বাংলাদেশ বার্তাঃ ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে বাংলাদেশি ছাত্রদের ভারত ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়ে পোস্টার লাগানোয় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দে ইসলামী শিক্ষাগ্রহণকারী বাংলাদেশি ছাত্রদের এক মাসের মধ্যে ভারত ছাড়ার জন্য বলা হয়েছে। যদি এক মাসের মধ্যে ওই ছাত্ররা ভারত ত্যাগ না করে তাহলে এর মারাত্মক ফল ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
সাহারানপুর জেলা পুলিশের পক্ষ পোস্টার লাগানো ব্যক্তিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, ওই পোস্টারে দেওবন্দ ও অন্য মাদ্রাসায় পড়া বাংলাদেশি ছাত্রদের নাম ও সংখ্যার বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন দেওয়াল ও মসজিদের বাইরে লাগানে এসব পোস্টারে অবশ্য কারো নাম বা সংগঠনের উল্লেখ করা হয়নি। সাহারানপুর পুলিশের এসএসপি বাবলু কুমার বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যারা এরকম করেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিতর্কিত ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘দেওবন্দে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ব্যাপারে আমরা জানি। আমরা এটাও জানি যে, বিভিন্ন মাদ্রাসায় পাঠরত ছাত্ররা এখানে কী নামে আছে, যদি এসকল ব্যক্তিরা এক মাসের মধ্যে দেশ/শহর না ছাড়ে তাহলে এর পরিণাম বছরভর মনে রাখবে।
দারুল উলুম দেওবন্দের ভাইস চ্যান্সেলর এসময় দশ দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আছেন। সেজন্য এসময় ওই বিতর্কিত পোস্টার লাগানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই ঘটনায় বাংলাদেশি ছাত্রদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হলেও বৈধ বাংলাদশি ছাত্রদের ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও আলাদাভাবে ওই ঘটনার তদন্ত করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দারুল উলুমের এক সিনিয়র মাওলানা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ ধরণের কাজের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইস-চ্যান্সেলর বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে থাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে শহরে ওই পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারের ভাষা খুব নিম্নমানের।
ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্বখ্যাত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন দেশের ছাত্ররা পড়াশোনা করে থাকেন।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন