অ্যলনা ব্লকলি |
বাংলাদেশ বার্তাঃ আমি অ্যলনা ব্লকলি। আমার বয়স ২৩ বছর এবং আমার জন্ম যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে।
ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আমার জীবনধারাও ছিল অন্যান্য পশ্চিমাদের মতোই। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আমি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি এবং আমার একটি পার্টটাইম চাকরি ছিল।
যেভাবে আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি
স্পেনে ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে আমি ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমি সেখানে অনেক মুসলিমদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সেখানে মুসলিমদের মসজিদে যাওয়া এবং তার প্রার্থনার বিষয়টি আমি প্রত্যক্ষ করতাম। আমি এই দৃশ্য আমার নিজে দেশে আগেও দেখেছি কারণ আমাদের দেশেও অনেক মুসলিম রয়েছে। তবে, এতটা ঘনিষ্ঠভাবে আগে কখনো দেখেনি।
স্পেন থেকে ফিরে আসার পর আমি একটি বছর প্রচুর বই পড়েছি এবং ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও দেখিছি এবং অনলাইনে গবেষণা করেছি। এসব কিছুর মাধ্যমে আমি আমার ধর্মকে বদলাতে চাই নি, তবে ধর্ম আসলে কি তা জানতে চেয়েছি; কারণ ধর্ম নিয়ে আমার একমাত্র উপলব্ধি ছিল আমার দেশে মানুষের মাধ্যমে।
সুতরাং, আমি এক বছর ধরে ইসলাম নিয়ে গবেষণা করি এবং অবশেষে একটি মসজিদে গিয়ে আমি শাহাদাহ ঘোষণা করি।
আমি এটা করতে অত্যন্ত স্নায়ুচাপে ভোগছিলাম কারণ আমি বিষয়টি কাউকে বলিনি এবং কেবল আমার মুসলিম বন্ধুরাই এটি জানতেন।
এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার এক বছর পরে, রমজান মাসের এক সপ্তাহ আগে আমি প্রথমবারের মতো রোজা পালনের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু আমি জানতাম প্রথমবারের মতো রোজা পালন করতে গিয়ে আমার স্বাস্থ্যেরহানি ঘটতে পারে এবং তখন আমার বাবা-মা আশ্চর্য হতে পারে- কেন আমি হঠাৎ করে চিকন হয়ে যাচ্ছি।
তাই আমি বিষয়টি তাদেরকে বলার প্রয়োজন অনুভব করি। তাই আমি আমার বাবা-মাকে বলেছিলাম যে আমি মুসলিম হতে চাই এবং আমি মাথায় হিজাব পরতে এবং প্রার্থনা করতে চাই।
এ কথা শুনে আমার বাবা-মা খুবই খুশি হয়েছিলেন। আমি যে মসজিদে যেতাম তা তারা আগে থেকেই জানত এবং তারা আসলে মনে করেছিল যে আমি ইতোমধ্যেই একজন মুসলিম। তারা আমাকে বাধা দেয়নি এবং আমাকে বলেছিল, আমি যা পছন্দ করি, তা করতে আমি স্বাধীন।
ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নারী ও পুরুষের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে আমার যে ধারনা ছিল তার অনেক পরিবর্তন ঘটে। ইসলাম গ্রহণের আগে, মিডিয়া যা বলত আমি কেবল সেটাই দেখতাম।
মিডিয়ায় সবসময়ই দেখানো হতো যে ইসলামে পুরুষেরা নারীদেরকে নির্যাতন করেন এবং নারীদেরকে পর্দা করতে বাধ্য করা হয় এবং পুরুষরা নারীদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেন। এটা আমাকে বিচলিত করে কারণ প্রকৃত স্বাভাবিক অবস্থা কি তা আমি এখন জানি।
সকলের প্রতি আমার আহ্বান, গণমাধ্যমের লোকেরা যা বলে তা অনুসরণ না করে কোরআন ও সুন্নাহকে অনুসরণ করুন। আপনারা মিডিয়ার কথায় বোকা বনে যাবেন না।
সুতরাং যখন আমি ধর্মান্তরিত হই, তখন হিজাব নিয়ে গবেষণা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম এবং গবেষণার পরে বুঝতে পারি- কেন নারীরা হিজাব পরিধান করেন? এবং এটাও বুঝতে পারি যে আলিঙ্গন সাড়া দেয়ার কর্তব্য নারী ও পুরুষ উভয়েরই রয়েছে।
সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম
সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন