বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীরর মজলিসে শুরা সদস্য ও ডবলমুরিং থানা আমীর মো: ফারুক আজম বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে যার কোন নজির নেই। ৪৭টি ভোটকেন্দ্রে একজন লোকও ভোট দিতে যায়নি। সেই নির্বাচনের প্রহসন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশে উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় সকল নির্বাচনই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক প্রহসনের নাটক। এ সব নির্বাচন থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আজ ৫ জানুয়ারি থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণতন্ত্র হত্যা দিববসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের সময় সরকার বলেছিল যে, ‘এ নির্বাচন শুধুমাত্র সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তী সময় সকল দলের অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’ কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বরং নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আলোচনা সভা সমূহে আরো বক্তব্য রাখেন, থানা সেক্রেটারি দ্বীন মোহাম্মদ, এ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ ফারুকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, সরওয়ার কামাল ও একেএম মাঈনুদ্দিন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। তাই জাতিকে এ দুঃসহ অবস্থা থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন