিকল্পিত ও নকসা বহির্ভূত ইমারত নির্মাণ বন্ধ, নগরায়ণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি ও তার সংগঠন নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে সব সময় জনগণের পাশে থাকবেন বলেও অঙ্গীকার করেন।

৭নং সেক্টর কমান্ডার লোহাগাড়ার সূর্যসন্তান মেজর নাজমুল হক।

বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৭নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বীর প্রসবীনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সূর্যসন্তান মেজর নাজমুল হক। এই গৌরবময় তথ্য যদি আমাদের নুতন প্রজন্ম না জানে, তাহলে এর দায় বর্তায় আমরা যারা জানি, তাদের উপর। এই বোধ থেকে লেখা।
.
মেজর নাজমুল হক (১ আগস্ট, ১৯৩৮ - ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৭নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ডাকনাম টুলু। ৭নং সেক্টরের মধ্যে ছিল সমগ্র রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অংশ বিশেষ (দিনাজপুরের রাণী শঙ্কাইল, পীরগঞ্জ লাইনের দক্ষিণাংশ ও রংপুরের পলাশবাড়ি-পীরগঞ্জ লাইনের দক্ষিণাংশ)। নাজমুল হকের মৃত্যুর পর সুবেদার মেজর এ. রব ও তারপর মেজর কাজী নূর-উজ্জামান এই সেক্টরের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সেক্টরের হেড কোয়ার্টার ছিল তরঙ্গপুর। প্রায় ১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেন। নিয়মিত বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই হাজার এবং সাড়ে বারো হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল গণবাহিনীর সদস্য। এই সেক্টরের আটটি সাব সেক্টর ছিল।

.
মুক্তিযুদ্ধের সময় নাজমুল হক পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি রাজশাহী জেলা, পাবনা জেলা, বগুড়া জেলা এবং দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গড়ে ওঠা ৭ নং সেক্টরের কমান্ডার পদে ১৯৭১ এর এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। তরংগপুর ছিল তাঁর হেডকোয়ার্টার। তাঁর সেক্টরে তিনি গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতেন এবং মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতেন যারা প্রথাগত সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলো না। প্রায় পনের হাজার মুক্তিযোদ্ধা এ সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর তাঁর অধীনেই যুদ্ধ করেন।

.
১৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে মেজর নাজমুল হককে নওগাঁয় ৭ ইপিআর উইংয়ের অধিনায়ক করে পাঠানো হয়। ২৫ মার্চ, ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর অপারেশন সার্চলাইট শুরু হলে পরদিন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে নওগাঁ মহকুমাকে শত্রুমুক্ত স্বাধীন বাংলার অংশ ঘোষণা করেন তিনি। স্থানীয় যুবকদের হাতে তিনি তুলে দেন অস্ত্র। স্বেচ্ছাসেবক যুবকদের নিয়ে গঠন করেন ইপিআর মুজাহিদ বাহিনী। সেই বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে প্রথমেই তিনি নওগাঁ ও বগুড়ার পাকিস্তানি হানাদারদের ক্যাম্প দখল করে শত্রুমুক্ত করেন গোটা বগুড়া জেলা। ২৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে তাঁর বাহিনীর দ্বিমুখী আক্রমণে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হানাদাররা। দিনাজপুরের ধনধনিয়াপাড়ায় ১৮ জুন, ১৯৭১ তারিখে বড় রকমের এক যুদ্ধের পর ওই এলাকা মেজর নাজমুলের বাহিনীর দখলে আসে। এতে ১৪ জন পাকিস্তানি সেনা মারা যায়।

.
তখন ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে মেজর নাজমুল হক ভারতে গেলেন। শিলিগুড়িতে সেই সম্মেলন হওয়ার কথা। যদিও সেই সম্মেলনে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যোগ দেয়ার কথা ছিল কিন্তু তিনি নিজের কর্মব্যস্ততার কারণে সেখানে যেতে পারেননি। সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য মেজর নাজমুল হককে পাঠানো হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি ৩৩ কোর সদর দপ্তরে কোর কমান্ডার লে. জেনারেল মোহন লাল থাপনের সভাপতিত্বে ছিল সেই সম্মেলন। ভারতীয় অফিসারদের সাথে ভিন্ন গাড়িতে মালদহ ফিরছিলেন মেজর নাজমুল হক। তাঁর সামনের গাড়িতে ছিলেন ১০১ কমিউনিকেশন জোনের জিওসি মেজর জেনারেল গুরবক্স সিং গিল। পথের মধ্যে হঠাত্‍ করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। পাহাড়ি আঁকা-বাকা পথে তখন যাত্রা দুষ্কর হয়ে পড়ে। ড্রাইভারকে পাশে বসিয়ে তিনি নিজেই ড্রাইভ করছিলেন গাড়িটি। মাঝ পথে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পাহাড়ি পথ ছেড়ে কয়েকশ' গজ নিচে খাদে পড়ে যায় এবং তাত্‍ক্ষণিক মৃত্যু হয় তাঁর। জেনারেল গিল তাঁর মরদেহ ও আহত ড্রাইভারকে উদ্ধার করেন।
মেজর নাজমুল হকের মতো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার অকৃত্রিম ত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতার স্বাদ তিনি উপভোগ করে যেতে পারেন নাই। বিজয়ের মাত্র ৭৯ দিন আগে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান।
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর যুদ্ধ করেছেন মেজর নাজমুল হকের ৭ নম্বর সেক্টরেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও তাঁর প্রিয় কমান্ডার মেজর নাজমুল হক।

.
মেজর নাজমুলের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১ আগস্ট লোহাগাড়ার আমিরাবাদ গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম এডভোকেট হাফেজ আহমেদ, এম.এ. বি.এল. তত্‍কালীন জেলা লয়ার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। মাতা জয়নাব বেগম ছিলেন গৃহিণী।

.
পিতার বদলীর চাকুরির কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁকে পড়াশুনা করতে হয়েছে। মেজর নাজমুল হক কৃতিত্বের সঙ্গে কুমিল্লার পেশোয়ারা পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ও ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই যোগ দেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে।

.
গ্রামের কিছু মানুষ মেজর নাজমুলের স্মৃতিরক্ষায় কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে এস এম মঞ্জুরুল হক, আহমেদ মনির (সাংবাদিক), গাজী খায়ের আহমেদ ও শামীম আহমদের প্রচেষ্টায় আমিরাবাদ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মেজর নাজমুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয়’।

.
মেজর নাজমুল হকের দুই মেয়ে ইশরাত জাহান সুরভী ও নওরীন সাবা শিউলী। সুরভী স্বামীর সঙ্গে আমেরিকায় থাকেন, শিউলী থাকেন ঢাকার উত্তরায়। নওরীন সাবা শিউলী বলেন, ‘বাবা যখন মারা যান, তখন আমার বয়স মাত্র ১১ মাস। শুনেছি বাবা আমাকে খুব আদর করতেন।’

.
তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘আমার বাবা একজন সেক্টর কমান্ডার, অথচ তাঁকে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়নি। তাঁর নামটাও এখন উচ্চারিত হয় না রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে—এটা খুব কষ্ট দেয় আমাদের।

.
মেজর নাজমুলের ভাই আজিজুল হক বলেন, ‘গত ৩৭ বছরে কোনো সরকারই মেজর নাজমুলের পরিবারের খোঁজ নেয়নি। ১৯৭২ সালে অনেক চেষ্টা করে ১৩০ টাকা পেনশন জোগাড় করেছিলাম। এরপর আর কেউ খবর রাখেনি।’ সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ উদ্ধার, এসব লেখেন ১৮ ডাক্তার

চট্টগ্রাম নগরে ভেজাল ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ প্যাকেজিংয়ের বিপুল পরিমাণ সামগ্রীসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে খুলশী থানার লালখান বাজার পশ্চিম হাইলেভেল রোড়ের একটি বাসায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতার মো. সাইদুল ইসলাম (৩৮) শরিয়তপুর জেলার নুরিয়া থানার নওগাঁও শেখ বাড়ীর বাসিন্দা আবুল হোসেন শেখের ছেলে।
সূত্রমতে, আটক সাইদুল জানিয়েছেন বন্দরনগরীর বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য চিকিৎসক মাসে মাত্র ১০-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব ভেজাল ওষুধ রোগীদের সেবনের জন্য ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশনা দেন। এসব চিকিৎসকের মধ্যে ১৮ জনের নাম সাইদুল প্রকাশ করেছেন।
১৮ চিকিৎসক হলেন- এম এ রউফ, আলী আজগর, চন্দন কুমার, আশীষ কুমার চৌধুরী, সাকলিন, ফরহাদ আলী রাজু, রিপন দে, আবরার হাসান, শিমুল কুমার, মহিউদ্দিন সিকদার, আরমান, জসিম, অসীম বড়ুয়া, তৌহিদুল আলম, আব্দুর রব, সাদিক হোসেন, অনিক চৌধুরী এবং রাজীব চৌধুরী।
কয়েকজন চিকিৎসকের নাম পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে রাজি হননি অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি-কাউন্টার টেরোরজিম) পলাশ কান্তি নাথ।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, অভিযানে ওই বাসায় নুটরিয়াজ নামের ওষুধের ১ হাজার ২৪০টি প্যাকেট পাওয়া যায়। এ ছাড়া একোজ সফ্টজেলস নামে ওষুধের ৬৭টি প্যাকেট, একিউরাল সফ্টজেলস নামের ওষুধের ২০টি প্যাকেট, কাফরাল ট্যাবলেট নামের ওষুধের ১ হাজার ৩০০ প্যাকেট, প্রোবায়োটিক-৪ ক্যাপসুলের ৬টি প্যাকেট, ফ্যাট লস গ্রীন টি এক্সট্র্যাক্ট সফ্টজেল ক্যাপসুলের ৫টি প্যাকেট, উইন কেল ওষুধের ১৪টি প্যাকেট, উইন গোল্ড ওষুধের ১৪টি প্যাকেট, উইন প্লাসের ৮টি প্যাকেট, কাটিয়াম ওষুধের ১৭টি কৌটা, অ্যামিনো আল্ট্রা ওষুধের ৩০টি কৌটা, ইউনি পলেন ওষুধের ৩৫টি কৌটাসহ বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটি) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম হাইলেভেল রোড়স্থ তাহের সাহেবের বিল্ডিয়ের নীচ তলায় সাইদুল ইসলামের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সাইদুল জানিয়েছে, বিভিন্ন নামীয় ভেজাল ওষুধ প্যাকেজিং করে তৈরী করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিল সে। এ ছাড়া বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারদের মাধ্যমে রোগীদের এসব ভেজাল ওষুধ প্রেসক্রাইব করে আসছিল সাইদুল। তার বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা হয়েছে। উৎসঃ সিটিজি টাইম ডট কম

মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮

ভালবাসার পঞ্চাশ বছর- মুসতাফা মুনীরুদ্দীন

মুসতাফা মুনীরুদ্দীন
প্রথম যেদিন দেখা, কাঁপা চোখ, দুরু দুরু মন,
তোমার কিমনে পড়ে, ভীরু ঠোটে মৃদু আলাপন।
লাজরাঙা ভাসা চোখে অজানিত ভয়ের কাঁপন,
বুকে যেন বহে ঝগ; নিজে নই নিজের আপন।

এ কোন অচিন মেলা! জানাশোনা, চিরচেনা সব;
আপন পরের খেলা, ভাঙনের বুনে উৎসব।

তবু যেন জাগে চর, নতুনের মায়া মনোহর,
স্বপ্নের চাঁদনি রাত, নয়া এক সুখের প্রহর।

কোথা হতে কোথা এলে, কে যে কার আপন স্বজন।
সব ছেড়ে এক হলে, দূরে ঠেলে হাজার যোজন।
ধীরে ধীরে ঘিরে প্রেম, সুখ দুখ, মান অভিমান
কত কিছু! তবু ফের ভাললাগা প্রেমের প্রমাণ।

আজ বুঝি খোঁজে মন, হিসেবের ছেঁড়া খেরোখাতা ?
চেয়ে দেখো, ভাঁজে ভাঁজে গোলাপের ঝরা কিছু পাতা
এখনো লুকিয়ে জাগে চাপা পড়া রঙিন আবায়,
প্রেমের খুশবু পাবে, পরাণের শোনো কথকতা-

তোমার সফেদ চুলে আজো দেখি হুরের ঝলক,
এ দেখাই যেন হয় জীবনের আখেরি পলক।
০১.০১.২০১৮

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

শীতার্ত দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব,, মাওলানা হাবিবুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য, সিলেট দক্ষিন জেলা আমীর, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত এবং ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন--সম্পদশালী ঈমানদার লোকগণ দরিদ্র ও বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসে কিনা সে জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা বিপদ-আপদ দিয়ে মানুষের ঈমান পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্যই শীতার্ত দরিদ্র মানুষের পাশে সকলের দাঁড়ানো প্রয়োজন।

অদ্য ১৪ই জানুয়ারি'১৮ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যেগে এবং মাওলানা কামাল উদ্দিন ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মজিদের অর্থায়নে সমাজসেবী আব্দুল অদুদের সভাপতিত্বে সাইফুল ইসলাম রাজু ও মুহাম্মদ আলী রুমনের পরিচালনায় ৫ শতাধিক দারিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্টানে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
বক্তব্য রাখেন শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপিনেতা মুহাম্মদ আব্দুল মুছাব্বির, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট দক্ষিণ জেলা সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান, শ্রমিক কল্যাণের জেলা সেক্রেটারি ও বাদেপাশা ইউনিয়ণের সাবেক চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রায়হান, শরিফগঞ্জ ইউনিয়ণ কল্যাণ ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি মুহিবুল হক নান্নু, শ্রমিক কল্যাণ গোলাপগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আব্দুল হান্নান সমাজসেবী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা কামাল আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাহির ও স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ, সাবেক ছাত্রনেতা সাদিকুর রহমান, এমদাদুল হক, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখগণ।

ইজতিমা সম্পর্কে অধ্যাপক মরহুম গোলাম আযম স্যারের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য!!


বাংলাদেশ বার্তাঃ প্রতি বছর তাবলীগের যে বিরাট বিশ্ব ইজতিমা টঙ্গীর বিস্তীর্ণ এক ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় তাতে বিভিন্ন সময়ে ১৫ থেকে ২৫ লাখ লোকের সমাগম হয়।এটা সত্যিই উৎসাহের ব্যাপার।আমিও এতে শরীক হই এবং মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের প্রতি মহব্বতের এ দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায়।দ্বীনে বাতিলকে উৎখাত করে দ্বীনে হক্ব কে কায়েম করার দাওয়াত ও কর্মসূচী নিয়ে যদি এর দশ ভাগের এক ভাগ লোকও একত্র হয় তাহলে এ দেশের সরকার ও কায়েমী স্বার্থ অস্থির হয়ে যেতো।ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রী মহল পত্র পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু করতো।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকায় একটি ইসলামী ছাত্রসংগঠনের মাত্র ১৫/২০ হাজার কর্মীর সম্মেলন ও মিছিল সমস্ত ইসলাম বিরোধী মহলে অদ্ভুত কম্পন সৃষ্টি করেছে।অথচ এ সংগঠনটি কোন রাজনৈতিক দল নয়।তারা ইকামাতে দ্বীনের কথা বলে এবং ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে ছাত্র সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে বলেই কায়েমী স্বার্থ এত বিচলিত।সকল বাতিল শক্তি ও ইসলাম বিরোধি মহল ভাল করেই জানে যে, তাবলিগ নিছক ও নির্ভেজাল একটি ধর্মীয় জামায়াত এবং রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না।সুতরাং তাদের সম্পর্কে চিন্তা ভাবনার কোন কারন নেই ও ঘাবড়াবার কোন হেতু নেই।ঠিক একই কারনে পীর সাহেবানদের ওরস ও মাহফিলে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের সমাবেশকে বাতিল শক্তি ভয় পায় না।এসব মাহফিলে ওয়াজ, তালকিন ও যিকর-এর মারফতে ইসলামের খেদমত নিশ্চই হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ইকামাতে দ্বীনের কোন কর্মসূচী না থাকায় ইসলাম বিরোধী মহল চিন্তিত নয়।

এ কথা পরিষ্কার করার জন্যই উদাহরন স্বরূপ মাদ্রাসা, তাবলীগ ও খানকার উল্লেখ করলাম।খেদমতে দ্বীনের সাথে বাতিল শক্তির সংঘর্ষ হয় না।একমাত্র ইকামাতে দ্বীনের দাওয়াত ও প্রোগ্রামের সঙ্গেই এ সংঘর্ষ বাঁধে।সব নবীর জীবনেই একথা সত্য বলে দেখিয়ে গিয়েছেন।কুরআন মাজিদে যত নবী ও রাসূলের কথা আলোচনা হয়েছে তাতে দেখা যায় যে, সমকালীন ক্ষমতাসীন শক্তি ও ধর্মীয় কায়েমী স্বার্থ কোন নবীকেই বরদাশত করতে পারেনি।শুধু হযরত আদম
(আ.) ও হযরত সুলাইমান (আ.) ছাড়া আর সব নবীর সাথেই বাতিল শক্তির সংঘর্ষ হয়েছে।ইকামাতে দ্বীনের কর্মসূচী নিয়ে কাজ করায় যদি নবীদেরকেই বাতিলের সাথে সংঘর্ষ করতে হয়ে থাকে তাহলে নবীর উম্মতের পক্ষে এ সংঘর্ষ এড়িয়ে এ ইসলামকে কায়েম করা কি করে সম্ভব হতে পারে?

যারা বাতিলের সাথে সংঘর্ষ এড়িয়ে চলাকে হিকমাত মনে করেন তাদের চিন্তা করা উচিত যে, আল্লাহ পাক নবী রাসূলকে ঐ হিকমাতটা কেন শেখালেন না? আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে যারা কাজ করতে চান তারা এ সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার কথা ভাবতেই পারেন না।তারা দ্বীনের কোন না কোন দিকের খেদমত অবশ্যই করতে পারেন এবং তাদের সেই খেদমত ইকামাতে দ্বীনের সহায়কও হতে পারে।কিন্তু তাদের ঐ কাজটুকু প্রত্যক্ষ ভাবে ইকামাতে দ্বীনের কাজ হতে পারে না।তাদের ঐটুকু খেদমত দ্বারা দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে না।দ্বীন কায়েমের জন্য আলাদা কর্মসূচী অবশ্যই দরকার!!

তথ্যসূত্রঃ ইকামাতে দ্বীন.

মেয়র নির্বাচনে জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক...

বাংলাদেশ বার্তাঃ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরে সেলিম উদ্দিন ভাই, সিলেট মহানগরীতে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ভাই এবং রাজশাহীতে অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেইনকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সোশাল মিডিয়ার কল্যানে সেলিম উদ্দিন ভাই এবং সিলেটের জুবায়ের ভাইয়ের সক্রিয় প্রচারনাও চোখে পড়ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
ইলেকশন হবে কিনা, এই প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন কিনা, করলে জিতবেন কিনা এগুলো পরের প্রশ্ন। আমি সবচেয়ে আগে যেই বিষয়টা বিবেচনা করি, সেটা হলো জামায়াতের দৃঢ়তা, সাহস এবং শক্তিমত্তা। গত ১০ বছর জামায়াতে ইসলামী নামক সংগঠনটি এবং এর নেতাকর্মীরা যেই নির্মমতা সহ্য করেছে, তা অন্য যে কোন দলের সাথে হলে তারা এতদিনে গর্তে ঢুকে যেত। এই দল গর্তে ঢুকেনি, সাহস করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রার্থীতা ঘোষনার ঝুঁকি আছে এটা বোঝার পরও তারা সাহস করে ময়দানে চলে এসেছে। আমি তাদেরকে মোবারকবাদ জানাই।
আমি আগাগোড়াই জানি, মানি এবং বিশ্বাস করি, জামায়াতের প্রার্থীরা সৎ, যোগ্য এবং দুর্নীতিমুক্ত। অন্য যে কারও তুলনায় তারা অনেক বেশী ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমি খুব শক্তভাবে বিশ্বাস করি, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর যে অবস্থা তাতে গতানুগতিক কর্মকৌশল দিয়ে কিছুই হবেনা। ম্যাসিভ চেঞ্জ লাগবে। সেটা কতটুকু সম্ভব সেটা নিয়ে অনেকে বিতর্ক করতে পারে। তবে আমার মনে হয়, এই চেঞ্জটা করার জন্য কিছু সাহসী ও যোগ্য মানুষ দরকার। বড় দলগুলো থেকে যাদের কথা শুনতে পাচ্ছি, তারা পুরনো জামা পড়েই সামনে আসছেন, তা বুঝতেই পারছি। কেউ আসছেন সাবেক মেয়রের প্রতিচ্ছবি হয়ে, কেউ বা অাসছেন বাবার প্রভাব প্রতিপত্তিকে জিইয়ে রাখার জন্য। এদের দিয়ে কিংবা এইসব কপি-পেস্ট মার্কা চিন্তাভাবনা দিয়ে সমস্যায় ভরপুর এই শহরগুলোর পরিবর্তন কি আদৌ সম্ভব?
তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তরুনরাই পরিচালনা করে, তাদের মধ্যে আমি এবার জামায়াত প্রার্থীদের নিয়ে ক্রেজ দেখতে পাচ্ছি। নির্বাচন কি হয়, কতটা সুষ্ঠু হয় কিংবা কে করবে বা কে জিতবে জানিনা, কিন্তু জামায়াতের প্রতি তরুন সমাজের এই আকর্ষন যে নতুন দিনের ইংগিত দিচ্ছে, বড় আকারের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
সম্ভাবনার ভবিষ্যত নির্মানে জামায়াতের মেয়র ও কমিশনার প্রার্থীদের প্রতি অামার পূর্ন সমর্থন ও দোয়া রইলো। আল্লাহ আপনাদের এই সাহসিকতা ও পরিশ্রমের যথাযথ মুল্যায়ন দিন। আমিন
---আলী আহমাদ মাবরুর

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

স্ট্যান্ডার্ড হোমস এর ৭ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত

বাংলাদেশ বার্তাঃ ১২ই জানুয়ারী রোজ জুমাবার বিকাল ৪টায় 'হোটেল লর্ডস ইন 'এ স্ট্যান্ডার্ড হোমস লি: এর ৭ম সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়, হেড অফ দ্যা মার্কেটিং মো: আমান উল্লাহ আমান এর পরিচালনায় কোরআন তেলোয়াত ও তরজমা করেন একাউন্টস কর্মকর্তা জনাব মো: নুর উদ্দীন খান, সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আব্দুল্লাহ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মানিত চেয়ারম্যান ডা: এ,কে,এম ফজলুল হক, পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন পেশ করেন জনাব সলিম জাওয়াদ ওসমানী,কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন ২০১৭-১৭ জনাব আব্দুল্লাহ ফারুক, আর্থিক প্রতিবেদন ২০১৬-১৭ ও অডিটর ননিয়োগ ২০১৮ প্রস্তাবনা পেশ করেন জনাব মোয়াজ্জেম হোছেন, ২০১৮ সালের বার্ষিক পরিকল্পনা পেশ করেন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফয়সল মোহাম্মদ ইউনুছ, মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জনাব হাজী আকতার কামাল, জনাব শামীম মাহমুদ, জনাব সাইয়েদ আজগর, জনাব মোহাম্মদ আমজাদ, জনাব আহমেদ রশিদ আমু, জনাব ডা: শাহ আলম, জনাব মনজুর আহমেদ আনসারী, জনাব কবির মোহাম্মদ মহসিন, মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মৌলানা নিজাম উদ্দীন (ম.জি.আ)।

শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়নের যে সাফাই গেয়েছেন তার কোন গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই ‘নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার’ ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশবাসী হতাশ হয়েছে

বাংলাদেশ বার্তাঃ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ৩:৪৩ ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ জানুয়ারী সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৩ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ জানুয়ারী জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে জনগণের দাবী ‘নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার’ ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে তার সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকার আখ্যা দিয়ে সে সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলায় দেশের জনগণ হতাশ হয়েছে। তার এ বক্তব্য দেশবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের জনগণের দাবী হলো নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ ধরনের নির্বাচন ছাড়া তা দেশে-বিদেশে কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনসহ বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনগুলোই প্রমাণ করছে যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের কোন বিকল্প নেই।

নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের দাবী পাশ কাটিয়ে যাওয়ার অর্থই হলো যে, বর্তমান সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। তারা যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থেকে ব্যালট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন চায়। তাদের এক তরফা নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ কখনো মেনে নিবে না। গায়ের জোরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আলোপ-আলোচনার মাধ্যমেই করতে হবে। আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে- এটার জন্যই জনগণ অপেক্ষা করছে। আশা করি জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়নের যে সাফাই গেয়েছেন তার কোন গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই। দেশের শিল্প কারখানায় উৎপাদন কমে গিয়েছে। প্রায় ১৫ শত পোশাক শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং এছাড়াও বহু কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বৈদেশিক আয় অনেক কমে গিয়েছে। অর্থনৈতিক বিনিয়োগ কমে গিয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি ও সরকারী দলের সন্ত্রাস এবং লুটপাট চলছে ব্যাপকভাবে। সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে সরকারী দলের লোকদের লুটপাট চলছে।

১২/১৩ বছর পূর্বে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থ বছরেও প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৪ শতাংশ। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের কোন অগ্রগতি হয়নি। বরং আরো পিছিয়ে গিয়েছে। দেশের মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, ২০১৭ সালে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৮৬ জন মানুষকে গুম করা হয়েছে এবং বিচার বর্হিভূত হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে ১৫৪ জন মানুষ। এ সব তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বর্ণনা যথার্থ নয়। যেখানে মানুষের জনমালের কোন নিরাপত্তা নেই, সেখানে উন্নয়নের ফিরিস্তি বর্ণনা বেমানান।

তাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে এগারতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”