ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

এই কেমন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী?


বাংলাদেশ বার্তাঃ আমি গ্রেপ্তার হলাম থানায় যেতে না যেতে আমার জন্যে রাতের খাওয়ার হাজির। ভাবতাছি আমার পরিবার জানেনা আমি যে গ্রেপ্তার হলাম খাওয়া আসলো কোত্থেকে? পরের দিন ফজর নামাজ শেষ হতে না হতে নাস্তা হাজির!

সকাল ১০ বাজে আমাকে আদালতে চালান দিলো। থানা থেকে বের হতে দেখি একজন ভাই আমাকে কাপড় দিয়ে বলে এইটা আপনার জন্যে অমুক পাঠিয়েছে।
আদালতে পৌঁছার আগে দেখি জামায়াত ইসলামী জেলা থানা নেতারা হাজির। আদালতের লকাবে ডুকতেই দুপুরের খাদ্য হাজির
সন্ধায় আমাকে কারাগারে পাঠায়। রাত আমাকে কাটাতে হলো কারাগারের আমদানিতে। ফজর নামাজের পরে কিছু যুবক আমার জন্যে নিয়ে আসে সকালের নাস্তা। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলে শিবির ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল।
সকাল ১০ টায় তাদের সাথে গেলাম শিবির ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডে ডুকতেই অপরিচিত কিছু লোক আপনজন মত কোলাকুলি শুরু করে দিলো। পরে পরিচয় হলো ওরাও আমার মত নির্যাতিত মজলুম।
দুপুরের পুর্বে গোসল করতে গেলাম এক ভাই আমার জন্যে পানি নিয়ে আসে আরেকজন গামছা লুঙী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গোসল করার পরে আমার লুঙী ধুয়ে দিচ্ছে এক ভাই। আমার লুঙ্গি আমি ধুইতে চাইলেও ওরা আমাকে দেইনি ধুইতে। পরে জানতে পারি ওরা সবাই ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী।
গোসল শেষে যখন ওয়ার্ডে যাই তখন ওদের আচারণ দেখে চোখের কোণায় জল আসে যায়।
আমি গোসল করে যখন ওয়ার্ডে যাই তখন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নিজের বিছানা ছেড়ে দিয়ে বলে আপনি ক্লান্ত এখন বিশ্বাম করুণ।
আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতাছি আমার মত নগণ্য এক আল্লাহর গোলাম কে ওরা যেই আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখাইতাছে তা কিন্তু আমি পাপ্য নয়।
জোহর নামাজের আজান শুনে আমি বিছানা থেকে উঠে ওজু করতে গেলে মহানগর শিবির নেতা আমার জন্যে ওজুর পানি নিয়ে অপেক্ষা করছে!!
নামাজ শেষে দু'নয়ণে পানি ঝরছে ওদের আন্তরিকতা দেখে। আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে ফরিয়াদ করলাম। ওহে মহান রব জামায়াত /শিবির আমার সাথে যেই আচারণ করছে এতে আমি মুগ্ধ তুমিও ওদের উপর রাজি হয়ে যাও। তুমি যদি জামায়াত শিবির কে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দান কর অবশ্যই এই দেশের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।
মুনাজাত শেষে দুপুরের খাওয়ার আয়োজন। এক ভাই ভাতের প্লেট ধুয়ে আমাকে ভাত তরকারি নিয়ে দিলো। আমার পাশে বসা আরেকজন একটি ডিম আমার প্লেটে তুলে দিলো। আরেকজন দিলো আলুর ভর্তা আমার প্লেটে তরকারি ভরা ওদের প্লেটে দেখি সামান্য তরকারি।
এমন অবস্থা দেখে আমি ওদের বলি আপনারা সামান্য তরকারী দিয়ে কিভাবে ভাত খাবেন? সব আমাকে কেন দিচ্ছেন? তাদের উত্তর শুনেও চোখের পানি ধরে রাখতে পারলামনা! এই কেমন কর্মী বাহিনী জামায়াত শিবির জন্ম দিলো!!
copied from বন্দি কারাগার।
(এক দ্বীনি ভায়ের ওয়াল থেকে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন