বাংলাদেশ বার্তাঃ জাতি হিসেবে আমাদের একটা জেনেরিক প্রোব্লেম বোধ হয়, আমরা মানুষকে বা তাঁর অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে জানি না। উল্টো কারো সাফল্যে ঈর্শান্বিত হই। কেউ উপরে উঠতে চাইলে তাঁকে টেনে নিচে নামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করি। তাই একটা কৌতুক আছে এমন যেঃ জাহান্নামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে কোনো দারোয়ান লাগবে না। কারন সেখান থেকে কেউ বের হয়ে জান্নাতের দিকে রওয়ানা হলে আরেকজন তাকে টেনে জাহান্নামের ভেতরে নিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত দুঃখিত এমনটি এভাবে বলার জন্য। আমার নিজের সাথেও এমনটি ঘটেছে তাই অন্তরের গভীরের একটা কষ্ট এবং অভিজ্ঞতা থেকে এটি বলতে বাধ্য হয়েছি। তবে ব্যতিক্রম ব্যপারও আছে অনেক। আলহামদুলিল্লাহ!
সে যাই হোক, আমরা আমাদেরকে ঠেলে দিলেও বহুদিক থেকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া কিন্তু আমাদের রাশেদ শ্রাবনকে বেশ ঘটা করে সম্বর্ধনা দিয়েছে; ভুষিত করেছে ‘সিটিজেন অব দ্য ইয়ার’ খেতাবে। সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য রাশেদ কে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার এর পক্ষ থেকে। তাঁর এই সম্মাননা পাওয়া নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াতেও সারা পড়েছে বেশ। মা শা আল্লাহ।
রাশেদ শ্রাবন আই আই ইউ সি ঢাকা ক্যম্পাস থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যঙ্কিং মেজর নিয়ে বি বি এ করেছে ২০ তম ব্যচের সাথে। পর পরই সে পাড়ি দেয় অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে গিয়ে Western Sydney University থেকে Accountnig and Finance এ মাস্টার্স করে। একই ইউনিভার্সিটিতে PhD তেও enrolled হয়েছে শ্রাবন। তাঁর অনেক attachment & achievements রয়েছে। সে Bangladesh Students Association (Australia) এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে। এখন সে ntv Australia এর CEO (Chief Executive Officer) হিসেবে কর্মরত আছে।
ব্যকগ্রাউন্ড বিজনেস হলেও তাঁর সাংবাদিক হিসেবে রয়েছে অনেক খ্যাতি। আমাদের এই ইয়াং আই আই ইউসিয়ান রাশেদ শ্রাবন এর জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন