ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

‘পরামর্শ ফি ৫০০ টাকা, কষ্ট হলে নির্ধিদ্বায় বলুন’!

বাংলাদেশ বার্তাঃ ‘চেম্বারে রোগী দেখা মানেই হাজার হাজার টাকা ভিজিট’ আপনার এমন ধারণা হয়তো পাল্টে যেতে পারে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকলে। বাংলায় লিখা এবং মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে টেবিলের উপরে রাখা “পরামর্শ ফি ৫০০ টাকা, কষ্ট হলে নির্ধিদ্বায় বলুন” প্রতি মঙ্গলবার গরীব রোগী ফ্রি দেখা হবে।
প্রায় পত্রপত্রিকায় বা ফেইসবুকে আমরা দেখি মানবসেবার নামে অনেক চিকিৎসক রোগীর সাথে কি আচরণ করছেন আবার আমরা অনেক ভালো ডাক্তারও দেখি তবে ভালো ডাক্তারের সংখ্যা সমাজে খুব নগণ্য! খারাপ চিকিৎসকের ভিড়ে ভালো চিকিৎসকরা হারিয়ে যায় কেউ খোঁজ রাখেও না, তারা তাদের লালিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে মানবসেবার কাজ চালিয়ে যান নীরবে নিভৃতে।
একটু পেছন ফিরে তাকালেই মনে পরে ছোটবেলার কথা! এসএসসি পরিক্ষায় এ প্লাস বা ভালো রিজাল্ট করলে কেউ যখন জিজ্ঞাসা করত তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও? তখন বেশিরভাগরের উত্তর "ডাক্তার হতে চাই”। অনেকেই স্বপ্ন দেখতো বড় হয়ে চিকিৎসক হবে, ভালো একজন চিকিৎসক হয়ে গরিব অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে কিন্তু অনেকেই পারেননা তবে তারাই পারেন যারা ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ায় সফল একমাত্র তারাই কাঙ্গিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন।
চিকিৎসক হওয়ার পরে পেশা যখন চিকিৎসক হিসাবে গ্রহণ তার মধ্যে কয়জন তার ছোট বেলায় দেওয়া কথা রক্ষা করেন? অধিকাংশ চিকিৎসক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পরে আবেগে বলা সেই কথা আর রক্ষা করতে পারেন না কিন্তু যাদের মন ছোটবেলা থেকে গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের কষ্ট গুলো মনের বারান্দায় জায়গা দিয়েছিলেন তারাই তাদের সেই লালিত স্বপ্ন পূরণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো তেমনি একজন মহান মানুষের সাথে যিনি সিলেটে দীর্ঘদিন থেকে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। উনাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য কোন বিশেষণের দরকার আছে বলে মনে করিনা। উনার বিশেষণের স্বাক্ষর তিনি কাজের মাধ্যমে বহুবার দিয়ে রেখেছেন। ডাঃ হোসাইন আহমদ, এমবিবিএস, (সিসিডি) ডায়াবেটিস, বারডেম – ঢাকা, এম.ফিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ। বর্তমান তরুন প্রজন্মের জন্য আল্লাহর অশেষ নিয়ামত। আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন পাশাপাশি একজন সুচিকিৎসক গড়ার কারিগর তিনি। বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করা রোগ ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে চিকিৎসা সেবার কাজ শুরু করেছেন। সিঙ্গাপুর, ইন্ডিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে সিলেটের চিকিৎসা জগতে নিজেকে স্বরুপে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন সেবার মাধ্যমে। সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তিনি কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
শ্রদ্ধাভাজন ডা. হোসাইন আহমদ এখন নিয়মিত রোগী দেখছেন নগরীর রিকাবীবাজারস্থ ইবনে সিনা ডায়গনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে। তিনি শুক্রবার ব্যাতিত প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখেন এখানেই এবং প্রতি মঙ্গলবারে গরীব রোগী ফ্রি দেখেন। “পরামর্শ ফি ৫০০ টাকা, কষ্ট হলে নির্ধিদ্বায় বলুন” লিখা সংবলিত সাইনবোর্ড টেবিলের উপরে রাখা যে কেউ চেম্বারে ঢুকলেই চোখে পড়বে। “কষ্ট হলে নির্ধিদ্বায় বলুন” এই চার শব্দের বাক্যটি মানুষকে বলে দিচ্ছে মানবতা আছে, মরে নাই। জয় হোক মানবতার, এগিয়ে যাক সিলেট ডায়াবেটিস সেন্টার, রিকাবীবাজার, সিলেট।
ডা. হোসাইন আহমদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা। মহান মাবূদের দরবারে দোয়া করি তিনি যেনো আপনার কাঙ্গিত মঞ্জিলে আসীন করেন। আপনার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের সেবা নিশ্চিত করুন। আমীন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন