ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পিলখানা ট্রাজেডি সভ্যতার ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে- মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া

বাংলাদেশ বার্তাঃ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনা বিধূর দিন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে যে নির্মম নৃসংশ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল তা ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং সভ্য সমাজে যা কল্পনা করাও যায় না। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই এ দু’দিনে ৫৭ জন চৌকস মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্য করা হয়েছিল এবং তাদের পরিবার পরিজনের উপর চালানো হয়েছিল নির্মম ও পাশবিক নির্যাতন যা সভ্যতার ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত হয়েছে এবং বিশ্ববিবেক হয়েছে বিস্ময়ে বিহবল। এই ঘটনায় দেশ ও জাতির যে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তা পুরন হবার নয়। ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে দীর্ঘমেয়াদে হুমকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। একদিকে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে ফেলা হয়েছে। অপরদিকে এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে এদেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সীমানাকে অরক্ষিত করে দেয়া হয়েছে।


সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত পিলখানা ট্রাজেডির শহীদদের স্মরণে ‘আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ্যডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, মো: ফরিদ উদ্দিন, মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য নাইমুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ইসলাম ও ইসলাম প্রিয় জনতা হচ্ছে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবজ। বর্তমান সরকার ইসলামী চেতনাকে মুছে ফেলার পাশাপাশি ইসলামী সংগঠন ও নেতৃত্বকে নিশ্বেষ করে দিতে চায়। এজন্য আমীরে জামায়াত মকবুল আহমদ, সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ সহ দেশপ্রেমিক জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে অন্তরীণ করে রেখেছে। সরকার এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকেও ধ্বংস করতে চায়। এজন্যই বর্তমান আওয়ামী সরকার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতিসত্তাবিরোধী অপতৎপরতা শুরু করেছে। নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করে দেশকে পরাশ্রয়ী, নতজানু ও করদরাজ্য বানানোর জন্যই জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম বাদ দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গুম-খুনের মহোৎসব চালাচ্ছে। ফলে চুরি-ডাকাতি, খুন-ধর্ষন বৃদ্ধি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। কিন্তু সরকারের দমন-পীড়ন ও সীমাহীন ব্যর্থতার বিরুদ্ধে জনগণ যাতে কোনোভাবেই প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সে জন্যই ক্ষমতাসীনরা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের দেশ, জাতি ও গনতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের কারনে দেশ আজ অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে গনতন্ত্র চর্চার অধিকার নেই, মিছিল মিটিং সমাবেশের অধিকার নেই। সরকার বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় কর্মসূচীতে হামলা করে ও মন্ত্রীদের উস্কানি মুলক বক্তব্যের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। তিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারের দাবীতে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতৃবৃন্দ সহ বিরোধী সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবী করেন।
ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, পিলখানার নির্মম হত্যাযজ্ঞ কোনো তাৎক্ষণিক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে অপশক্তি দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল, সেনাবাহিনীর সমান্তরালে দেশে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে গণমানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছিল। এখনও জাতির ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দূর্বল করতেই তাদেরই নীলনকশার অংশ হিসাবে পিলখানা ট্রাজেডি ঘটেছে। তিনি এই ষড়যন্ত্রের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং দেশ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পিলখানা হত্যাকান্ডের স্বীকার পরিবার সমূহের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দ্য়ো করা হয়।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন