বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজে দ্বীন কায়েম ছাড়া পূর্ণাঙ্গ ভাবে ইহকালীন শান্তি এবং পরকালের মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। আর নতুন প্রজন্মকেই দ্বীন কায়েমে অগ্রণী ভ’মিকা পালন করতে হবে। তাই জাহেলি সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তোলতে হবে।
তিনি আজ ফেনীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখার সাথী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কিরণের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: ফখরুদ্দিন মানিক, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, মিডিয়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর ফেনী জেলার সাবেক আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা, ফেনী জেলার সভাপতি কফিল উদ্দিনসহ শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, আল্লার বিধান জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য কল্যাণকর। কিন্তু জমিনে দ্বীন কায়েম ছাড়া সত্যিকারের ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তি আসে না তা চিরন্তন সত্য। যার উত্তম নজির প্রিয় বাংলাদেশ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের যত উপদান দরকার তা সবই আছে এদেশে। কিন্তু স্বাধীনতার পর বহু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সমৃদ্ধি অর্জিত হয়নি। কারণ রাষ্ট্র বরাবরই পরিচালিত হয়েছে মানবরচিত বিধানে। আর এই মানব মতবাদে রাষ্ট্র সমাজ পরিচালনার কুফলের শিকার হচ্ছে এদেশের জনগণ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবক্ষয়, অপসংস্কৃতির প্রভাব ও নৈতিকতাহীনতায় দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জনগণের আগামী দিনের প্রত্যাশার জায়গাটি হতাশা ও শঙ্কা দখল করে নিয়েছে। এ ভয়াবহ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে শুধু মাত্র রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েমের মাধ্যমে। আর দ্বীন কায়েমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে ছাত্রশিবিরকেই।
তিনি বলেন, যুব ও তরুণরাই একটি দেশ এবং সমাজের মূল শক্তি। তরুণ সমাজের দৃঢ় প্রত্যয় একটি দেশের চিত্র পাল্টে যেতে পারে। তাদের এগিয়ে চলার পথ যদি হয় কুরআন তাহলে শুধু দেশ বা সমাজ নয় বরং সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আমাদের ভিশনও তা’ই। দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে নিজেদেরকে অনুকরণীয় হিসেবে গড়ে তোলতে চরিত্রবান, দৃঢ় প্রত্যয়ী দু:সাহসী, সৎ, যোগ্য, ও জ্ঞানের আলোকে নিজেদের তৈরী করতে হবে। কুরআন হাদিসের চর্চা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমলে সালেহ বৃদ্ধি করতে হবে। অবস্থা যতই প্রতিকূল হোক না কেন দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। নিজেদেরকে মানোন্নয়নের সারিতে শামিল করতে হবে। সর্বোপরি দ্বীন কায়েমে রাসূলে করিম (সা.)-এর প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি কাজের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন