ঢাকা সিটি উত্তরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার আগেই নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের নগর উত্তর শাখার আমীর ও শিবিরের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ক্রিড়া সংগঠক সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণা করে। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ও ২০ দলীয় জোটে ব্যাপক আলোচনা হয়। রাতে বিবিসি বাংলা একটি নিউজ করে, নিবন্ধন বাতিলের পরও কেন প্রার্থী দিল জামায়াত? বিবিসির এ নিউজটি শেয়ার করে সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণার কারন ব্যাখ্যা করে রাত ১০ টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন শিবির সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত।
স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
নুন্যতম রাজনৈতিক জ্ঞান থাকলে এমন শিরোনাম বিবিসি করতো না!
জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার কয়েকটি কারন উল্লেখ করছি-
জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার কয়েকটি কারন উল্লেখ করছি-
১.দলের নিবন্ধন না থাকলেও যে কোন নাগরিক শর্ত পুরন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। জামায়াতের প্রার্থী সেলিম উদ্দিন ভাইও স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।
২.বিশ দলীয় জোট আছে, ঐক্যও অটুট থাকবে। আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে নিশ্চয় জনগনের আশা আকাঙখার প্রতিফলন ঘটাবে এই জোট। স্থানীয় নির্বাচনে ২০ দলের যে কেউ প্রার্থী হওয়ার দাবী করতে পারেন, গণসংযোগ করতে পারেন, জনগনের কাছে স্ব স্ব দলের ইশতেহার পৌঁছে দিতে পারেন। তাতে জোটের ঐক্যের কোন সমস্যা দেখিনা।
৩.যদি ঢাকা সিটিতে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করতে চায় নিশ্চয় জোটের যে সব দলের প্রার্থী আছে তাদের মধ্য থেকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীকেই জোট বাছাই করবে। চুড়ান্ত প্রার্থী সিলেক্ট করার আগ পর্যান্ত জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালাবেন এটাই স্বাভাবিক।
৪.যে দলের শীর্ষ নেতারা আ’লীগের সাথে আঁতাত না করে হাসি মুখে ফাঁসির রশিকে বরণ করেছেন, সে দলের নেতৃবৃন্দ কারো অনুকম্পার তোয়াক্কা করে না। হলুদ মিডিয়ার পুরাতন কাসুন্দি আর জনগন খায় না।
সুতরাং জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা তার দলীয় কর্মসূচী। কারো ঘুম হারাম বা কারো আরাম পাওয়ার কোন কারন নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন