ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮

জবাদিহি চাওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর একজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলের চাইতেও একজন সাধারণ কর্মীর ক্ষমতা অনেক বেশী

বাংলাদেশ বার্তাঃ জবাদিহি চাওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর একজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলের চাইতেও একজন সাধারণ কর্মীর ক্ষমতা অনেক বেশী।তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রহঃ) শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার প্রাক্কালে তখনকার শহীদ সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ (রহঃ) ভরা মজলিশে আমীরে জামায়াতকে সম্বোধন করে বলে ছিলেন,”বাংলাদেশের ইতিহাসে যতজন মন্ত্রী হয়েছেন সবার নামেই দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো, আপনার নামে যদি এক টাকা দূর্নীতির অভিযোগ উঠে, আপনাকে আমীরে জামায়াত থেকে অপসারণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম ভোটটা আমিই দিবো।”

এরপর আমীরে জামায়াত মুচকি হেসে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার সেক্রেটারী জেনারেল আমার বিষয়ে এতোই সচেতন যে আমার কোন ভয় নেই, আর আমি এমন এক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছি, যে দলের দায়িত্বশীলরা সবাই সচেতন।
অন্যদিকে আমার থানা সেক্রেটারী তার বাসায় একদিন ওয়ার্ড বৈঠকে আমাদের দাওয়াত করে খাওয়ালেন, তার খাবারের মানটা বেশী ভালো হওয়ায় এক কর্মী ভাই প্রশ্ন করে বসলেন এতো ব্যায়ের খাবার কেন? আমাদের অনেক ভাইরা কারাগারে, জানি না কেমন আছে, এতো খরচের খাবার আমাদের দরকার ছিলো না, থানা সভাপতি তার কথা সমর্থন করে বললেন আপনি ঠিক বলেছেন, জাজাকাল্লাহ,তার বড় বাসা ও ঘরের সৌন্দর‌্য দেখে আমাদের এক ওয়ার্ড সেক্রেটারী তার পেছনে লেগে গেলেন, তিনি হিসেব মিলাচ্ছেন কোন সংগঠনের বায়তুল মালের টাকা উনি আত্মসাৎ করেন কিনা, তারপর তিনি থানা সেক্রেটারীকে কন্টাকের দাওয়াত দিলেন, আপনি চলেন সাধারন মানুষের মতো, আপনার ইনকাম কি, আপনার বাসা এতো সুন্দর এবং দামী আসবাব পত্রের রহস্য কি? জবাবে তিনি তার আয়ের পুরো হিসেবের বর্ণনা তাকে দিতে হয়েছিলো, এবং তিনি খুশি মতো বাড়ী ফিরলেন।
উক্ত ঘটনাগুলো সকলকে আমার এই জন্যই মনে করে দেয়ার জন্য যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোন দলের অস্তিত্ব নেই যে, কেউ তার দলের সেন্ট্রাল লিডার থেকে হিসেব চাইতে পারেন, যদি চান তাহলে তার পরিণতি কি হবে, আপনারা সকলেই ভেবে দেখুন।
আমাদের দেশের তথা কথিত পীরদের কাছে যদি তার মুরিদরা কেউ একজন দাঁড়িয়ে তার অর্থের হিসেব চান, তাহলে এমন থাপ্পড়ের স্বীকার হবেন, বডি থেকে মাথা কোথায় গিয়ে উড়ে পড়বে কেউ খুঁজেও পাবে না।

তদ্রুপ ইসলামী দলের কথা অনেকেউ বলেন, কিন্তু ইসলামী দলের জবাব দিহি নিশ্চিত করতে পেরেছেন এমন কোন ইসলামী সংগঠন কারো চোখে পড়েছে কিনা আমার মনে হয় না, যদি করতে পারতেন, তাহলে কখনো জামায়াতে ইসলামী নামক দলের বিরোধীতা করার আগে তাদের হাঁটু কাঁপতো, তারা আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে পান না বলেই জামায়াতের বিরোধীতা করে থাকেন।
তাই আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সংগঠন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী, এই সংগঠনের পতাকা তলে আল্লাহ সবাইকে সামিল হওয়ার তাওফীক দান করুক, আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন