বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম এমন একটি রাজনৈতিক দল যেটিকে তুলনা করা যেতে পারে ১০ কেজি দুধে এক ফোঁটা মুত্রের সাথে!
একফোঁটা গরুর মুত্র যেমন পুরো বালতির দুধ নষ্ট করে দেয় তেমনি ৭১'র রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জামায়াতকে চির জীবনের জন্য কলঙ্কিত করেছে! যে কারনে আমি মনে করিনা জামায়াতে ইসলাম কখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে পারবে!
কেন পারবে না? সেটার কারন তারা রাজাকার ছিলো, এটা না!
পাকিস্তান আমলে যদি আমার জন্ম হতো আমিও স্বাধীনতার বিরোধিতা করতাম! আশ্চর্য হবার কিছু নাই, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা দীর্ঘদিন স্বাধীনতা চাচ্ছে, আমরা এটা মানবো ?
তো দুই পাকিস্তানকে যারা আলাদা হতে দিতে চায়নি তারাইতো দেশ প্রেমিক। তার উপর ভৌগলিকভাবে ভারতের মতো হায়েনা আমাদেরকে যেভাবে ঘিরে রেখেছে, বাঘের ভয়ে সিংহের খাঁচায় আসাটা যে ঠিক হবে না সেটা জামায়াত নেতারা ঠিকই জানতেন। যে কারনেই জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ভারত প্রতিশোধটা নিলো!
অনেকে বলবেন পাকিস্তান আমাদের শোষণ করেছে, বৈষম্য ছিলো, আমাদের চাকরি দেয়নি, আরও কতো কি! আচ্ছা বৈষম্যতো এখনও আছে! আওয়ামিলীগ না করলে চাকরি হয় না, মামলার জামিন হয়না, ভার্সিটির হলে সিট পায় না, থানায় গিয়ে মামলা করা যায় না, আরও ভয়ংকর একটা তথ্য শুনবেন? গত ২০১৩ সালের পর থেকে কোন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়া হচ্ছে না ! তারা কি এ দেশের মানুষ না?
কিন্তু আপনি দেখেন স্বাধীনতা যুদ্ধে হাজার-হাজার বাঙালী সেনাবাহিনী, পুলিশ অংশ নিয়েছে! বৈষম্য থাকলেও পাকিস্তানীরাই তাদের চাকরি দিয়েছিলো!অথচ, এখন কি বিএনপি করে এমন কেউ পুলিশে চাকরি পাবে?৭০ এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের অধিকারের জন্য স্বাধীন হয়েছি, এখন কি সেই অধিকার আছে?
আর মা-বোনদের ধর্ষণ? যুদ্ধ শুরু হবার আগে পাকিস্তানীরা কোন বাঙালীকে ধর্ষণ করেছে, এমন অভিযোগ আছে? যুদ্ধে অনেক কিছুই হয়! জাপানের মতো ভদ্র জাতীও ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাজার হাজার চীনা নারীদের ধর্ষণ করেছিলো!
কিন্তু এখন? বাংলাদেশেতো যুদ্ধ হচ্ছে না, তবুও এমন কোন দিন আছে যেদিন ধর্ষণ হচ্ছে না? সরকারি দল করলে সেই ধর্ষকের বিচারও হচ্ছে না!
তার মানে অত্যাচার-নির্যাতন, বৈষম্য আগের চেয়ে এখন আরও বেশি হয় ! কিন্তু আমি যদি এখন আমার এলাকার স্বাধীনতা চাই তাহলে কি আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হবে না?
সে কারনেই আমি মনে করি জামাতের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো। গোলাম আজমরা ভাষা আন্দোলন করেছে কিন্তু স্বাধীনতা চায়নি। কিন্তু যখন পাকিস্তানীরা খুন-ধর্ষণ শুরু করলো তখন জামায়াতের উচিত ছিলো প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করা, আর সেটা না করাতেই জামায়াত আজীবন ঘৃনীতই থাকবে!
যদিও জামাতের নেতাদের যে কারন দেখিয়ে ফাঁসি হয়েছে সেটার সুষ্ঠু বিচার হলে ভবিষ্যতে এই বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িত সবারই একদিন ফাঁসি হবে!
কারন, তাদের ফাঁসি দেয়ার জন্যে রাষ্ট্রোদ্রোহিতার অভিযোগই যথেষ্ট ছিলো! কিন্তু রাজনৈতিক কারনে খুন-ধর্ষণ এসব অভিযোগ এনে যে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে, নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়া ব্যক্তির ভিডিও এবং সুখ রঞ্জন বালীই তার প্রমান!
আমার প্রতিবেশী মরহুম আওয়াল মৌলুভিসহ ছোটবেলা থেকে যাদের জামাত করতে দেখেছি তারা এলাকার সবচেয়ে ভদ্র, সম্মানিত মানুষ, তারা কাউকে ধর্ষণ করতে পারে না। ওয়ান ইলেভেনে সব দলের দূর্নীতিবাজেরা অভিযুক্ত হয়েছে, জামায়াতের কোন দূর্ণীতি পায়নি! ভার্সিটির সবচেয়ে ভদ্র ছেলেগুলো শিবিরি করে, আজ পর্যন্ত শিবিরের কোন ছেলেকে শুনেছেন ধর্ষণ বা টেন্ডারবাজি করতে? জামায়াতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠাগুলো দেশের মানুষের আস্থার শীর্ষে! জামায়াতই বাংলাদেশের একমাত্র গনতান্ত্রিক দল যেখানে হুট করে এসে নেতা হওয়া যায় না, তারাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাজনীতি করে!
এতকিছুর পরও ৭১'র কলঙ্ক মুছবার নয় যে কারনে হতে পারে এ বছরই রাজনৈতিক মৃত্যু হবে জামায়াত নামক দলটির!
তবে, আমার দাবি এ প্রজন্মের শিবিরের উচিৎ জামায়াত বাদ দিয়ে অন্য কোন প্লাটফর্মে দাড়িয়ে তাদের আদর্শকে সমুন্নত রাখা, কারন আদর্শ কখনও মরে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন