ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

পথশিশু ও নৃগোষ্ঠির মাঝে বাংলা ভাষা শিক্ষার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-শিবির সভাপতি


বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, পথশিশুসহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কোমলমতি শিশুরা মাতৃভাষা লালন ও চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা আগামীর বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না। শিশুদের মাতৃভাষা থেকে বঞ্চিত করা অনাকাঙ্খিত। পথশিশু ও নৃগোষ্ঠির মাঝে বাংলা ভাষা শিক্ষার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পথশিশুদের মাঝে বর্ণমালার বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি জামিল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক শাহ মাহফুজুল হক। এসময় মহানগরী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম সজিব সহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, শিক্ষা সবার জন্মগত মৌলিক অধিকার। শিশুদের যে কোনো ধরণের অনাচারের কবল থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ পথশিশু রয়েছে, যারা প্রায় সকল অধিকার ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার অভাব ও রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতার কারণে পথশিশুদের বেশির ভাগই নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সময়ের ব্যবধানে এরা ভয়ঙ্কর অপরাধিতে পরিণত হয়। যার খারাপ প্রভাব পড়ছে রাষ্ট্র ও সমাজে। এই বিরাট সংখ্যক পথশিশুকে বাদ দিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে পর্যাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়েও শিশুদের বাংলা বিমুখ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিশুরা বাংলা ভাষা লালন ও চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজ মাতৃভাষাকে নিয়ে অসতর্কতা, অবহেলা আর চর্চার অভাবে এরা এদেশে থেকেও মাতৃভাষার প্রতি অনিহা নিয়ে বড় হচ্ছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে নিজের অস্তিত্বকে অন্যের কাছে বিলীন করে দেয়ার কোন অর্থ হতে পারেনা। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ও উপজাতিদের মধ্যেও বাংলাভাষা চর্চা নিয়ে অনিহা রয়েছে। তাদের জন্য বাংলা চর্চায় পর্যাপ্ত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে জাতির বীর সন্তানেরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে সেই জাতির আগামী প্রজন্ম ভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে তা কোন ভাবেই কাম্যনয়। এই চিত্র বিশ্ব দরবারের বাংলাদেশের মর্যাদাহানি করবে। যা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। 

তিনি বলেন, নিরক্ষরতা একটি সামাজিক অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে পথশিশুদের রক্ষা করতে হবে। অনেক স্বপ্ন, ত্যাগ আর সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত এ প্রিয় বাংলা ভাষাকে অবহেলা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। কিন্তু সমাজের অসচেতনতা ও রাষ্ট্রের অবহেলার কারণে শিশুদের বিরাট একটি অংশ মাতৃভাষা চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। অবিলম্বে বিপুল সংখ্যক এই পথশিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে সরকারীভাবে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বেসরকারি ভাবে ও সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষা চর্চা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। উপজাতিদের স্ব স্ব মাতৃভাষার পাশাপাশি বাংলাভাষা চর্চায় রাষ্ট্রীয় ভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু ভাষার জন্য জীবন দেয়া শহীদদের ত্যাগই ম্লান হবে না বরং আগামীর বাংলাদেশের সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়বে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন