ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮

জোট-মহাজোট; কোন পথে বাংলাদেশের রাজনীতি - মুহাম্মদ আবদুল জব্বার


বাংলাদেশ বার্তাঃ ‘বাংলাদেশ’ তৎকালীন পাকিস্তানের শোষণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক অর্জন। এ দেশের মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষ দেশবিভক্তির সুফল প্রাপ্তির পরম আকাঙ্ক্ষা লালন করেছিল। কিন্তু এখনো সেই প্রত্যাশিত স্বাধিকার অর্জনের ৪৭ বছর পরও প্রত্যাশা-প্রাপ্তির বিস্তর ফারাক বিদ্যমান। ক্ষমতার পালাবদলে শাসকগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও দেশের আমজনতার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। আমরা জাতি হিসেবে খুব ইমোশনাল (আবেগী)। অল্পতে নিজেদের সব উজাড় করে দেই, আবার অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে যাই। আমাদের জাতিসত্তার এই সরলতাকে দুর্বলতা হিসেবে নিয়ে শাসকগোষ্ঠী দেশবাসীকে বারবার ঠকিয়েছে, কোন সরকারই প্রকৃতপক্ষে জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও নিরাপদ জীবনমানের ব্যবস্থা করতে পারেনি। বরং নানা ধরনের শোষণ, বৈষম্য ও জুলুম-নির্যাতন সেই পাকিস্তানি জালিমশাহিকেও হার মানিয়েছে, যা ভাবলে আমরা শিহরিত হই। যাদের শঠতা, ন্যাকামি ও চটকদার বুলি এখনো জনগণকে ঠকিয়েই চলছে।
ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে কয়েক দশক ধরে জোট-মহাজোটের মাধ্যমে দেশ দু’টি শিবিরে বিভক্ত। আওয়ামী মহাজোট, বিএনপির ২০ দলীয় ঐক্যজোট, হোসাইন মুহম্মদ এরশাদের ৫৫ দলীয় জোট! জোটগঠনে পিছিয়ে নেই সাবেক বিএনপি মন্ত্রী নাজমুল হুদাও। আবার নয়াভাবে ড. কামাল হোসেন ও ডা:এ কিউ এম বদরুদ্দোজার নেতৃত্বে সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্যের জোটগঠনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মূলত বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী নেতৃত্বে বামপন্থী দলসমূহ আর বিএনপির নেতৃত্ব ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী দলসমূহই নির্বাচনের মূল ফ্যাক্টর। নির্বাচন প্রাক্কালে প্রতিবারই এই জোট দু’টির একজোট আরেক জোটের শরিকদের বাগিয়ে দল ভারীর প্রচেষ্টা দৃশ্যমান ও হাস্যকরও বটে! আওয়ামী লীগ ভারতের কৃপা নিয়ে দেশের প্রকৃত বিরোধীদলকে বাদ নিয়ে ১৫৪টি আসনে বিনাভোটে নির্বাচিত বলে দাবি করে গৃহপালিত বিরোধী দল দিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে উল্টো স্বৈরাচারী কায়দায় জনগণের ওপর জুলুমবাজি করার ইতিহাস পৃথিবীতে খুব বিরল।
রাজনৈতিক সমীকরণে জোট-মহাজোট গঠনপ্রক্রিয়া বেশ কয়দিন আগেই শুরু হয়েছে। ভোট এলেই জোট বাড়ে। গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এ দলগুলো মিলে নতুন একটি বাম রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়েছে। নতুন জোট গঠনের ওই একই দিনে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় মহাজোটের বাইরে থাকা গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট এবং গণতান্ত্রিক জোটসহ ৯টি দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এরপরের দিন রাতে জরুরি বৈঠকে বসে বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টি এবং নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গত ডিসেম্বরে (২০১৭) গঠিত যুক্তফ্রন্টের নেতারা। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে সমদূরত্ব রেখে তারা জাতীয় ঐক্যগঠনের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল। অন্য দিকে বিএনপি বর্তমান সরকারকে হটাতে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যগঠনের কথা বলছে।
জাতীয় ঐক্য নামে সরকারবিরোধী সম্মিলিত বিরোধী জোট গঠন হলে এ জোট ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন। জাতীয় ঐক্যের কুশীলবরা জাতীয় অঙ্গনে পরিচিত মুখ হলেও ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান ততোটা জোরালো নয়। তারপরও সরকারবিরোধী সবাই এক প্ল্যাটফর্মে এলে ক্ষমতাসীনদের জন্য এটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের ডামাডোলের মধ্যেই জোটের রাজনীতিতে মেরুকরণের চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ। ড. কামাল হোসেনের জোটগঠন প্রক্রিয়াকে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব বলে অনেকে মনে করছেন। আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের নেতারা মনে করেন ড. কামালরা পশ্চিমা দেশের সহায়তায় আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করার জন্য নতুন কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
ড. কামাল হোসেন জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য গঠন করার আহবান জানিয়েছেন।
এতে তিনি যথেষ্ট সমালোচিতও হয়েছেন। জামায়াতকে ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে এক টিভি টকশোতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘একজন জামায়াত নেতার যে ভোট আছে গণফোরামে পুরো মিলে সে ভোট নেই!’ বিএনপির কোন কোন নেতা জামায়াতকে ২০ দলীয় জোট থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে মত থাকলেও বাস্তবতার কারণে ভোট রাজনীতির স্বার্থে এই জোটের কোনো বিকল্প নেই বলে তারাও মনে করেন। তবে যে যাই বলুক সচেতনমনারা মনে করেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে টেক্কা দেয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের কোনো বিকল্প নেই।
-সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি,
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন