ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

খালেদা জিয়ার রায়ে অশ্রুসিক্ত বিএনপি নেতারা


বাংলাদেশ বার্তা,০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,বৃহস্পতিবার, ২০:৫৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় শুনে বিএনপি নেতাদের অনেকেই কেঁদেছেন।

আদালতে উপস্থিত নেতা ও আইনজীবীরাও কেঁদে ওঠেন। রায়ের পর আজ বিকেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একপর্যায়ে অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বার বার মুর্ছা যান। তার সাথে উপস্থিত সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নিলোফার চৌধুরী মনি ও বেবী নাজনীনসহ অন্য নেতাকর্মীরাও কাঁদতে থাকেন। তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠে বিষাদের ছাপ।


এসময় কিছুক্ষণের জন্য সংবাদ সম্মেলন স্থলে নীরবতা নেমে আসে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরীও কান্না করেছেন।

রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে কোথাও এটি আমরা দেখিনি। একজন স্বামীহারা, সন্তানহারা হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যিনি কথা বলেছেন, তিনি প্রতিহিংসার শিকার হলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দেয়া রায়কে অন্যায় এবং প্রতিহিংসামূলক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আগে থেকেই যে আশঙ্কা করেছিলাম, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। এই রায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত আক্রোশের ফল। সরকার একদলীয় শাসন দীর্ঘস্থায়ী করতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ রায় দিয়েছে। তাকে ভয়ঙ্করভাবে পর্যুদস্ত করতে এ সরকার এবং এ সরকারের মুরব্বিরা পরিকল্পনা করে আসছেন। কেননা খালেদা থাকলে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র থাকবে। একজন ব্যক্তিকে খুশি করতে এ রায় দেয়া হয়েছে।

এদিকে বেগম জিয়াকে সাজা দেয়ার রায়ে অবিরত কেঁদেছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের দুই সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার। তারা কান্নারত কণ্ঠে বলেন, কেবল গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়েই দেশনেত্রীকে সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন কখনো অন্যায়ের কাছে আপোস করেননি। তিনি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মা এবং ছেলের মৃত্যুদিনেও তিনি আদালতে হাজির হয়েছেন। আজকে ক্ষমতাসীনরা তার প্রতি অন্যায় এবং অবিচার করলো। কিন্তু এই অন্যায় অবিচারের শেষ হবে শিগগিরই ইনশাল্লাহ। তারা দেশনেত্রীর জন্য আল্লাহর কাছে সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান।

সৌজন্যেঃ নয়াদিগন্ত,০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,বৃহস্পতিবার, ২০:৫৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন